ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘অপারেশন জ্যাকপট’ চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হচ্ছে ১৬ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত: ০৭:২১, ৭ আগস্ট ২০১৮

‘অপারেশন জ্যাকপট’ চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হচ্ছে ১৬ সেপ্টেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ কমান্ডাদের সফল অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ঘটনাকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চলচ্চিত্রটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করবেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ চলচ্চিত্রের মহরত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক সভা হয়। এতে জানানো হয় আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রটির মহরত হবে। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মোঃ জাফর আলম ও চলচ্চিত্রটির পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম। ‘অপারেশন জ্যাকপট’ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল দেশের সমুদ্র ও নদীবন্দরগুলো অকার্যকর করে দেয়া, যাতে করে পশ্চিম পাকিস্তানীরা সমুদ্র ও নৌপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) সহজে আক্রমণ করতে না পারে। অপারেশন জ্যাকপটের চূড়ান্ত তারিখ ছিল পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে। মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নৌ কমান্ডারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সমুদ্রবন্দর ও প্রধান প্রধান নদীবন্দরে একযোগে অভিযান চালান। আকাশবাণী রেডিওতে প্রচারিত ‘আমার পুতুল আজকে যাবে প্রথম শ্বশুরবাড়ি’ গানটি ছিল কমান্ডাদের জন্য এই অভিযানের সংকেত। এ অভিযানের বিশালতা ও ক্ষয়-ক্ষতি ছিল ব্যাপক, যা পাকিস্তানসহ বিশ্বকে হতভম্ব করে দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই অভিযানের খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল। এতে করে পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের অত্যাচারের কথা জানতে পারে। ‘মনপুরা’ ও ‘স্বপ্নজাল’ চলচ্চিত্রের পর এটি হবে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় তৃতীয় চলচ্চিত্র। এর পা-ুলিপি তৈরি করেছেন তিনিই। মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদান ও নৌ কমান্ডাদের দুঃসাহসী অভিযানকে স্মরণীয় করে রাখতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি হবে চলচ্চিত্রটি।
×