প্রতিটি মানুষই চায় সুন্দর ত্বকে নিজেকে সুন্দর করে তুলতে। বাজার চলতি যেসব বিউটি প্রোডাক্ট রয়েছে, সেগুলো কতটা ভরসাযোগ্য তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন রয়েছে। আপনার মসৃণ ও কোমল ত্বকের রহস্য কিন্তু আপনার হাতের মুঠোতেই। তবে সেই মুঠো খুলতে হলে আপনাকে কিন্তু আজকের লেখাটি পড়তেই হবে। আপনার ব্যবহৃত কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান ঠিক কীভাবে ব্যবহার করবেন সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য আজ সেটাই আপনাদের জানাবো।
ফেসওয়াশ
আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। ভুল নির্বাচন ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
লেবুর রস
ত্বক পরিষ্কার করতে লেবুর রস অব্যর্থ ভূমিকা নেয়। লেবুর রস মুখে মেখে আধ ঘণ্টা পর মুখ ধুয়ে নিন। এরপরে মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
টকদই
টকদইয়েও এমন উপাদান রয়েছে যা ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। দই আধ ঘণ্টা মুখে মেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কালো ছোপ বা অন্যান্য সমস্যা এতে দূর হবে, ত্বক উজ্জ্বল হবে।
দুধের ব্যবহার
দুধ ক্লেনজার হিসাবে দারুণ কাজ করে। ত্বকে কাঁচা দুধ মাখুন। ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করে নরম কাপড় দিয়ে ধুয়ে নিন।
ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশ ত্বকের উপকারে আসে। এটি ত্বকে লাগিয়ে তার ওপরে টিস্যুপেপার দিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে টেনে তুলে ফেলুন। এর ফলে মুখে থাকা ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেডস উঠে আসবে।
গরম ভাপ নেয়া
ত্বকের মধ্যে থাকা ছোটো ছোটো ছিদ্রগুলো গরম জলের ভাপ নিলে খুলে যায়। ফলে সেখানে জমে থাকা ধুলো-ময়লা বেরিয়ে এসে ত্বক উজ্জ্বল করে।
হাইড্রেটেড থাকুন
হাইড্রেটেড থাকুন ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া খুবই প্রয়োজন। এতে শরীরের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে। ফলে ত্বকে সহজে ভাঁজ পড়ে না।
পরিমিত ঘুম
পরিমিত ঘুম সারাদিন আপনি যাই করুন না কেন, রাতে পরিমিত ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। ভাল ঘুম না হলে ত্বকের যেমন ক্ষতি, তেমনই শরীরেরও নানাভাবে ক্ষতি হয়।
ময়েশ্চারাইজার ক্রিম সঠিকভাবে ম্যাসাজ করুন
কোন ভাল ও নামী-দামী ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ভাল করে সঠিক পদ্ধতিতে মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করুন প্রতি রাতে। ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করুন ক্রিম। ত্বক ম্যাসাজের ফলে ত্বকের নিচের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এতে করে ত্বকে আসে গোলাপি আভা।
লেবুর শরবত চিরন্তন এক জিনিস। প্রতি দিনের তালিকায় এক গ্লাস ঠা-া লেবুর শরবত তো থাকাই উচিত। প্রাণ জুড়াবে আর শরীরেরও উপকার হবে। সাধারণ লেবু শরবতে ভিন্ন স্বাদ আনতে ট্যাং যোগ করতে পারেন। কিংবা বিট লবণ আর পুদিনা পাতার তরতাজা স্বাদ শরবতকে আরও মজাদার বানাতে পারে। তরমুজের মিষ্টি শরবত আরেক দারুণ পানীয় এই গরমে। দানাগুলো ফেলে দিয়ে রসটা চিপে গ্লাসে ভরে শুধু শুধুই পান করতে ভাললাগে। চিনি মেশানো যায় যদি তরমুজটা পানসে হয়, তা নাহলে চিনি ছাড়াই ঠিক আছে। মজাদার আর স্বাস্থ্যকর এসব পানীয় আপনার গরমকালকে অনেকটাই শীতল বানাবে নিঃসন্দেহে।
ত্বকের গরম মোকাবেলায় কী করণীয়?
এক বোতল গোলাপজল ফ্রিজে রেখে দিন, বাসায় থাকার সময়টা মাঝে মধ্যেই পানির সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে মুখে ঝাপটা দিন। শান্তি পাবেন। গোসলের পানি শীতল করতে বালতিতে বোতল ভরে ঠান্ডা পানি ঢেলে নিন। কয়েকটা নিমপাতা, গোলাপ, চাঁপা বা আর কোন ফুল ছড়িয়ে দিন তাতে। সুঘ্রাণে মনের শান্তি, আর ত্বকও সুন্দর হবে। ত্বকে র?্যাশ হলে নিমপাতা বেটে লাগিয়ে নিন আক্রান্ত জায়গায়। সঙ্গে কিছুটা হলুদ মিশিয়ে দিলে আরও ভাল। গরমকালে এই নিম
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: