ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ব্যবস্থা বিবেচনাধীন ॥ রিয়াদ

কানাডার সঙ্গে বিমান যোগাযোগ স্থগিত করল সৌদি আরব

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৮ আগস্ট ২০১৮

কানাডার সঙ্গে বিমান যোগাযোগ স্থগিত করল সৌদি আরব

কানাডা সৌদি আরবে আটক নাগরিক সমাজের নেতা ও নারী অধিকার আন্দোলনকারীদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানোর পর সৌদির রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স কানাডার অন্যতম প্রধান নগরী টরন্টোর সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল স্থগিত করেছে। সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে ইতোমধ্যে দেশটি কানাডার সঙ্গে সব বাণিজ্য বন্ধ এবং সে দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। এর জবাবে কানাডা জানিয়েছে তারা মানবাধিকার রক্ষায় সোচ্চার থাকবে। বিবিসি। দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বন্ধে পাশাপাশি কানাডার বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করার কথাও জানিয়েছে রিয়াদ। ২০১৬ সালে দেশ দুটির মধ্যে তিনশ’ কোটি ডলারেরও বেশি বাণিজ্য হয়েছিল। সৌদি আরবের যেসব ছাত্র বৃত্তি নিয়ে কানাডায় পড়তে যাবে তা বাতিল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যারা কানাডায় রয়েছে তাদেরও ফিরে আসতে হবে। এর ফলে ঠিক কত লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা পরিষ্কার নয়। ভ্যাংকুবার সান ২০১৫ সালে বলেছিল যে, প্রতি বছর সৌদি থেকে প্রায় ৫ হাজার নতুন ছাত্রছাত্রী কানাডায় পড়তে যায়। আটককারীদের মধ্যে রয়েছেন সৌদি-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী সামার বাদাউই। তিনি কারাগারে আটক ব্লগার রাইফ বাদাউইর বোন। কানাডার বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেছেন, কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনায় তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি আরও বলেন, কানাডা সব সময় মানবাধিকার রক্ষায় পাশে থাকবে। এ সময় তিনি বিশ্বব্যাপী নারীর অধিকার ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করেন। ফ্রিল্যান্ড বলেন, আমরা মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলোর উন্নয়নে কখনও ইতস্তত করব না এবং আমরা বিশ্বাস করি যে, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এই সংলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জাবের এক টুইটে অভিযোগ করেছেন যে, ‘কানাডা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এই অবস্থান নিয়েছে। প্রত্যেককেই সৌদি আইনানুসারে গ্রেফতার করা হয়েছে যা তাদের মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেয়।’ সৌদির শীর্ষ নারী অধিকার কর্মী মানাল আল-শরিফ তাদের পক্ষে কথা বলায় কানাডাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং জানতে চেয়েছেন অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো কখন এই ভূমিকা পালন করবে। অটোয়া ও রিয়াদের মধ্যে উত্তেজনার নজির দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি ভেরিফায়েড টুইটার এ্যাকাউন্টে টরন্টোর বিখ্যাত সিএন টাওয়ারের দিকে প্লেন উড়ে যাওয়ার ছবিতে লেখা একটি বাক্য নিয়েও চলছে আলোচনা-সমালোচনা। টুইটারের ওই ছবি ও লেখার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার ছবির সাদৃশ্য পাওয়ার পর তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই ভেরিফায়েড এ্যাকাউন্ট পরে ছবিটি সরিয়ে ফেললেও এর ক্যাশড ভার্সন এখনও অনলাইনে ঘুরছে।
×