ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেলবোর্ন ভিক্টোরিতে হোন্ডা

প্রকাশিত: ০৭:১২, ৮ আগস্ট ২০১৮

মেলবোর্ন ভিক্টোরিতে হোন্ডা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ-লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেলবোর্ন ভিক্টোরিতে যোগ দিলেন কেইসুকে হোন্ডা। ২০১৮/১৯ মৌসুমের জন্য সোমবার অস্ট্রেলিয়ান ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি-স্বাক্ষর করলেন জাপানের সাবেক এই তারকা ফুটবলার। হোন্ডাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত অস্ট্রেলিয়ান ক্লাবটি। এ প্রসঙ্গে মেলবোর্ন ভিক্টোরির প্রধান কোচ কেভিন মুসকাট বলেন, ‘উচ্চ পর্যায়ে কেইসুকে হোন্ডার ধারাবাহিক পারফর্মেন্সের ব্যাপারে আর নতুন করে বলার কিছুই নেই। এখন মেলবোর্নে সে কী করে তা দেখার জন্যই মুখিয়ে রয়েছি আমরা।’ বয়সে বত্রিশকেও ছাড়িয়ে গেছেন হোন্ডা। কিন্তু তারপরও ফুটবল মাঠে দুর্বার এই জাপানী স্ট্রাইকার। রাশিয়া বিশ্বকাপেও তার ঝলক দেখেছে গোটা ফুটবল দুনিয়া। গত মাসে শেষ হওয়া ২০১৮ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছিল তার দেশ। কিন্তু শেষ ষোলোতে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত বেলজিয়ামের কাছে ৩-২ ব্যবধানে হেরে যায় এশিয়ার প্রতিনিধিরা। রাশিয়া বিশ্বকাপের পরই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নেন হোন্ডা। এরপর থেকেই মেলবোর্ন ভিক্টোরিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। নতুন ক্লাবে কেইসুকে হোন্ডার লক্ষ্য এখন নিজের সেরাটা ঢেলে দেয়া। এ প্রসঙ্গে জাপানী স্ট্রাইকার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মেলবোর্ন ভিক্টোরিতে যোগ দিতে পেরে আমি খুব খুশি। বিশ্বকাপ শেষের এক সপ্তাহ পরই জানতে পারি তারা আমার প্রতি আগ্রহী। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে আমি সত্যিই খুব পছন্দ করি। এই সময়ের মধ্যেই আমি বেশ কিছু বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছি। এ-লীগে মেলবোর্ন ভিক্টোরি-ই সবচেয়ে সফল ক্লাব। এটা বিস্ময়কর। এই টুর্নামেন্টে অনেকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।’ ২০১০ বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে এসেছিলেন কেইসুকে হোন্ডা। তার গোলেই সেবার শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছিল জাপান। এবার রাশিয়া বিশ্বকাপেও গোল করে নতুন এক রেকর্ড গড়েন তিনি। জাপানের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা তিন বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড গড়েন ৩২ বছরের এই তারকা ফুটবলার। জাপানকে বিদায় বলার আগে ৯৮ ম্যাচ খেলেছেন কেইসুকে হোন্ডা। এই সময়ের মধ্যে প্রতিপক্ষের জালে ৩৭ বার বল জড়িয়েছেন তিনি। মেক্সিকান ক্লাব পাচুকা থেকে বিদায়ের পর থেকেই মুক্ত ছিলেন হোন্ডা। এদিকে, রাশিয়া বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়েছেন ইভান পেরিসিচও। বিশ্বকাপের পর থেকেই তার উপরে নজর রাখছে ইউরোপের শীর্ষ সারির ক্লাবগুলো। তবে ইভান পেরিসিচকে পেতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নামই আসছিল বেশি। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারানো ম্যাচে তার একটি গোল, একটি অ্যাসিস্ট। জোশে মরিনহো তখনই প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ান উইঙ্গারকে। তবে বিশ্বকাপ শেষে ইংলিশ ক্লাবটির আর সেই তৎপরতা চোখে পড়েনি। ওদিকে পেরিসিচ জানিয়ে দিয়েছেন ম্যানইউ নয়, তার প্রথম পছন্দ জার্মান জায়ান্ট বেয়ার্ন মিউনিখ। ইন্টার মিলান তারকার বেয়ার্ন প্রীতির জোরালো কারণ আছে। এই মৌসুমেই যে ব্যাভারিয়ানরা কোচ করেছে ক্রোয়েশিয়ার সাবেক কোচ নিকো কোবাচকে। যার সঙ্গে দুই বছর কাজ করার সুযোগ হয়েছে পেরিসিচেরও। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এখনও তিনি কোবাচ ভক্ত। দলবদলের প্রসঙ্গে যা তিনি একেবারেই গোপন রাখেননি, ‘আমার ওপর নিকো কোবাচের প্রভাব অনেক। তিনি যখন ক্রোয়েশিয়ার কোচ ছিলেন আমি অনেক ভাল খেলেছি সেই সময়। পরে জার্মানিতে যখন এলেন তখনও যোগাযোগ। এখন উনি আমাকে চাইলে জানেনই তো আমি কোথায় আছি।’ কোবাচের ডাকের অপেক্ষাতেই যেন আছেন এই তারকা। জার্মান ক্লাব বরশিয়া ডর্টমুন্ড ও উলফসবার্গে খেলা এই উইঙ্গার গত তিন মৌসুম ধরে ইন্টারে।
×