ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিবিড় অনুশীলনে সালমারা

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ৫ আগস্ট ২০১৮

বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিবিড় অনুশীলনে সালমারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সামনেই টি২০ বিশ্বকাপ। ৯ থেকে ২৪ নবেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজে হবে টি২০ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলও। বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছে সালমাবাহিনী। দুর্দান্ত খেলছেও। তাই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে নিয়ে আশাবাদীও হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দেশের নারী ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপকে ঘিরে মহাপ্রস্তুতিও নিচ্ছে। টানা প্রস্তুতির মধ্যেই আছেন সালমারা। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়া নারী ক্রিকেট দলের ম্যানেজার ও বিসিবি উইমেন্স উইং অপারেশন্স ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম নারী ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি নিয়ে জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘নারী দলের একটি ক্যাম্প চলছে বর্তমানে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এখন থেকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত মেয়েরা একটা প্রোগ্রামের মধ্যে থাকবে। প্রোগ্রামের একটা পার্টে আট সপ্তাহ দীর্ঘ ট্রেনিং হবে। ট্রেনিংয়ে দুই-তিনটি ভাগ থাকবে। ট্রেনিংয়ে ফিটনেস, স্কিল ও ম্যাচ থাকবে। প্রথম ধাপে আছে এখন ওরা। এই ধাপে আমরা ওদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করব। পরে ওরা কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে।’ বিশ্বকাপের আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টাও চলছে বলে জানান ফাহিম, ‘ওইটার আলাপ আলোচনা চলছে। আমরা আশা করছি অক্টোবরের শুরুতে একটা দলকে পাব। ওদের সঙ্গে চার-পাঁচটা টি২০ ম্যাচ খেলব। যা আমাদের প্রস্তুতিটা আরও ভাল করবে।’ মেয়েদের ঘরোয়া লীগ আয়োজনেরও চেষ্টা চলছে। অপারেশন্স ম্যানেজার জানিয়েছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই কিছু সুপারিশ করেছি। এই মুহূর্তে যেই স্ট্রাকচারটা আছে, সেটা আরেকটু দীর্ঘ করার চেষ্টা করছি। নিচের দিকে আমরা একটি অনুর্ধ-১৮ টুর্নামেন্ট শুরু করব। আগে কোন বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে ছিল না। এটা করতে পারলে ওই বয়সে নিচের দিকে যারা আছেন তারাও প্রতিযোগিতামূলক খেলে ওপরে উঠে আসবে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এখন যে ডিভিশনাল খেলাটা হয় সেখান থেকে ছেলেদের মতোই জোন করে আরেকটা টুর্নামেন্ট করার চিন্তা করা হচ্ছে। সেখানে দুইদিনের খেলা চালু করার পরিকল্পনা আছে। এর ফলে একটি পিরামিড দাঁড় করানো যাবে। যারা এই চার জোনে খেলবে তারা খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারবে।’ চার জোনের টুর্নামেন্ট কী ফ্রেঞ্চাইজিভিত্তিক হবে? সেটার নিশ্চয়তা দিতে পারলেন না ফাহিম, ‘এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে যেই কনসেপ্টটি চিন্তা করা হচ্ছে সেটা যদি আমরা করতে পারি, তাহলে অনেক প্রতিযোগিতাপূর্ণ খেলা হবে। ওখানে প্লেয়ারদের মান খুব ভাল হবে। কিছুটা কম ম্যাচ হবে কারণ, টুর্নামেন্টটা হবে চার দলের। কম ম্যাচে হাই স্ট্যান্ডার্ড ক্রিকেট খেলা সম্ভব। ভাল মানের সুযোগ-সুবিধা দেয়া, ভাল মাঠে খেলা, এসব বিষয়। ইন্টেনসিটি ভাল হবে এটা করতে পারলে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আগ্রহ আমরা চার দিক থেকেই দেখছি। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের আগ্রহটা অনেক বেশি। সেটার ফায়দা নিশ্চয়ই নিতে চাইবে। এখন তো একটা কমার্শিয়াল ভ্যালু দাঁড়াচ্ছে এবং সেটার সুবিধা অবশ্যই নিতে চাইবে এবং আমাদেরও উচিত সেটাকে আরও উৎসাহ দেয়া।’ নারী ক্রিকেটারদের ব্যস্ত প্রস্তুতির সময়টা ফিটনেস নিয়ে কাজ করা দিয়েই শুরু হচ্ছে। তাই জানালেন ফাহিম, ‘আমাদের এই ক্যাম্পটার প্রথম ধাপেই আমরা ফিজিক্যাল ফিটনেস নিয়ে কাজ করব। ফিজিক্যাল ফিটনেসের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকবে পাওয়ার হিটিং। আমাদের দলের মধ্যে কয়েকটা মেয়ে আছে, চার-পাঁচটা মেয়ের কথা আমি বলতে পারি যারা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারে। যার উদাহরণ আমরা পেয়েছি কিছু কিছু ম্যাচে। পাওয়ার হিটিং যদি ছয় মারা হয়, আমাদের কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা ছয় মারতে পারে এবং ছয় মারার জন্যই কিন্তু ওরা দলে আছে। আগে ওদের মধ্যে একটা মানসিক জড়তা ছিল। ওরা নিজেরাই জানত না যে ওরা ছয় মারতে পারে। এখন সেই জড়তা নেই। ওরা বেশ কিছু ম্যাচে খুবই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছে।’
×