ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ অফিসে হত্যা ও ধর্ষণের গুজব- তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হবে ১৮ আগস্ট

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১২ আগস্ট ২০১৮

 আওয়ামী লীগ অফিসে হত্যা ও ধর্ষণের গুজব- তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হবে ১৮  আগস্ট

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে হত্যা ও ধর্ষণের গুজব ছড়ানোর বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছে আওয়ামী লীগ। এতে কারা কীভাবে এই গুজব সন্ত্রাস কর্মকান্ড চালিয়েছে সেটি উল্লেখ থাকবে। আগামী ১৮ আগস্ট এটি প্রকাশ করা হবে। শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন ভবনে দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির নিয়মিত বৈঠক শেষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যাতে গুজব সন্ত্রাস এবং অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে না পারে এবং কীভাবে এ গুজব ছড়ানো হয়েছিল সেগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য আগামী ১৮ আগস্ট একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি কর্তৃক প্রকাশ করা হবে। বিএনপির আচরণ পাগলা কুকুরের মতো হয়ে গেছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, গত সাড়ে নয় বছর ধরে তারা (বিএনপি) বিভিন্ন সময় আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করে দেশে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করেও ব্যর্থ হয়েছে। এরপর তারা অন্যের ঘাড়ে চেপে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। কখনও তেল গ্যাস কমিটির আশ্রয় নিয়েছে, কখনও কোটা আন্দোলনে আশ্রয় নিয়েছে, সর্বশেষ শিশু-কিশোরদের ঘাড়ে চড়ার চেষ্টা করেছে। সুতরাং সব কিছুতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন পাগলা কুকুরের মতো আচরণ করছে। পাগলা কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায়। এখন জনগণও এই আতঙ্কে আছে বিএনপি কামড় দিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে তাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম শিশু-কিশোরদের ঘাড়ের ওপর বন্দুক রেখে বিএনপি-জামায়াত এবং ১/১১-এর কুশীলবরা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার লক্ষ্যে নোংরা রাজনৈতিক খেলায় নেমেছিল। তারা স্কুলের ড্রেস পরিয়ে ছাত্রদলের, শিবিরের ক্যাডারদের (গুন্ডাদের) এবং ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের মাঠে নামিয়েছিল। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, ফজলুল হক মিলন, ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার কথোপকথন ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং তা এখন দেশের সবার জানা হয়ে গেছে কিভাবে এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। অর্থাৎ এই আন্দোলনকে নিয়ে একটি গুজব ছড়ানো হয়েছিল, আওয়ামী লীগ অফিস আক্রান্ত হয়েছিল। হাছান মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ অফিসকে ঘিরে যে গুজবগুলো ছড়ানো হয়েছিল এবং যেদিন গুজব ছড়ানো হয় সেই দিনই আওয়ামী লীগ অফিসে শিক্ষার্থীরা ঘুরে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে এগুলো গুজব তাদেরকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এই আন্দোলনে আমাদের এক কর্মীর চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে সেটিও তারা ছাত্রের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। অর্থাৎ এ গুজব সন্ত্রাস চালানো হয়েছে দেশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে। এই গুজব সন্ত্রাস ও অপপ্রচার তারা বিদেশেও ছড়িয়েছে। ভবিষ্যতে আর কেউ যাতে গুজব সন্ত্রাস এবং অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে না পারে এবং কিভাবে এ গুজব ছড়ানো হয়েছিল সেগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য আগামী ১৮ আগস্ট একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি কর্তৃক প্রকাশ করা হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সকল নেতা।
×