ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় লুম্বোকের পর্যটনশিল্প

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১০ আগস্ট ২০১৮

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় লুম্বোকের পর্যটনশিল্প

ইন্দোনেশিয়ার লুম্বোকে কয়েকটি ভূমিকম্প আঘাত হানার পর উদীয়মান পর্যটন শিল্প এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। পর্যটকরা সেখানে যেতে এখন ভয় পাচ্ছেন। দ্বীপটিতে শত শত অবকাশ যাপন কেন্দ্র রয়েছে। জুলাইয়ের শেষ থেকে যেগুলো এখন প্রাদেশিক সরকারের অধীনে জরুরী আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। নিউইয়র্ক টাইমস। স্থানীয়রা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাচ্ছেন। কিছু ক্ষেত্রে আক্ষরিকভাবে তাদের জীবন ও দ্বীপের পুননির্মাণ জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে। দ্বীপের বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস হওয়ায় পর্যটন শিল্পের ক্ষতিটি খুব একটা স্পষ্ট হয়নি। লুম্বোকের পর্যটন শিল্প এর অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দ্বীপটি বালির মতো জনপ্রিয় নয় তবে সরকার একে উদীয়মান পর্যটন খাত হিসেবে নির্ধারণ করেছে। গত বছর প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ইন্দোনেশিয়ার ১৭ হাজার দ্বীপের চারপাশে ১০টি স্থানকে পরবর্তী বালি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে দক্ষিণ লুম্বোক একটি। যেখানে একটি সমন্বিত অবকাশ যাপন কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। যদিও ভূমিকম্পের কারণে এই পরিকল্পনাগুলোর কাজ অস্থায়ীভাবে বিঘিœত হয়েছে। অথেনটিক লুম্বোক সংগঠনের জেনারেল ম্যানেজার জন কন্সতানতিনিদিস বলেন, পর্যটকরা এখন আতঙ্কে আছেন। এ জন্য তারা এলাকাটি ছেড়ে যাচ্ছেন। কেননা তাদের হোটেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ্যাডভেঞ্চার লুম্বোক সংগঠনের সুপরাতম্যান সামসি বলেন, তার কাছে বুকিং করা লোকের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমে গেছে। দ্বীপের বিশাল একটি এলাকার যদিও কোন ক্ষতি হয়নি তারপরও লোকজন খুব ভয় পেয়েছে। পর্যটকরা জানাচ্ছেন তারা খুব ভয় পেয়েছেন। নিশ্চিতভাবে এখানকার লোকজনকে ট্রমা থেকে উত্তরণের পথে নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য আমাদের গণমাধ্যমকে প্রয়োজন যাতে তারা সবাইকে বলেন যে লুম্বোক কতটা সুন্দর। এটি এখনও কতটা চমকপ্রদ। ভূমিকম্পে লুম্বোকের পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে গিলি ত্রাওয়াংগান জানান। সামসির মতে, সেনগিগির অনেক পর্যটক চলে গেছেন। তবে কিছু এখনও অবস্থান করছেন। এটি যেকোন জায়গায় হতে পারে। আমি মনে করি না এর কোন প্রভাব পড়বে। দ্বীপের হোটেলগুলোর একটি অংশ বন্ধ হয়ে গেছে। হোটেলগুলোর মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তার ক্ষতি নিরূপণের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। শেরাটন নিসগিগি বিচ রিসোর্টের অতিথিদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যাদের অনেকে দ্বীপটি ছেড়ে চলে গেছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ডিরেক্টর অব লয়্যালটি এ্যান্ড পার্টনারশিপ মার্কেটিংয়ের লিন্ডসে ব্র্যাডলি বলেন, আমারা হোটেলের কর্মী বা অতিথিদের আহত হবার কোন কথা শুনিনি। এক বিবৃতিতে হোটেল কোম্পানিগুলোর প্রতিষ্ঠাতা জানায়, হোটেলগুলো সাময়িকভাবে স্থিতিশীলতার জন্য বুকিং নিচ্ছে না। যেহেতু বর্তমানে সেখানে কাঠামোগত অবস্থার মূল্যায়ন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে বুকিং গ্রহণ করা শুরু হবে।
×