ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সোমবার নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ

জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই লক্ষ্য মারিয়াদের

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১২ আগস্ট ২০১৮

জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই লক্ষ্য মারিয়াদের

রুমেল খান ॥ সাফল্যের ধাপ হচ্ছে চারটি। প্রথম ধাপটি পেরুনো গেছে বেশ ভালমতোই। বাকি আছে আরও তিনটি ধাপ। সেই তিন ধাপের একটি ধাপ পেরুনোর পরীক্ষা সোমবার। পরীক্ষার স্থান থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়াম। পরীক্ষার নাম? ‘সাফ অনুর্ধ-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে’র দ্বিতীয় আসর। পরীক্ষার্থী? বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৫ জাতীয় নারী ফুটবল দল। গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যারা গেছে ভুটান জয় করতে। সেই লক্ষ্যে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। সেই সুবাদে সেমিফাইনালে এক পা ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছে এই আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে শেষ চারে তাদের দুই পা-ই চলে যেতে পারে যদি নেপাল হারিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। সেক্ষেত্রে সোমবারের বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচটি স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার এবং গ্রুপসেরা নির্ধারণ হওয়ার ম্যাচ। আর সেই লক্ষ্যে শনিবার ম্যাচ ভেন্যু চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে কঠোর অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪-০ গোলের বড় জয়ের পর শুক্রবার দিনের বেশিরভাগ সময়টা মেয়েরা কাটায় ঘোরাঘুরি আর আনন্দ উৎসব করে। ছিল হাল্কা স্ট্রেচিং ও জিম। তবে শনিবার থেকে আবারও তারা মনোযোগ দিয়েছে তাদের মূল মিশনে। কারণ প্রথম ম্যাচে বড় জয় পেলেও ফরোয়ার্ডদের গোল মিসের বিষয়টি ছিল লক্ষণীয়। নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আরও সাবধানী টিম বাংলাদেশ। তাই শনিবার কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন এবং টেকনিক্যাল ও স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর পল স্মলির তত্ত্বাবধানে ম্যাচ ভেন্যুতে প্রায় দুই ঘণ্টার কঠোর অনুশীলন করে মারিয়াবাহিনী। ছোটন আবারও মেয়েদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন তাদের পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে। নেপালের বিপক্ষে মেয়েরা যাতে তাদের দুর্দান্ত গতি এবং আরও ভাল ফুটবল উপহার দিতে পারে সেদিকেই মনোযোগী ছিলেন তারা। এদিকে বাফুফে জানিয়েছে দলে কোন ইনজুরি সমস্যা নেই। সবাই শারীরিকভাবে সুস্থ আছে। পরবর্তী ম্যাচটাকে দলের সবাই খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র লক্ষ্য জয়। এরপর বিকেল ৪টায় মেয়েরা তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ নেপালের ম্যাচ দেখতে চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়। এদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামে নেপাল। এরপর রাতে হোটেলে বাংলাদেশ দলের একটা টিম মিটিংও ছিল। পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে দলীয় অধিনায়ক মারিয়া মান্দার অভিমত, ‘নেপালের বিপক্ষে আমরা আরও ভাল ফুটবল উপহার দিতে চাই। ছোটন স্যার আমাদের অনেক নতুন টেকনিক শিখিয়েছেন। যেগুলো আমাদের এই সাফে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেগুলো আমরা এখন কাজে লাগাতে পারছি।’ গত আসরের সেরা খেলোয়াড়, ডিফেন্ডার এবং সহ-অধিনায়িকা আঁখি খাতুনের ভাষ্য, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে জিতেছি। সেটি এখন আমরা মাথায় রাখছি না। এখন আমরা নেপালের সঙ্গে যে ম্যাচটা আছে সেটি নিয়ে চিন্তা করছি। আমরা খেলার মধ্যেই আছি নেপালের সঙ্গে আমরা আগেও খেলেছি। আমরা চেষ্টা করব পাকিস্তানের ম্যাচ থেকে এই ম্যাচে ভাল খেলার। ফিনিশিং ভাল করার আর গোল এভারেজ বাড়ানোর জন্য।’ একই চিন্তা-ভাবনা দলীয় ডিফেন্ডার (লেফটব্যাক) নিলুফার ইয়াসমিন নীলারও, ‘আমরা আমাদের পরবর্তী ম্যাচে নিজেদের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিয়ে খেলতে চাই। নেপাল পাকিস্তানের থেকে ভাল দল। কিন্তু আমরা নিজেদের প্রথম ম্যাচে যেমনটা খেলেছি, সেই খেলাটাই যদি নেপালের বিপক্ষে খেলতে পারি তাহলে আমাদের জয় নিশ্চিত। সবার কাছে দোয়া চাই যেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে পারি।’ বাংলাদেশ দল ॥ মাহমুদা আক্তার, রুপনা চাকমা, রুপা আক্তার, আঁখি খাতুন, আনাই মগিনি, নাজমা, নিলুফা ইয়াসমিন নীলা, ইলামণি, শাহেদা আক্তার রিপা, আনুচিং মগিনি, রেহানা আক্তার, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, লাবণী আক্তার, তহুরা খাতুন, মুন্নী আক্তার, শামসুন্নাহার, সোহাগী কিসকু, ঋতুপর্ণা চাকমা, সাজেদা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, রোজিনা আক্তার, নওসুন জাহান।
×