ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নাজনীন বেগম

অন্তহীন রূপের আধার থাইল্যান্ড

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ১০ আগস্ট ২০১৮

অন্তহীন রূপের আধার থাইল্যান্ড

সাগর, পাহাড় এবং সবুজ ঘন অরণ্যে আবৃত বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। প্রকৃতির অবারিত দানের সুশোভিত বাংলার সীমানা পার করে নতুন দেশ দেখার আনন্দে যাত্রা শুরু করলাম আর এক সৌন্দর্যের নগরী থাইল্যান্ডের উদ্দেশে। থাই এয়ারওয়ের বিমানে করে আকাশ পথে পাড়ি দিলাম বাংলাদেশ সময় রাত দুটো। দিন হিসেবে যেখানে বৃহস্পতিবার গড়িয়ে শুক্রবার প্রহরকে স্পর্শ করছে। সাড়ে ৩ ঘণ্টা ভ্রমণ যাত্রায় আমরা ভোর ৬.৩০ মিনিটে ব্যাংককের সুবর্ণ ভূমি বিমানবন্দরে অবতরণ করলাম। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম একটি দ্বীপ থাইল্যান্ডে সবচাইতে আকর্ষণীয় বিষয়টি সবাইর দৃষ্টি কাড়ে উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আধুনিকতার বিস্তীর্ণ বলয়ে সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে নিজের অবস্থান মজবুত করা। পর্যটন শিল্পে অগ্রসমান এই দেশটিতে সব সময়ই বিদেশী সফরকারীরা আসা-যাওয়া করছে। কিন্তু এত বড় আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটিতে অসংখ্য যাত্রীর সমাগমেও নিয়মশৃঙ্খলার কোন ব্যত্যয় ঘটে না। বিমানে ওঠা থেকে নানা অবধি সবই যেন বিধিনিষেধের সুতীক্ষè নজরে আটকে পড়া। ইমিগ্রেশন থেকে শুরু করে কাস্টমস, পাসপোর্ট চেক করা সবশেষে লাগেজ হাতে পাওয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইনানুগ বিধানে চালিত হচ্ছে। এমনকি বিমানবন্দর থেকে আবাসিক হোটেলে যাওয়ার ব্যবস্থাও এতই সুপরিকল্পিত যে পর্যটকদের কোন ধরনের ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয় না। সুবিশাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সুবর্ণ ভূমি। কিছু সময়ের ব্যবধানে বিমান ওঠা-নামাও করছে। কিন্তু কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা কিংবা তথ্য-বিভ্রাটের সুযোগই নেই। এখান থেকে থাইল্যান্ডের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান ফুকেট, কোসামুইতে যাবার ব্যবস্থাও অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত। দেশীয় বিমানবন্দর কিংবা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুকেটে যাওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম প্রণালীবদ্ধভাবে গোছানো আছে। আমি আর মেয়ে নমি সুবর্ণ ভূমির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ফুকেট যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। বাংলাদেশ থেকে বিমানের সমস্ত টিকেট ক্রয় করা ছিল। আর তাদের ভ্রমণের আয়োজনও এতই নিয়মমাফিক আমাদের যাত্রাপথে কোন বিভ্রাট কিংবা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়নি। সুবর্ণ ভূমি থেকে ৪০ কিমি দূরে দেশীয় বিমানবন্দর ডন-মুয়াং যেতে প্রায়ই ১ ঘণ্টা লাগে। সেখান থেকে থাই লাইয়নের টিকেট কাটা ফুকেট যাওয়ার লক্ষ্যে। সুবর্ণ ভূমির