ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডেনমার্ক ও উত্তর কোরিয়ার সহযোগিতায় রাষ্ট্রপতির সন্তোষ

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ৬ আগস্ট ২০১৮

ডেনমার্ক ও উত্তর কোরিয়ার সহযোগিতায় রাষ্ট্রপতির সন্তোষ

ডেনমার্ক ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতগণ রবিবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে মিলিত হন। বিদায়ী রাষ্ট্রদূতদ্বয় হলেন- ডেনমার্কের মাইকেল হেমনিতি উইনথের ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত রি সং হেয়ন। খবর বাসসর। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন জানান, রাষ্ট্রপতি ডেনমার্কের কূটনীতিকের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির বিদ্যমান সম্পর্ককে চমৎকার বলে উল্লেখ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ডেনমার্কের সমর্থন ও অবদানের কথা স্মরণ করেন। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সর্বদাই ডেনমার্কের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশ ডেনমার্ক যৌথভাবে কাজ করছে এবং উভয় দেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।’ বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম এবং আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে ডেনমার্কের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে এবং সন্ত্রাস দমনে দেশটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বিশেষ করে ব্যবসা ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরও সম্প্রসারিত হবে। উত্তর কোরিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার অত্যন্ত চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে এবং উভয় দেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একে অপরকে সহযোগিতা করে আসছে। তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাংলাদেশ সবসময় যে কোন অমীমাংসিত ইস্যুতে আলোচনাকে অগ্রাধিকার দেয়। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জনগণের আতিথেয়তা এবং সরকারের সহযোগিতার মনোভাবের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই দেশের জনগণ মেধাবী এবং বুদ্ধিদীপ্ত। আমি আশা করি, এটা কাজে লাগিয়ে তারা দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে এই দুই রাষ্ট্রদূতের কার্যক্রমে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিববৃন্দ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের ও উত্তর কোরিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করুন ॥ এদিকে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ অর্থনৈতিক লেনদেনের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। নবনিযুক্ত কম্পট্রোলার এ্যান্ড অডিটর জেনারেল অব বাংলাদেশ (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করুন। আপনাদের যথাসময়ে অডিট কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি সিএজি ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যবহৃত জনগণের অর্থ যেন নিয়ম-কানুন মেনে ব্যয় করা হয়, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। জনগণের অর্থ ব্যয়ে সিএজির ভূমিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অডিট আপত্তি নিষ্পত্তিতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন।
×