ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সড়কে ভুয়া ছাত্র নামিয়ে ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালায় বিএনপি ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১০ আগস্ট ২০১৮

সড়কে ভুয়া ছাত্র নামিয়ে ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালায় বিএনপি ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পারে না, এমন কোন কাজ নেই। একটি ছদ্মবেশী-বিধ্বংসী রাজনৈতিক দল। এই দলটি নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় হাজার হাজার ভুয়া ছাত্র সড়কে নামিয়ে তাদের স্কুলব্যাগের ভেতরে ছোরা, আগ্নেয়াস্ত্র ও পাথর নিয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকা- করেছে। যা ভুয়া ছাত্রদের কাজ, প্রকৃত ছাত্রদের কাজ নয়।’ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বহুমুখী সমবায় চত্বরে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’র উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেছেন, বিএনপিকে ছাড়া কোন ইলেকশন হবে না। আমরা কি কোথাও বলেছি, বিএনপি ছাড়া ইলেকশন হবে? তারা সংলাপ চান, গত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো সংলাপের জন্য ডেকেছিলেন। তবে তারা সেই আহ্বানে সাড়া দেননি। কাজেই সংলাপের আহ্বান তাদের ছলনা। মুখে সংলাপের কথা বললেও তারা আসলে সংলাপ চায় নয়, সঙ্ঘাত চায়। এ কারণে তারা বারবার সঙ্ঘাতের উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে ব্যর্থ হয়েছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করেও ব্যর্থ হয়েছে তারা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এখনও দেশের নিরীহ জনগণের অভিভাবক। এ কারণেই তার আহ্বানে ছাত্র-ছাত্রীরা ঘরে ফিরে গেছে। আল্লাহর অশেষ রহমত, আপাতত শান্তি ফিরেছে, কিন্তু ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড মারে তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ, তাদের সঙ্গে কি সংলাপ হয়? তারপরও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করে ডিনারের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, সংলাপে বসতে চেয়েছিলেন, তারা আসেননি। না এসে যে ভাষায় কথা বলেছিল সেটা কোন রাজনীতির ভাষা না। এরপরও কি তাদের সঙ্গে সংলাপ হয়? যারা সংলাপের কথা বলে তাদের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আমরা চাই না বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হোক। আসলে সংলাপ বিএনপির ছলনা। তাদের সঙ্গে সংলাপ করে কোন ফলাফল আসবে না। সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ না করলে আমরা নিজেদের অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে ছোট করব। বঙ্গবন্ধু ছোট হবেন না। তার নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারও নেই। আলোচনা সভায় অংশ নেয়া সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই সভায় যারা থাকবেন না তাদের চাকরি চলে যাবে-এই ভয়ে যারা এখানে আছেন, তারা চলে যেতে পারেন। আমি কথা দিচ্ছি, কোন ক্ষতি হবে না, কারও চাকরি চলে যাবে না। বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালবাসেন, তারাই বসুন।’ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি বদরুল হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, আইন সচিব এএসএসএম জহিরুল হক, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল প্রমুখ।
×