ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসের সেমিনার

নতুন শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস বিদ্যুত দেবে সরকার ॥ উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১০ আগস্ট ২০১৮

নতুন শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস বিদ্যুত দেবে সরকার ॥ উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন শিল্প মালিকদের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস বিদ্যুতের সরবরাহ দেবে সরকার। বৃহস্পতিবার জ¦ালানি নিরাপত্তা দিবসের সেমিনারে এ কথা জানানো হয়। রাজধানীর পেট্রো সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, নতুন শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন শিল্প কারখানাগুলোয় গ্যাস এবং বিদ্যুত সরবরাহের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না। সেমিনারে জ্বালানি সচিব আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনীম, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোঃ ফায়জুল্লাহ এনডিসি এবং বিপিসি চেয়ারম্যান আকরাম আল হোসেন বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তৃৃতায় উপদেষ্টা বলেন, আমরা যখন এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে বের হওয়ার পথে, তখন গবেষকদের বলতে শুনেছি। এলডিসি থেকে বের হলে নাকি সমস্যা হবে। আমি অবশ্য তাদের তথাকথিত গবেষক বলি। তারা সাধারণ বাঙালীদের গবেষণা করে জীবিকা চালায়। এরা চায় না সাধারণ জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হোক। উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিপুল জনগোষ্ঠীর চাপের মধ্যে দেশের উন্নয়ন করছি। যা সারা বিশ্ববাসীর কাছে বিষ্ময়কর। এখন আমাদের উচিত প্রকৌশল শিল্পের প্রতি জোর দেয়া। সরকার শিল্পকে উৎসাহিত করতে ১০০ ইপিজেড করছে। এরমধ্যে নতুন ১০টি ইপিজেড উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি শিল্প স্থাপনে বৈচিত্র এনে জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভোলার গ্যাস বাইরে আনার জন্য পাইপ লাইন করতে জরিপ করা হচ্ছে। আর ছাতকের গ্যাস তোলার জন্য আইনী জটিলতা কাটানোর চেষ্টা করছে সরকার। একই সঙ্গে বছর শেষে এলএনজির সরবরাহে গ্যাসখাতে ভারসাম্য আসবে বলে মনে করেন তিনি। পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা জ্বালনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাগরে এবং স্থলভাগে নতুন উদ্যোমে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য নতুন নতুন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জ্বালানি উৎপাদনের সঙ্গে সাশ্রয়ের প্রতি সাধারণ মানুষকে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালনি তেলের দাম বাড়ায় প্রতিদিন ৮ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণ শেষ হলে দেশে পরিশোধন ক্ষমতা বাড়বে। এতে লোকসান কমে আসবে। সেমিনারের শেষে সভাপতির বক্তব্যে জ্বালানি সচিব বলেন, শিল্পে জ্বালানি সরবরাহ আমাদের কাছে বেশি জরুরী। এ জন্য আবাসিকের চেয়ে শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সেমিনারে দুইটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। একটি, জ্বালানি তেলের পাইপ লাইনের নেটওয়ার্ক। অন্যটি, সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বর্তমান অবস্থা। প্রথম প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন পদ্মা অয়েল কোম্পনির মহাব্যবস্থাপক (প্রকল্প) মোঃ আমিনুল হক। তিনি জানান, জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ৫টি পাইপলাইন করতে যাচ্ছে বিপিসি। অন্যদিকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে বলা হয়, আগামী কয়েকবছরে মধ্যে সাগরে মোট ৪টি কূপ খনন করা হবে। এরমধ্যে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি এসএস-০৪ এবং এসএস-০৯ ব্লকে তিনটি কূপ খনন করবে। অন্যদিকে সান্তোস এসএস-১১ নম্বর বকে ১টি কূপ খনন করবে। এছাড়া ডিএস-১২ নম্বর ব্লকে পেসকো দাইয়ু ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ত্রিমাত্রিক জরিপের কাজ শুরু করবে চলতি বছরের শেষ নাগাদ। এই জরিপের কাজের পর পরই তারাও একটি কূপ খননের কাজে হাত দেবে।
×