কর্তৃপক্ষই ডন-মুয়াংয়ে একটি বিলাসবহুল বাসে করে পৌঁছে দেয়। ডন-মুয়াং বিমানবন্দর থেকে ফুকেট যেতে প্রায়ই ১-৪৫ মিনিট সময় লাগে। অবশ্য ভাল বাসে যেতে গেলে প্রায় ১৩ ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয়। ফুকেট যাওয়ার বিমানের সময় নির্ধারণ করা ছিল স্থানীয় সময় পৌনে এগারোটা। তাই ডন-মুয়াং বিমানবন্দরে পৌঁছে আমরা লাগেজ তুলে দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা সেরে চারদিকে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। ছিমছাম, সাজানো-গোছানো ছোট বিমানবন্দর সর্বদাই যাত্রী সেবায় যেন তৎপর। বিমানবন্দরে দর্শনীয় এবং নান্দনিক পণ্যসামগ্রীর শোরুমগুলো সত্যিই দেখার মতো। সময় হাতে থাকলে শপিং করার আনন্দটুকু উপভোগ করা যায়। সুন্দরী থাই নারীদের আকর্ষণীয় আপ্যায়ন বিমুগ্ধ করার মতো। পর্যটন শিল্পে দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিতে গেলে বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনাও অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হওয়া বাঞ্ছনীয়। দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় সেভাবে নজরে পড়ে না। তবে ক্রেতারাও কোন না কোন দোকানে তাদের পছন্দসই সামগ্রী বাছাই করছে। বিক্রেতারা সাধ্যমতে গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করতে ব্যস্ত থাকে। সারা পৃথিবী থেকে ভ্রমণকারীদের আগমনে থাইল্যান্ডের হরেক রকম দর্শনীয় এবং ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো যে মাত্রায় সফরকারীদের আনন্দযোগের অনুষঙ্গ হয় তা যেমন বিস্ময়ের একইভাবে অভিভূত হওয়ার ব্যাপারটিও জড়িয়ে থাকে। বিমানে প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা অতিবাহিত করার পর আমরা পৌঁছলাম সমুদ্র নগরী ফুকেটে। ফুকেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরও সেই এক দৃশ্য দর্শনে আমরা মুগ্ধ, অভিভূত। সেই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক বৈভব, আধুনিকতার বরমাল্যে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনাগুলো যেমন উপভোগ্য একইভাবে নিয়মশৃঙ্খলার সুষ্ঠু আবহে যাত্রীদের ভোগান্তিরও কোন সুযোগ নেই। আনুষ্ঠানিকতার পর্ব শেষ হতেও বেশি সময় লাগে না। আন্দামান সাগরের তীরে প্রবহমান এই সমুদ্র তনয়া ফুকেট সত্যিই অভিনব এবং বৈচিত্রিকও বটে। বিমানবন্দর থেকে প্রায়ই ১ ঘণ্টার পথ অত্যাধুনিক হোটেল ব্লিজ। ছোটকালে পড়েছি অসহায় এবং বিপর্যস্ত অপরাধীদের আন্দামান দ্বীপে নির্বাসন দেয়া হতো। সেই আন্দামান সাগরের পাদদেশে প্রবেশ করে বিস্ময়াভিভূত মোহিত হয়ে শুধু সাগরের অথৈ নীল পানির দিকে পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়েই থাকলাম ক্ষণকাল। স্বচ্ছ, নীলাভ অজস্র জলরাশির স্রোতধারা শুধু দর্শনীয়ই নয় তার চেয়ে ও বেশি নয়ন জুড়ানো ঢেউয়ের উথাল-পাতাল নান্দনিক সুরও। সেই সুরের মূর্ছনায় ভ্রমণপিয়াসীরা উদ্বেলিত, উচ্ছ্বসিতই শুধু নয় বিমুগ্ধ আবেগে মোহাবিস্টও। ফুকেটে প্রথম হোটেলে থাকার অভিজ্ঞতায় আমার মেয়ে আবেশে, বিস্ময়ে