ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৬ আগস্ট ২০১৮

 বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি

একাত্তরের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, শত্রুরা আমাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। ওরা কলহ সৃষ্টির চেষ্টা করবে। আটচল্লিশ বছরের মাথায় সেই ভাষণের সত্যতা আবার পাওয়া গেল ২০১৮ সালে। বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর নয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে টানা ছয়দিন রাস্তায় যখন বিক্ষুব্ধ কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা তখন তাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে দেশ ও সরকারবিরোধী অরাজকতায় নেমে পড়ে এসব দুর্বৃত্ত। নেপথ্যে যাদের পৃষ্ঠপোষক একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের দল ও তাদের সহযোগীরা। দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ঘোলাজলে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় তারা সশস্ত্র অবস্থায় রাজপথ দখল করে নিয়েছিল আন্দোলনের আড়ালে। ক্রমাগত গুজব ছড়িয়ে দেশবাসীকে উত্তেজিত করে তোলায় তারা সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহারই শুধু নয়, অনলাইন পোর্টালগুলোকেও কাজে লাগায়। সাধারণ শিক্ষার্থীর আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ অবস্থা হতে হিংসাত্মক করে তোলার জন্য তারা নানান কৌশল অবলম্বন করে। শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিতে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পর্কেও অসত্য ও বিকৃত তথ্য ছড়িয়ে দেয়। ইকবাল হোসেন নামে এক শিবির নেতা ফেসবুকে জানান দেয়, কারা এই অরাজকতায় সংশ্লিষ্ট রয়েছে। কয়েকটি ছাত্র সংগঠন একযোগে রাজপথ অচল করে সরকার পতনের কাজ ত্বরান্বিত করতে চায়। শনিবার সন্ধ্যায় ৮টা ৪৮ মিনিটে সে স্ট্যাটাস দেয় ‘আগামীকাল (রবিবার) ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রমৈত্রী, ছাত্রসেনা, ছাত্রসমাজসহ সকল ছাত্র কল্যাণ সংগঠনকে একযোগে রাজপথ অচল করে দাবি আদায় করতে হবে। এবং স্বৈরাচারী হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফেরব না ইনশা আল্লাহ। হয় গাজী, না হয় শহীদ। এই ইকবাল কথিত কোটা আন্দোলনকারী সংগঠন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদেরও নেতা। এই কোটা আন্দোলনে সাধারণ ছাত্ররা অংশ নিলেও শিবির ও ছাত্রদল আন্দোলনকে ‘হাইজ্যাক’ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের দাবি মেনে নিয়ে সংস্কার বিষয়ে সচিবদের কমিটি গঠন করেন। কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে। কোটা আন্দোলন শিবির ও ছাত্রদলের হাতে চলে যাবার পর তাদের অরাজকতার মাত্রা বেড়েছে। তারা রবিবার শিক্ষাঙ্গনে ধর্মঘট ডেকেছে। এমনকি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে ঢুকে পড়ে নৈরাজ্যকর অবস্থানের দিকে নিয়ে গেছে। বাম নামধারী ছাত্রসংগঠনগুলোর কর্মী-সমর্থকদের তৎপরতাও ফেসবুকে চোখে পড়ার মতো। সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়ে তাদের বক্তব্যগুলো বেশ উস্কানিমূলক বলা যায়। আবার বর্তমান সরকারের শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য উস্কানির সহায়ক হয়েছে বলা যায়। যে পরিবহন ব্যবস্থার অনিয়ম, নৈরাজ্য ও অদক্ষপনা নিয়ে কোমলমতি ছাত্ররা রাজপথে নেমে এসেছিল সেই সড়ক পরিবহনমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন তাদের আন্দোলন যৌক্তিক। আন্দোলনকারীদের নয় দফা দাবির প্রতি সর্বমহলের সমর্থন থাকা ও প্রধানমন্ত্রীর তাদের ঘরে ফিরে যাওয়া এবং শিক্ষায় মনোনিবেশ করার আহ্বান জানানোর পর দেখা গেল, অধিকাংশই ফিরে গেছে। কিন্তু অনেক অছাত্র স্কুল-কলেজের ড্রেস পরে, পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে রাস্তায় নেমে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ তৈরি করে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী এদের অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে এদের উস্কানিতে বিভ্রান্ত না হতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। তার মতে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সাম্প্রদায়িক মিত্রশক্তি