ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাফিক আন্টি

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৮ আগস্ট ২০১৮

ট্রাফিক আন্টি

ভারতের দিল্লীর উপকণ্ঠে গাজিয়াবাদের বুক চিরে গেছে যে ন্যাশনাল হাইওয়ে টোয়েন্টি ফোর, সেই ব্যস্ত মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ একটা ক্রসিংয়ে, রোজ সকালে অদ্ভুত এক দৃশ্য চোখে পড়ত। মাত্র কয়েক মাস আগেও দৃশ্যটি দেখা যেত। দিল্লীর খোডা, ইন্দিরাপুরম আর দিল্লীগামী সড়কের ওই ত্রিমুখী মোড়টায় সকালের ব্যস্ত অফিস টাইমে রোজ দেখা যেত পঞ্চাশোর্ধ একজন মহিলা হাতে স্রেফ একটা লাঠি আর গলায় হুইশল ঝুলিয়ে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন। না, তার পরনে পুলিশের মতো কোন খাকি উর্দি পর্যন্ত নেই। একেবারে সাদামাটা সালোয়ার-কুর্তা, বড়জোর মাথায় একটা টুপি কখনো-সখনো কিংবা গায়ে জড়ানো একটা সস্তার ফ্লুরোসেন্ট জ্যাকেট। ভদ্রমহিলার নাম ডরিস ফ্রান্সিস, ওই রাস্তায় নিয়মিত যাতায়াত করা লোকজন ‘ডরিস আন্টি’ নামেই চেনেন তাকে। সেই ২০০৯ সাল থেকে একটানা তিনি এন এইচ টোয়েন্টি ফোরের ওই ব্যস্ত মোড়ে দাঁড়িয়ে বাস-ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটো-টেম্পোর চলাচল সামলাচ্ছেন, আর তার সঙ্গে হাজার হাজার পথচারীকে সাহায্য করছেন নিয়ম মেনে রাস্তা পেরোতে। আর ডরিস আন্টির লাঠির ইশারায় নিমেষে থেমে যাচ্ছে হাজার হাজার গাড়ি, হুইশল দিয়ে রাস্তা পার করাচ্ছেন অগণিত লোককেÑ সেটাও ছিল দেখার মতো একটা দৃশ্য! রোদ-বৃষ্টি-ঝড়-জল যাই হোক, সকাল সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত ডরোথির ছিল ওটাই বাঁধা রুটিন। কখনও পাশে ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা থাকতেন, কখনও বা থাকতেন না। নেহাত কোন দিন সাংঘাতিক অসুস্থ হয়ে নাÑ পড়লে এই রুটিনের কোন ব্যত্যয় হয়নি ডরোথি ফ্রান্সিসের জীবনে। বছরখানেক আগে ক্যানসারে শয্যাশায়ী হওয়ার আগে পর্যন্ত টানা সাত-আট বছর ধরে এই কাজ চালিয়ে গেছেন তিনি। -বিবিসি অবলম্বনে।
×