ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৬ আগস্ট ২০১৮

 ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত যুদ্ধ সংবাদ, সঙ্গীত, ও কবিতা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের যাবতীয় বিষয় নিয়ে ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ নামের বই লিখেছেন শব্দসৈনিক, সঙ্গীতশিল্পী অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি, স্বাধীনতার ঘোষণা, চরমপত্র, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গীতসূচী, কবিতা, মীরজাফরের রোজনামচা ইত্যাদি অনুষ্ঠানমালার বর্ণনাসহ সরকার কর্তৃক গেজেটে প্রকাশিত শব্দসৈনিকদের নামের তালিকা স্থান পেয়েছে বইটিতে। জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বইটির মোড়ক উন্মোচন হয় রবিবার বিকেলে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুণ অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী, গবেষক ড. মোহাম্মদ হান্নান ও শব্দসৈনিক মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ড. অরূপ রতন চৌধুরীর লেখা এ বইটি আমার এখনও পড়া হয়নি। তবে প্রাথমিক কিছু অংশ পড়ে বুঝলাম, এ বইটিতে আমরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে দেখতে পাব। আমরা আমাদের অতীত ইতিহাসের সঠিক রূপ অরূপ রতন তুলে ধরেছেন এতে। বর্তমান ও অতীতকে বুঝতে এ বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একাত্তরে যারা অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছেন, তারাই সব কিছু নয়, স্বাধীন বাংলা কেন্দ্র না হলে, এই শব্দসৈনিকেরা না থাকলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আরও বিলম্ব হতো। শব্দসৈনিকেরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নিত্য সঙ্গী। তিনি বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ফলে, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ইতিহাস বিকৃত ছিল। শেখ হাসিনার আমলে আমাদের সেই হারানো ইতিহাস পুনরুদ্ধার হয়েছে। একাত্তরে যেমন গুজব ছিল এখনও তেমন গুজব আছে এবং সেটা রটাচ্ছে সেই একাত্তরের নরঘাতকের দোসরের উত্তরসূরিরা। আমরা সম্প্রতি শিশুদের ন্যায্য দাবির পক্ষে আছি এবং সরকার ইতিমধ্যে তাদের নয়টি দাবি মেনেও নিয়েছে। কিন্তু সেই একাত্তরের দোসরদের অনুসারীরা গুজব রটিয়ে দেশে আবার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ঘটানোর চেষ্টা করছে। আমরা কঠোর হাতে এগুলো দমন করতে চাই। প্রকাশনানুষ্ঠানে নিজের বই সম্পর্কে অরূপ রতন বলেন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেই। আমাদের ইতিহাস বিকৃতি বার বার ঘটেছে। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্যই আমার এ বইটি লিখেছি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধের একটি সেক্টর হিসেবে কাজ করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এটা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। বইটি সম্পর্কে কবি কাজী রোজী বলেন, অরূপ রতন একটি অসম্ভবকে সাধন করেছে। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বইটিতে সকল শব্দসৈনিকের নাম রয়েছে। সত্যিকার অর্থে এটি মুক্তিযুদ্ধের একটি দলিল। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছিল বাঙালীর রক্ষাকবচ। রবীন্দ্র প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে প্রাঙ্গণেমোরের ‘শেষের কবিতা’ মঞ্চস্থ ॥ শিলং পাহাড়ের প্রশস্ত পথ। বিপরীতমুখী দুটি গাড়ির পরস্পর আকস্মিক দুর্ঘটনা। এ সময় বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় ও লাবণ্যের পরিচয়। সবুজ অরণ্য ঘেরা পাহাড়ের নির্জনতায় দুর্লভ অবসরে একে অপরকে দেখে মুগ্ধ। যার পরিণতি ভালবাসায়। ‘শেষের কবিতা’ নাটকের শুরুটা ছিল এমনই। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৭তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে প্রাঙ্গণেমোরের প্রযোজনা নাটকটির বিশেষ প্রদর্শনী হয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে রবিবার সন্ধ্যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’ অবলম্বনে নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ।
×