ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রশমনে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ জরুরী

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৫ আগস্ট ২০১৮

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রশমনে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ জরুরী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য (হেইট স্পিচ) প্রশমনে সব ধর্মের নেতাদের নিয়ে নিয়মিত সংলাপ আয়োজন জরুরী বলে মনে করেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। ‘ধর্ম যার যার, আমরা সবার’ এই সেøাগান নিয়ে সারাদেশে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতে চান পরিষদের নেতারা। তারা বলেন, মসজিদের ইমামসহ যে সকল আলেম সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ-মাহফিল করেন, তাদের সঙ্গে নিয়ে এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে। এজন্য নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। শনিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ‘আর্টিকেল ১৯’ আয়োজিত, ‘শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল সমাজ গঠনে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রশমন’ র্শীষক কর্মশালায় পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন। আর্টিকেল ১৯ এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক তাহমিনা রহমানের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য দেন ঐক্য পরিষদের সভাপতি হোবার্ট গোমেজ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়াত ফেরদৌস। কর্মশালায় হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এ্যাসোসিয়েশন, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নারী পরিষদ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশন এবং পূজা উদ্যাপন পরিষদের ২৬ জন নেতাকর্মী অংশ নেন। কর্মশালায় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্পর্কিত আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে তাহমিনা রহমান বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার-প্রচারণা রোধে ধর্মীয় নেতাদের পাশাপাশি গণমাধ্যমেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। কেননা, গণমাধ্যম সমাজে ইতিবাচক শিক্ষা ছড়িয়ে দেবার মাধ্যমে পরির্বতন আনতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম। অধ্যাপক রোবায়াত ফেরদৌস বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে সব ধর্মের মানুষকে সহনশীল হয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তুলতে হবে। হোবার্ট গোমেজ বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিভিন্ন ভিত্তি সম্পর্কে ধর্মীয় নেতাদের স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। ধর্মীয় অনেক বক্তব্য আপাত দৃষ্টিতে বিদ্বেষমূলক হলেও আন্তঃধর্মীয় সংলাপের মধ্যে এই বিদ্বেষভাব প্রশমন করা সম্ভব।
×