ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গোলটেবিলে মোস্তাফা জব্বার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে ‘কন্টেন্ট ফিল্টারিং’ করা হবে

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৭ আগস্ট ২০১৮

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে ‘কন্টেন্ট ফিল্টারিং’ করা হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে ‘কন্টেন্ট ফিল্টারিং’ করা হবে। এ জন্য একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। কোন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা বিঘিœত হলে ইন্টারনেট বন্ধের মতো পদেক্ষেপও সরকার নিতে পারে। সোমবার ঢাকার র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ‘আইটিইউ বিটিআরসি এশিয়া-প্যাসিফিক রেগুলেটরস রাউন্ডটেবিল-২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতম সেক্রিফাইস করতেই হবে। এটি খুব সঙ্গত কারণেই করতে হবে। রাষ্ট্র বাঁচাব না ফেসবুক বাঁচাব? আমাকে অবশ্যই রাষ্ট্র বাঁচাতে হবে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মৃত্যুর গুজব ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে আমাদের ফিল্টারিংয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। ফেসবুক আমেরিকান আইন অনুযায়ী কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে। কোন কন্টেন্ট বাদ দেয়া বা অন্য বিষয়ে ফেসবুককে শুধু অনুরোধ করা যায়। আমরা কেবল ফেসবুককে অনুরোধ করতে পারি। ফেসবুক তার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী নিজেদের কাজগুলো করে। এখন ফেসবুকের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। ফেসবুক আমাদের সব কথা শোনে না, কিন্তু কিছু কথা শোনে। মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ কারণে টেলিকম বিভাগের মাধ্যমে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রকল্পটি ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ক। আশা করি এ প্রকল্প যদি শেষ করতে পারি তখন সম্পূর্ণভাবে আমরা আমাদের কন্টেন্ট ফিল্টারিং অথবা যে ধরনের বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করা দরকার সেগুলো করতে সক্ষম হব। কবে নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এটি টেবিলে ছিল। এই প্রকল্পে অনেকে যুক্ত আছে। সবাইকে নিয়ে কাজটি শেষ করতে হবে। ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর পর ঢাকার ধানম-িতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষ হলে শনিবার সন্ধ্যার পর ২৪ ঘণ্টার জন্য মোবাইল ইন্টারনেটের ফোর জি ও থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। আগামী নির্বাচনের সময় বা কোন ঘটনা ঘটলে আবারও ইন্টারনেট বন্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সবার আগে রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা এবং অন্য বিষয়গুলো অস্বীকার করার উপায় নেই।
×