ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্মাণ শেষের আগেই ধসে পড়ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ৭ আগস্ট ২০১৮

নির্মাণ শেষের আগেই ধসে পড়ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চৌগাছায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেয়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ‘যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ কর্মসূচীর আওতায় ঘরগুলো তৈরি করা হচ্ছে। উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের দেবালয় গ্রামের শুকুর আলীর ঘর নির্মাণ এখনও শেষ হয়নি। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ভবন ধসে পড়েছে। এদিকে ঘর বরাদ্দ দেয়া বাবদ ভুক্তভোগী শুকুর আলী, তার সহোদর ইউনুস আলী ও গ্রামের সামাদের কাছ থেকে ১০-১২ হাজার টাকা করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে। কোন টাকা নেয়ার কথা না থাকলেও তিন ট্রলি করে স্থানীয় বালি কিনতে হয়েছে শুকুর আলীকে। এছাড়া ঘরের মেঝে ভরাট করার জন্য এবং ঘরের ভিতের ড্যাটো রং করার জন্যও টাকা দিতে হয়েছে বলে দাবি করে শুকুর আলীর স্ত্রী বলেন, ‘আগে তো ভাঙ্গা ঘর ছিল; এক প্রকার ছিলাম। এই ঘর তো এখন ভেঙ্গে আমাদের গায়ের ওপর পড়বে। এ তো আমাদের জন্য মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। দিনে একশ টাকা মজুরিতে কামলা খাটি। আমাদের কাছ থেকে এভাবে টাকা নিয়েই যদি ঘর দেয়া হয়, তাহলে দেয়ার দরকার কী ছিল?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে দশ হাজার টাকা করে না দিলে ঘর হবে না। এই টাকা উপজেলায় দিতে হবে। পরে ঋণ করে দশ হাজার টাকা করে দেয়ার পর আমাদের ঘর দিয়েছে।’ গত ২৪ জুলাই উপজেলা পরিষদের মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম হাবিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর থেকে প্রতিটিতে ১০-১৫ হাজার টাকা করে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ তোলেন চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবাদত হোসেনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সে সভায় উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাগ্-বিত-ায় জড়িয়ে পড়েন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবাদত হোসেন। এক পর্যায়ে তিনি সভাকক্ষ ছেড়ে বেরিয়েও যান। সেদিন উপজেলা চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি (ইউএনও) যে ঘরপ্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন তার প্রমাণ আমার কাছে আছে।’
×