ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফিটনেসবিহীন ফেরি চলাচল করেছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৮ আগস্ট ২০১৮

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফিটনেসবিহীন ফেরি চলাচল করেছে

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ঝুঁকি নিয়ে চলছে মান্ধাতা আমলের লক্কড় ঝক্কড় মার্কা ফেরি। মঙ্গলবার একটি ফেরি ড্রেজারের মার্কিং বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে তলা ফুটো হয়ে চরে আটকে যায়। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পায় কয়েক শ’ যাত্রীর প্রাণ। রানীক্ষেত নামের মান্ধাতা আমলের ওই ফেরিটিতে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ২২টি বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ছিল। ফেরিটি ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় উদ্ধার করে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা পর কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পৌঁছায়। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ফেরি রানীক্ষেত। কিছুক্ষণ পরেই লৌহজং টার্নিং পয়েন্ট পার হয়ে ফেরিটি চ্যানেলে উঠলে চ্যানেলে থাকা একটি ড্রেজারের মার্কিং বয়ার সঙ্গে ধাক্কা খেলে বয়াটি ফেরির নিচে চলে যায়। এ সময় বয়ার আঘাতে ফেরিটির এক পাশে ফুটো হয়ে পানি উঠতে থাকে। এ সময় ফেরিতে থাকা পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন শুরু করা হয়। কিন্তু অবস্থা খারাপ হলে চালক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ফেরিটি একটি ডুবোচরে তুলে দেয়। এতে ফেরিটি ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়। এরপর ফেরিটি উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও ফেরির স্টাফরা কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস দুটি পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন চালায়। পানি কিছুটা কমলে ফেরির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ জোড়াতালি দিয়ে বিকেলে ফেরিটি ওপাড়ে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে নিয়ে যাওয়া যাওয়া হয়। এর আগে ফেরিতে থাকা যাত্রীদের দুটি লঞ্চ দিয়ে নিরাপদে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পৌঁছে দেয়া হয়। লৌহজং টার্নিং মুখে ডুবোচর ॥ শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের লৌহজং টার্নিংয়ে মুখে ডুবোচরের দেখা পাওয়া গেছে। বিআইডব্লিউটিসি এজিএম খালেদ নেওয়াজ জানিয়েছেন, এই ডুবোচরের সৃষ্টি হওয়ায় এখানে নব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফেরিগুলো এখান দিয়ে চ্যানেলে উঠতে গিয়ে ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে। এতে ফেরি দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নাব্যতা সঙ্কটের কারণে এখান দিয়ে রো রো ফেরি চলাচল করতে পারছে না। রো রো ফেরি চলাচলের জন্য সাড়ে ৬ ফুট পানির প্রয়োজন হলেও লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের মুখে পানি রয়েছে মাত্র ৬ ফুট। ফলে ফেরিগুলো পুরোপুরি লোড নিয়ে চলাচল করতে পারছে না। খুব কম সংখ্যক যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল করছে। এতে ঘাটে দেখা দিচ্ছে যানজট। এছাড়া অনেক আগে থেকে ফেরিগুলো ওয়ানওয়েতে চলাচল করায় ফেরি পারাপারে সময় লাগছে প্রচুর। এতে ফেরির ট্রিপ সংখ্যাও কমে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে যাতায়াতরত ভিআইপিরা এ নৌরুটে বিড়ম্বনার শিকার হতে পারেন। বিপর্যয় নেমে আসতে পারে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের। বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক এসএম আসগর আলী জানিয়েছেন, উজান থেকে নেমে আসা পলি জমে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে একটি ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখানে ড্রেজিং অব্যাহত আছে।
×