ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘অনিয়ম হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা’

নির্বাচনে অনিয়ম হবে না এমন নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয় ॥ সিইসি

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৮ আগস্ট ২০১৮

নির্বাচনে অনিয়ম হবে না এমন নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয় ॥ সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বড় নির্বাচনে কিছু অনিয়ম থাকবেই। নির্বাচনে অনিয়ম হবে না এমন নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয়। তবে অনিয়ম হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, পাঁচ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে কোথাও কোথাও অনিয়ম হয়েছে। যেখানে বেশি অনিয়ম হয়েছে, সেখানে ইসি ব্যবস্থা নিয়েছে। মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সিইসি। তিনি বলেন, গত পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যেখানে যত বেশি অনিয়ম হয়েছে আমরা সেখানে তত বেশি ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ধরনের পাবলিক নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়। বরিশালে বেশি অনিয়ম হয়েছে, সেখানে ইসি বেশি ব্যবস্থা নিয়েছে। অনেকগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত আছে বলে উল্লেখ করেন। জাতীয় নির্বাচনেও এমন অনিয়ম হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি না যে জাতীয় নির্বাচনে কোন অসুবিধা হবে। যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নির্বাচনের পরিবেশের সুব্যবস্থা আছে। কোন অসুবিধা দেখি না। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইসি কোন অস্বস্তিতে নেই। মনে করি না, জাতীয় নির্বাচনে এ রকম অসুবিধা হবে। তবে পাবলিক নির্বাচন, বড় বড় নির্বাচনে কোথাও কোন অনিয়ম হবে না এই নিশ্চয়তা দেয়ার সুযোগ নেই। তদন্ত করে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে প্রস্তুতি আগে থেকেই নেয়া হচ্ছে জানিয়ে নুরুল হুদা বলেন, ডিসেম্বরের শেষ দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে সংসদ নির্বাচন হবে। নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অক্টোবরের শেষে তফসিল ঘোষণা করা হবে। শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশের কোন সম্পর্ক নেই। এটা নিয়ে ইসির উদ্বেগেরও কিছু নেই। নির্বাচনী পরিবেশ আছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা হয়েছে, সীমানা নির্ধারণ হয়েছে, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের কাজ চলছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নির্বাচন নিয়ে কোন কথা বলেনি। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন সম্প্রতি বলেন, ইসির ওপর জাতির আস্থা নেই। এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ড. কামাল কীভাবে দেখেন তা আমি জানি না। জাতির কী পরিসংখ্যান তার কাছে রয়েছে, সেটা আমার জানা নেই। একটা কথা বলতে হলে পরিসংখ্যান নিতে হবে। জাতি কি তাকে বলেছে নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা নেই এ সম্পর্কে ‘আমি’ তো কিছু জানি না বলে উল্লেখ করেন। বিএনপিসহ স্টেকহোল্ডারদের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন অস্বস্তিতে নেই বলেও জানান তিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে ইটিআই ভবনে ‘প্রতিবন্ধী ভোটারদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা’ শীর্ষক কর্মশালা উদ্বোধন করেন সিইসি। ২৭ জেলায় স্মাট কার্ড বিতরণের উদ্বোধন আজ ॥ এদিকে সারাদেশে ভোটারদের কাছে স্মার্ট কার্ড বিতরণের ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার আরও ২৭ জেলার নাগরিকদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু করতে যাচ্ছে ইসি। ইসির যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান জানান, ২৭টি জেলায় একযোগে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনাররা বুধবার বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষ হতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। যে সব জেলায় আজ থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে তার মধ্যে রয়েছে মানিকগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, নরসিংদী সদর, শেরপুর সদর, জামালপুর সদর, ময়মনসিংহ সদর, টাঙ্গাইল সদর, কিশোরগঞ্জ সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, লক্ষ্মীপুর সদর, চাঁদপুর সদর, ফেনী সদর, নাটোর সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, সিরাজগঞ্জ সদর, নওগাঁ সদর, চুয়াডাঙ্গা সদর, মাগুরা সদর, ঝিনাইদহ সদর, সাতক্ষীরা সদর, কুষ্টিয়া সদর, যশোর সদর, রাজবাড়ী সদর, মাদারীপুর সদর, ফরিদপুর ভাঙ্গা, ভোলা সদর ও মৌলভীবাজার সদর। এর আগে ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর একযোগে ৩৭টি জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
×