একেবারে দিশেহারা। আমাদের জন্য নির্ধারিত রুমটির বদলে আমরা পেলাম সুইটের মতো আরামদায়ক, আধুনিক এবং বিস্তৃত পরিসরের মানানসই দুই রুমের অনেকটাই ছোট ফ্ল্যাট। যেখানে কিচেনসহ সুইমিং পুলও বরাদ্দ আছে। শুধু তাই নয় পুলের চারপাশে ফুলের ছোট্ট বাগান সাজানো। টাকা বেশি দিতে হয়নি নির্ধারিত মূল্যই বহাল ছিল। সকালের নাশতা ছিল হোটেল বুকিংয়ের সঙ্গে একীভূত। ফলে প্রাতঃরাশের কোন সীমাবদ্ধতা ছিল না। ব্লিজ হোটেলটি ছিল একেবারে পাতং বিচের পাশেই। হাঁটা পথ। হেঁটে বিচে যাওয়ার আনন্দই আলাদা। থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় দ্বীপ এই ফুকেটে ভ্রমণকারীর সংখ্যাও সব সময়ই চোখে পড়ার মতো। পর্যটন শিল্পের অনিবার্য গতি প্রবাহ ভ্রমণকে আরও আকর্ষণীয় এবং আনন্দঘন করে তোলা। সেই লক্ষ্যে বিশ্বের নামকরা খাদ্য তালিকা যেমন পিজ্জাহাট, কেএফসি কিংবা ম্যাকডোনালান্ডের মতো খাবার দোকানগুলো বিচ এবং হোটেলের আশপাশে ছড়ানো। নারীবান্ধব এই থাইল্যান্ডে নারীদের কতখানি অধিকার এবং স্বাধীনতা তা চোখে না দেখলে ভাবাই যাবে না। উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে নারীদের ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রা সে দেশের অর্থনীতিরও নিয়ামক শক্তি। হোটেল কিংবা বিমানবন্দরের আপ্যায়নকারীদের মধ্যে নারীদের অংশীদারিত্ব শুধু অর্ধেকই নয় তার চেয়েও বেশি বলে মনে হয়। বড় বড় শিল্পোদ্যোক্তা কিংবা শপিং মলগুলোর শোরুমও দখল করে আছে আধুনিক এবং আকর্ষণীয় থাই নারীরা। এ ছাড়াও আছে ভ্রমণকারীদের আনন্দ আর আপ্যায়নের জন্য থাই নারীদের সর্বক্ষণিক সান্নিধ্য। বিস্ময়কর হলেও এটাই সত্য ভ্রমণকারীদের বিনোদনের নিমিত্তে নিবেদিত থাই নারীরা কখনও সে সমাজে প্রশ্নের মুখোমুখি হয় না। কল গার্লসদের এই পেশাও সম্মানের স্বীকৃত এবং অনেকটা সহনীয়। সুদর্শনা থাই নারী নিজেদের মোহনীয় রূপে সাজিয়ে তোলে পর্যটকদের মন ভোলাতে। কোন জড়তা নেই, হীনম্মন্যতা নেই, স্বচ্ছ সাবলীলভাবে ভিনদেশীদের মনোরঞ্জনে সর্বদা ব্যস্ত। বলা হয়ে থাকে পরিবার থেকেও নাকি এক ধরনের প্রচ্ছন্ন স্বীকৃতি যা তাদের এই পেশার প্রতি আরও অনমনীয় করে তুলেছে। ফুকেটে বিকেলটা খুব ভালভাবে কাটিয়ে আমরা রাস্তায় বের হলাম দর্শনীয় এই দ্বীপটির চারপাশে ঘুরে দেখতে। রাত আটটার পর মনে হলো যেন কলির সন্ধে। রাত যত বাড়তে থাকে ছোট এই দ্বীপটির চারপাশে ভ্রমণকারীদের আনাগোনাও দৃষ্টি কাড়ার মতো। আরও একটি দর্শনীয় ব্যাপার এই ফুকেটে বাংলা রোড নামে এক বিরাট রাস্তা ভ্রমণকারীদের বিনোদনের জন্য সবচাইতে জনমুখরিত এক কর্মব্যস্ত রজনী। রাস্তার মাঝখানে সবাই নাচছে, গাইছে, বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছে। আবার খাবারের দোকানগুলোও তাদের প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। অদ্ভুত এক মনোমুগ্ধকর আনন্দ যাত্রা যেখানে আবাল-বৃদ্ধবনিতা থেকে শুরু করে নারী-পুরুষ সমানভাবে খুশির বন্যায় ভাসছে। বিস্তীর্ণ এই বাংলা রোড ভ্রমণকারীদের জন্য এক উপাদেয়, আকর্ষণীয় কর্মযজ্ঞ যেখানে প্রত্যেকে নিজেদের সমর্পণ করে মুগ্ধ বিস্ময়ে উপভোগ করে