সওয়ার হয়েছে। ভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশে যৌক্তিক আন্দোলনকে তারা অযৌক্তিক পথে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। আন্দোলনে তাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও শিক্ষার্থীদের এসব দাবির ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। এমনকি তারা এটাও বলেছেন, শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসায় সড়ক ঘিরে দীর্ঘদিনের জঞ্জাল ও আবর্জনা দূর হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তাই অহিংস পন্থায় শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের কর্মসূচীতে শুরু থেকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেয় সরকারওÑ নেতা বা সাংগঠনিক ভিত্তি ছাড়া দাবি আদায়ের এমন জোরালো আন্দোলন ছিল অভূতপূর্ব। অধিকাংশ ঘরে ফিরে গেলেও রাজপথের কর্মসূচী ক্রমশ সহিংস হয়ে ওঠে। বাস ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সরকারী প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটতে থাকে। কোথাও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এক পর্যায়ে তারা দাবি মানার জন্য এক মাসের সময় দিয়ে রাজপথ ছেড়ে গেলেও ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরসহ তাদের সহযোগীরা জনদুর্ভোগ তৈরির জন্য রাজপথে থেকে যায়। তারা রাতেরবেলায়ও বিভিন্ন স্থানে গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষার নামে চাঁদাবাজি, এমনকি দুর্ব্যবহারও শুরু করে। তাদের অপতৎপরতায় যানজটের মাত্রা বাড়ে, বাড়ে জনদুর্ভোগ। ভাংচুরের ঘটনায় রাস্তায় বাসের সংখ্যা হ্রাস পায়। ছাত্রছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে বা তাদের মধ্যে ঢুকে পড়ে তারা আইন অমান্য শুরু করে। পুলিশকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে তাদের গালাগালি, আক্রমণ করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। সংগঠিত এই শক্তি এমনভাবে সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় যে, রাস্তায় যানবাহন নিয়ে বেরোতে পারছেন না অনেকে। এদের মুখ থেকে পুলিশ এবং রাজনীতিককে লক্ষ্য করে অশ্লীল শব্দ ও গান উচ্চারণ করতে শোনা যায়। প্ল্যাকার্ড বহনকারী শিক্ষার্থীদেরও ব্যানারে অশ্লীলতার এমন সব ছড়াছড়ি দেখে তাজ্জব বনে গেছে সবাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, অভিভাবক, শিক্ষক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ সকলকে অনুরোধও জানিয়েছেন সন্তানদের রাস্তা থেকে সরিয়ে নিতে। একটা জিনিস সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে এই কারণে যে, নারায়ণগঞ্জে যখন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ঘরে ফিরিয়ে নিতে পেরেছেন, আজ ঢাকায় সংসদ সদস্যদের কোথাও দেখা যায়নি। তাদের কণ্ঠও শোনা যায়নি। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন ঘিরে যখন সাধারণ শিক্ষার্থীর ভিড়ে শিবির ও ছাত্রদল মিশে গিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে তখন রাজধানীর কোন সংসদ সদস্য বা ওয়ার্ড কমিশনারের কোন কার্যকর তৎপরতা দেখা যায়নি। কোন ভূমিকা পালনও তারা করেনি। অথচ সব আসনের সংসদ সদস্যরা তাদের সংসদীয় এলাকার সমস্ত স্কুল-কলেজের গবর্নিং বডিতে তাদের পছন্দের লোকদের পদায়ন করেছেন। অথচ সরকারী নির্দেশের পরও কেমন করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে জড়ো হচ্ছে, তা সংসদ সদস্যরা স্ব স্ব এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করার কাজটি করেননি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রতি তাদের যে দায়বদ্ধতা, তা তারা পালনে এগিয়ে আসেননি। যা ভাবার বিষয়। কেন তারা নির্বিকার রয়ে গেছেন, তা স্পষ্ট নয়। তাদের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টার বিপরীতে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে তারা যদি এগিয়ে না আসেন, তবে পরিস্থিতি যেদিকে যাবে, সেখানে তারা নিজেরাও গা বাঁচাতে পারবেন না। এমন উপলব্ধি সম্ভবত তারা করেন না। কোমলমতিদের আন্দোলন ছিল অভূতপূর্ব। যা দেশবাসীও সমর্থন করেছে। কিন্তু সেই আন্দোলনকে পুঁজি করে দেশব্যাপী অরাজকতা তৈরি করা হচ্ছে। তখন জনগণ তা মেনে নিতে পারে না। শিবির-ছাত্রদলসহ অপশক্তি তাদের এই অরাজকতার বিস্তারে বেছে নেয় ফেসবুক। যেখানে এক সিনেমাভিনেত্রী এমন সব মিথ্যাচার চালান, যা পরিস্থিতিকে অবনতির দিকে টেনে নিয়ে যায়। তিনি দাবি করেন, ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মেয়েদের আটক করা হয়েছে। এমনকি আরও নীচে নেমে গিয়ে বলেন, তাদের সেখানে ‘রেপ’ করা হচ্ছে। তার এই সচিত্র ভাষ্যে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালে পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। শিবির-ছাত্রদলের সশস্ত্র গ্রুপরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। অনেককে আহত করে। ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীদের রক্তাক্ত চিত্র ফেসবুকে দিয়ে প্রচার করতে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগের হামলা। এভাবে আরও বহুজন গুজব ছড়াতে থাকে যে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হয়েছে। ধানমন্ডি লেকে অনেকের লাশ ফেলে দেয়া হয়েছে। মেয়েদের টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে এসব গুজবের বিশাল প্রভাব দেখা যায়। ২০১৩ সালের মে মাসে হেফাজতের অবস্থান কর্মসূচীতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে বলে যেভাবে গুজব ছড়ানো হয়েছিল, এখানে একই পন্থা অবলম্বন করা হয়। পুলিশ কমিশনারও বলেছেন, আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে একটি গোষ্ঠী। এ জন্য স্কুল ও কলেজ ড্রেস বানায় গোষ্ঠীটি। তাদের লোকজনকে এসব ড্রেস পরিয়ে আন্দোলনকারীদের ভেতরে ঢুকিয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলাসহ বিভিন্নস্থানে অরাজকতার কাজটি যে পূর্বপরিকল্পিত, তার প্রমাণ শুধু বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীই নয়। আরও জড়িত রয়েছে কয়েকজন। শনিয়ার ওয়াহিদ নামের এক কবির আইডি থেকে মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠানো হয়, ‘আগামীকাল মন্ত্রী-এমপিরা ১০০০-১৫০০ বস্তির ছেলেকে রাস্তায় নামাবে। যাদের কাজ হবে মেয়েদের যৌন নির্যাতন করা, গাড়িভাঙ্গা, গাড়িতে আগুন দেয়া। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশ সাধারণ ছাত্রের ওপর আক্রমণ চালাবে। ফল ছাত্রদের ওপর সাধারণ মানুষ ক্ষেপবে।’ ওই মেসেজে বলা হয়, ‘অনুগ্রহপূর্বক নিউজটি মেসেজের মাধ্যমে শেয়ার করবেন। কোন প্রকার পোস্ট দেবেন না।’ মেসেজটি স্পষ্ট করে যে, সবই পূর্ব পরিকল্পিত। কারণ ঢাকার কোন সংসদ সদস্যকে মাঠে দেখা যায়নি। মন্ত্রীরাও নয়। অথচ অপশক্তি গুজব রটাতে পিছপা হয়নি। মুখোশ পরে জঙ্গী কায়দায় ‘লাইভ’-এ উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ফেসবুকে ছেড়েছে যারা তারা শিবির অবশ্যই, পরিকল্পিত পোশাক, কালো টি শার্ট, মুখে লাল কাপড়ের পট্টি পরে এরা রাস্তায় নেমেছিল, ইসলামী ছাত্রী সংস্থার মেয়েরা হিজাব পরে রাস্তায় নেমেছিল। কেউ কেউ মুখ ঢেকে ক্যামেরার সামনে ভাষ্য দিয়ে বলেছে, মেয়েদের ‘রেপ’ করা হচ্ছে। অভিনয়ে তাদের পারদর্শিতা প্রশ্নাতীত। আওয়ামী লীগ অফিসে হামলাকারীদের পিঠে ব্যাগ, মাথায় হেলমেট, হাতে তলোয়ার, নতুন ইউনিফর্ম পরিহিত ছিল। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলি। ফেসবুকে তার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল রবিবারও শিবির-ছাত্রদলের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা-কর্মীরা রাজপথে নেমেছিল। অরাজকতার ক্ষেত্রে তারা সুবিধা করতে পারেনি। যারা গুজব রটিয়েছিল তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেলে স্পষ্ট হবে, কারা-কীভাবে-কেন অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করছে। সামনে নির্বাচন। আর ক’মাস বাকি। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামায়াতের হয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরিতে নামবে বলা যায়। বর্তমানে বহমান সময়টা অস্থির একটা সময়। দেশপ্রেমিক বাঙালীকে তাই দৃঢ়চেতা হয়ে এই সময়টাকে অতিক্রম করতে হবে। অন্যায়কে যেমন শত বাহানা দিয়ে ন্যায় করা যাবে না তেমনি গুজবকেও সত্য বলা যাবে না। গুজব রটানোরা গুজব রটাবেই। নাশকতাকারীরা অরাজকতা তৈরি করতে চাইবে। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় তাই দেশপ্রেমিকদের গাইতে হবে, ‘বুক বেঁধে তুই দাঁড়া দেখি’।
×