ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিজেকে উপস্থাপন কর স্বকীয়তাপূর্ণ সৌন্দর্যে

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ৭ আগস্ট ২০১৮

নিজেকে উপস্থাপন কর স্বকীয়তাপূর্ণ সৌন্দর্যে

পারসোনাল ব্র্যান্ডিং! বর্তমান সময়ে নিজেকে দারুণভাবে উপস্থাপন করাটা একটা বড় ব্যাপার, হোক সে যে কোন পেশার মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই যুগে চাকরির সিভির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ব্যক্তির লিংকডইন এ্যাকাউন্ট, বিয়ের বায়োডাটার চেয়েও জরুরী হয়ে পড়ছে পাত্রের ফেসবুক এ্যাকাউন্ট! সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে নিজেকে ব্র্যান্ডিং করাটাও শিখতে হবে এখনই, সেটা খুব দ্রুত। এ বিষয়ে ডিপ্রজন্ম টিম কথা বলেছিল কয়েকজন ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টে কাজ করা ব্যক্তিত্বের সঙ্গে। তাদের কথাগুলো লিখেছেনÑ বেনজির আবরার আজমাঈন রহমান ব্র্যান্ড স্পেশালিস্ট সত্যি কথা বলতে কি, আপনার অনলাইন ও অফলাইন নেটওয়ার্ক কতটা বড় এবং কত মানুষ আপনাকে চিনে এটা অনেক বড় একটা বিষয় হয়ে দাঁড়াবে ২০২০ সালের দিকে। যে কোন ক্ষেত্রেই সবাই চায় পরিচিত মুখ, সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই যদি আপনি আপনার প্রোফাইলটি খুব সুন্দর ও গোছানোভাবে মেইনটেইন করেন তবে তা আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে অনেকটা। এবার আসি কীভাবে করবেন, কেউ যদি আপনার সম্পর্কে জানতে চায় তাহলে প্রথমে খুঁজবে গুগলে। সুতরাং কমপক্ষে ৫টি সোশ্যাল এ্যাকাউন্ট খুলুন, তবে অবশ্যই সবগুলো নিজের নাম দিয়ে এবং একই নামে খুলুন, যেমন- গুগল+, ফেসবুক, খরহশবফওহ, নষড়ম এগুলাতে এ্যাকাউন্ট থাকা অবশ্যক। আবার শুধু খুললেই হবেনা নিয়মিত আপডেট ও পোস্ট করতে হবে। সবসময় খেয়াল রাখতে হবে, আপনি যে পোস্টগুলো দিচ্ছেন তা কিন্তু অনলাইনে থেকে যায়, কোন অবস্থাতেই এমন কোন পোস্ট দেবেন না যা ভবিষ্যতে আপনার জন্য আবার বুমেরাং হয়ে আসে। পোস্ট অথবা কমেন্ট করার আগে কয়েকবার ভেবে নেবেন আপনার কারণে আবার অন্য কারও ক্ষতি হচ্ছে না তো। একটু বুঝেশুনে চললে নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং হওয়ার সুযোগ কম। যে সাবজেক্টে আপনি ভাল সেটা নিয়েই লেখালেখি শুরু করে দেন, এতে আপনার কনটেন্ট রাইটিং স্কিল ও বাড়বে আবার প্রচুর সুনামও হবে। বলে রাখা ভাল কনটেন্ট রাইটিং স্কিলের চাহিদাও কিন্তু বাড়ছে দেশে ও বিদেশে। সাঈদ রহমান চেয়ারম্যান, ব্র্যান্ড এ্যান্ড মার্কেটিং স্ট্যান্ডিং কমিটি ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। আপনার কর্মদক্ষতা আর জীবনযাত্রার অপূর্ব বুনন শিল্প অন্যের কাছে পৌঁছে দেয়ার নামই হলো পারসোনাল ব্র্যান্ডিং। এটি আপনার দক্ষতা আর অভিজ্ঞতার সঠিক মূল্যায়ন করে, এবং ব্যক্তি ‘আপনি কে’ করে তোলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। আপনার ব্যক্তিগত এবং প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য পারসোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের কোন বিকল্প নেই। এটি একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠবেন অনেক বেশি রিসোর্সফুল। তবে নিজের যোগ্যতার অতি প্রকাশ পারসোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য ক্ষতিকর। খুব সাধারণভাবে মেনে নিন, নিজের পজিটিভ দিকগুলোকে ভালভাবে প্রকাশ করতে পারলে প্রচার এমনিতেই হয়, নেগেটিভ মার্কেটিংয়ের কোনই দরকার হয় না। আপনার পারসোনাল ব্র্যান্ডিংয়ে আপনার ইমেজটাই যখন সবকিছু তখন নেগেটিভ মার্কেটিংয়ে না যাওয়াটাই উত্তম। রিবেল মনোয়ার ডিরেক্টর, ডলফিন ডিজিটাল, ড্যাফোডিল ফ্যামিলি। ব্র্যান্ড স্পেশালিস্ট পারসোনাল ব্র্যান্ডিং একজন মানুষকে সবার সামনে তুলে ধরে। আর তুলে ধরাটা কতটা শৈল্পিক হলো তা নির্ভর করে কন্টেন্ট কতটা ভাল হলো। সুতরাং ভাল মানের কন্টেট, ছবি ও ডিজাইন ব্যবহার করতে হবে। কারণ একজন ব্যক্তির যদি পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং হয় যে তিনি উচ্চশিক্ষিত আর তিনি লেখার বানান ভুল করেন তা তার জন্য নেতিবাচক ব্র্যান্ডিং হবে। সব পেশার মানুষের উচিত তার পেশা অনুযায়ী ব্র্যান্ডিং করা। এজন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে যা শেয়ার করবেন সেসবের মধ্যে যেন রুচির ছাপ থাকে। একজন কর্পোরেট ব্যক্তি যদি গ্রামে খালি গায়ে ঘুরছে এ রকম ছবি দেয় তাহলে তা নেগেটিভ অন্যদিকে তিনি কৃষকদের নাইট স্কুলে পড়াচ্ছেন এ রকম ছবি ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং। আসলে মানুষের সঙ্গে সঠিক কমিউনিকেশন তৈরিতে পারসোনাল ব্র্যান্ডিং কাজ করে। আর কাজের সঙ্গে পারসোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের মাত্রাটা কাছাকাছি থাকতে হবে। একজন কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর, একজন ম্যানেজার ও একজন সিনিয়র এক্সিকিউটিভেরটা এক হবে না। অনুরূপ একজন কলেজ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর কন্টেন্ট ও ব্র্যান্ড এক হবে না। পারসোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের কাজ করতে কোয়ালিটি এ্যাওয়ারনেস ও পারফেকশন জরুরী।
×