ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকগুলোকে সুদহারের তথ্য ১০ তারিখের মধ্যে দিতে নির্দেশনা

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৭ আগস্ট ২০১৮

ব্যাংকগুলোকে সুদহারের তথ্য ১০ তারিখের মধ্যে দিতে নির্দেশনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এখন থেকে প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ও ঋণের সুদহারের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ এক সার্কুলার জারি করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে। চলতি মাস থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। এর আগে প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এসব তথ্য দিতে হতো। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সব ধরনের আমানত ও ঋণের সুদহারের তথ্য থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ঋণ ও আমানতের সুদহার ব্যাংক ও আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এ দুটির পার্থক্য থেকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক বের করা হয়ে থাকে, যাকে বলা হয় স্প্রেড। এ ছাড়া আমানত ও ঋণের ভারিত গড় হারও ব্যাংকের পাঠানো তথ্য থেকে বের করা হয়। এসব তথ্য আর্থিক নীতিনির্ধারণী কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য ব্যবহারকারীকে প্রতি মাসের ১২ তারিখের মধ্যে স্প্রেডের তথ্য সরবরাহ করতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসব তথ্য ব্যবহার করে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগে সুদহারের হালনাগাদ তথ্য জানতে চান। আমানত ও ঋণের সুদহার নিয়ে এখন বেশ আলোচনা হচ্ছে। সম্প্রতি বেসরকারী ব্যাংকের মালিকদের পক্ষ থেকে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ আর আমানতের ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সরকারও চায়, দেশে ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে আসুক। কোন কোন ব্যাংক কিছু কিছু ঋণে সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনলেও অনেক ব্যাংকই এখনও তা করেনি।
×