ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি উন্মুক্ত করার চিন্তাভাবনা

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১২ আগস্ট ২০১৮

  বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি উন্মুক্ত  করার চিন্তাভাবনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তোলার বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে জ্বালানি বিভাগ। চলতি মাসের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জন টি বয়েড উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের সুপারিশ করে। এই সুপারিশ বাস্তবায়নে বড় তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলে মনে করছেন জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা। জ্বালানি বিভাগের উর্ধতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ বা প্রতিবেদন আমি পাইনি। তবে বড়পুকুরিয়াসহ যে কোন কয়লা খনি উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে আমাদের তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এগুলো হলো পুনর্বাসন, পরিবেশের সুরক্ষা ও ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আরও পর্যালোচনা করছি। জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসের শুরুতে পেট্রোবাংলার অডিটোরিয়ামে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) নিয়োগকৃত অস্ট্রেলিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান তাদের সুপারিশগুলো উপস্থাপন করেন। এ সময় জ্বালানি সচিবসহ পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেয়া সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা তোলায় মোট পরিমানের মাত্র চারভাগ কয়লা উত্তোলন করা যাবে। এর বিপরীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে তোলা হলে ৭৫ থেকে ৯০ ভাগ পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন সম্ভব। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দক্ষিণে তিন বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৬ কোটি ২০ লাখ টন কয়লা মজুদ আছে। উত্তরের দেড় বর্গকিলোমিটার এলাকায় মজুদ আছে ৯ কোটি ২০ লাখ টন। ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা হলে খনির উত্তর অংশ থেকে এক কোটি টন এবং দক্ষিণের অংশ থেকে ৪০ লাখ টন কয়লা উত্তোলন করা যাবে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৫৭ ফুট গভীরে কয়লার মজুদ রয়েছে। এতদিন খনির কেন্দ্রীয় অংশ থেকে কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ কোটি টন মজুদ থেকে কমবেশি এক কোটি টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ফেইজ ১২১০ডি থেকে চলতি কয়লা উৎপাদন গত ১৫ জুন শেষ হয়েছে। ওই ফেইজ থেকে পরবর্তী ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করে কয়লা উৎপাদন শুরু করতে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।
×