যায়। পরের দিন ট্যাক্সি বুক করে ৬ ঘণ্টার যাত্রায় ফুকেট শহরের ঐতিহ্যিক স্থাপনগুলো প্রত্যক্ষ করতে বের হলাম। উঁচু, নিচু আঁকাবাঁকা পথে চলতে চলতে মনে হলো পাহাড় কেটে রাস্তাগুলো তৈরি করা হয়েছে। সড়কের চারপাশে সুরম্য প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য ফুকেট দ্বীপের যে শোভাবর্ধন করেছে তা যেমন উপভোগ্য পাশাপাশি প্রকৃতির অবারিত দানেরও এক অনন্য সম্ভার। গৌতম বুদ্ধের সার্বজনীন বাণী ফুকেটের সর্বসাধারণের হৃদয়ের গভীরে গ্রথিত। ফলে মার্বেল এবং দামী পাথর খচিত বিগ-বোদ্ধার মূর্তি যেমন দৃষ্টিনন্দন একইভাবে অনেক বৌদ্ধ মন্দিরও সুন্দরভাবে সাজানো। শান্তিপ্রিয় এই নগরীর জনগোষ্ঠী হট্টকোলাহল পছন্দ করে না, কোন ধরনের বিশৃঙ্খলার ধারেকাছেও ঘেঁষে না, নিয়ম নিষ্ঠতার আবর্তে প্রতিদিনের জীবন প্রবাহে প্রতিনিয়তই ভূমিকা রেখে যাচ্ছে যা সামগ্রিক সমৃদ্ধিকেও সমানভাবে এগিয়ে নিচ্ছে। ফুকেটের ভ্রমণ সম্পন্ন করে আমাদের যাত্রা শুরু হলো কোসমুই দ্বীপের দিকে। সমুদ্র পরিবেষ্টিত এই দ্বীপটিও চমকপ্রদ, অভিনব এবং ঐতিহাসিক বিভিন্ন নিদর্শনে সমৃদ্ধ। ফুকেট বিমানবন্দর থেকে কোসামুই বিমানবন্দর পুরো যাত্রাটাই ছিল সমুদ্রের ওপর। মনে হচ্ছিল সমুদ্র দেখতে দেখতে যাত্রা পথ পার করছি। প্রায়ই ঘণ্টাখানেকের ভ্রমণ। কোসামুই বিমানবন্দর থেকে হোটেলের যাত্রাপথ মাত্র ১৫ মিনিটের। পর্যটন শিল্পের এই নগরীতে গাড়ির চালকদের দাপট এবং লাগামহীন অর্থ আদায় বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনার এক নগ্ন বহির্প্রকাশ। এখানেও একেবারে বিচের সঙ্গে সংলগ্ন হোটেল। খাবার ঘরে বসেই সমুদ্র সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সূর্যোদয় এবং অস্ত যাওয়াও আনন্দঘন পরিবেশে দর্শন করা গেছে। এখানেও ট্যাক্সি ভাড়া করে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে হয়। কিছু দূরে যাত্রা পথে ৭৩টি সিঁড়ি ডিঙ্গিয়ে পাহাড়ের ওপর বুদ্ধের স্বর্ণখচিত মূর্তি দর্শনার্থীর ভিড়ে এক ভিন্ন রকম আবহের তৈরি হয়। শুধু তাই নয় শতবর্ষ পার করা এক প্রাচীন বৌদ্ধমন্দির স্থাপনা শিল্পের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে পর্যটকদের আনন্দের খোরাক হচ্ছে। বিভিন্ন রকমের পাথরের পাহাড়ও দর্শনার্থীদের উপভোগের মাত্রাকে বৈচিত্র্যিক করে তোলে। এসব দর্শনীয় স্থাপনাগুলো অবলোকন করতে গিয়ে কোসামুইর প্রাচীন ঐতিহ্যও পার্যটন শিল্পের নয়নাভিরাম দৃশ্য নানা মাত্রিকে দর্শকদের মুগ্ধ বিস্ময়ে অভিভূত করে। কোসামুইর আরও একটি উল্লেখযোগ্য স্থান ভিউ পয়েন্ট। সমুদ্রের পাড়ে উঁচু পাহাড়ের মতো চড়াই-উতরাইয়ের এক মনোমুগ্ধকর জলরাশি। যে জলরাশির বহু পেছনে পাহাড়ের সুবর্ণরেখা যেমন চমকপ্রদ একইভাবে দৃষ্টি নন্দনও। কোসামুইর জলপ্রপাতও পর্যটন শিল্পের অন্যতম সম্ভার যা বিদেশী ভ্রমণকারীদের আকর্ষণীয় করার এক অনবদ্য ঝর্ণাধারা যেখানে জলের শব্দে মাতোয়ারা হয় দর্শনার্থীরা। তার পাশে ঘনসবুজ গাছ-গাছালি বিশেষ করে নারিকেল গাছের সারি পুরো জল প্রপাতকে ঘিরে এক চমৎকার নৈসর্গিক আবহ যা শুধু অনুভবেই অনুধাবন করা যায় অন্য কিছুতে নয়।
×