ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাঙ্গামাটি মিনি চিড়িয়াখানায় অনিয়ম

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ৫ আগস্ট ২০১৮

রাঙ্গামাটি মিনি চিড়িয়াখানায় অনিয়ম

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি ৪ আগস্ট ॥ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার একমাত্র চিড়িয়াখানাটি অব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও নানা অনিয়মের কারণে একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। রাঙ্গামাটি শহরের উপকণ্ঠে সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের এই মিনি চিড়িয়াখানাটি উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগার কারণে দিন দিন এটি শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। এক সময় এই চিড়িয়াখানার প্রাণী দেখার জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা হুমরি খেয়ে পড়ত। সেখানে বেহাল অবস্থা বিরাজ করয় এই চিড়িয়াখানায় আর কোন পর্যটকের পদচারণা দেখা যায় না। এক সময় সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত ছিল। অনেক প্রাণী মরে যাওয়ায় চিড়িয়াখানাটি জৌলুসহীন হয়ে পড়েছে। চিড়িয়াখানায় বর্তমানে রয়েছে তিনটি হরিণ, তার্কি ২টি, ভল্লুক ১টি, অজগর ২টি, সজারু ২টি, বানর ৪টি, হনুমান ১টি, কচ্ছপ ১টি, খরগোশ ৩টি ও বন মোরগ ৬টি। এই সব প্রাণীর জন্য জেলা পরিষদ থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সেখানে নিয়োজিত কর্মচারীদের কেউই প্রাণীদের রক্ষণাবেক্ষণে অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নন। আর এই অনভিজ্ঞতার কারণেই ইতোমধ্যে খাঁচায় জন্ম নেয়া হরিণ শাবক মারা গেছে। সময়ে সময়ে শুধু প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বের হাত বদল হলেও চিড়িয়াখানার উন্নয়নে কোন পরিবর্তন হয়েনি। বরং নানাভাবে প্রাণীদের খাবারের টাকাও নয়ছয় হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে জানার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি সাধন মনি চাকমার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। পরিষদ সূত্রে জানা গেছে এই সব প্রাণীর রক্ষণাবেক্ষণ এর জন্য বছরে ৬ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হচ্ছে অথচ এই প্রাণীগুলোর জন্য কয়েক মাস আগেও মাসে ১২ হাজার টাকা খরচেই প্রাণীকুল সুস্থ ও সবল ছিল। ২০০২ সালে ৩৫ একর পাহাড়ী জমির ওপর রাঙ্গামাটি শহরের উপকণ্ঠে চিড়িয়াখানাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
×