ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সান্তাহারে সাবেক স্বামী খুনের স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ৫ আগস্ট ২০১৮

সান্তাহারে সাবেক স্বামী খুনের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ৪ আগস্ট ॥ স্ত্রীর পরকীয়ায় সাবেক স্বামী গোলাম রব্বানি সুজনকে খুনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৩ খুনীকে সান্তাহার ফাঁড়ি পুলিশ গ্রেফতার করে বগুড়ার আদালতে পাঠিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার কির্তিপুর ইউপি সদস্য আতাউর রহমান বাচ্চু, কির্তিপুর বাজার পশ্চিমপাড়ার জিয়ারুল হক জিয়া একই এলাকার রাজ্জাক ওরফে আসাদ । মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম এবং থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সায়িদ ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুজন খুনের পুরো রহস্য উদঘাটন এবং তিন দিনের মধ্যে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া তিন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করে খুনের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। জানা গেছে, নওগাঁ সদর উপজেলার সালোবাজ পাহাড়পুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে গোলাম রব্বানি সুজনের স্ত্রী কির্তিপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য উম্মে হাবিবা জারকার সঙ্গে একই ইউপি সদস্য আতাউর রহমান বাচ্চুর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ অবস্থায় ১৯ জুলাই স্ত্রী উম্মে হাবিবা জারকা তার স্বামী সুজনকে তালাক দেয়। সুজন-জারকার দাম্পত্য চলার সময় সুজন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৩ বিঘা জমি তার স্ত্রী জারকা ও মেয়ে সুজাতার নামে লিখে দিয়েছিলেন। সেই জমি মা-মেয়ে মিলে অন্যত্র বিক্রয় করলে সুজন বাধা হয়। এক সময় তারা পথের কাঁটা সুজনকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয়। এর অংশ হিসেবে জমি বিক্রি করা টাকার ভাগ হিসেবে টাকা দেয়ার অজুহাতে ২৯ জুলাই রাতে সুজনকে সান্তাহার শহরের পশ্চিম লকো কলোনিতে থাকা স্ত্রী জারকার ভাই নাসিমের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে জারকার প্রেমিক বাচ্চু মেম্বারকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সুজন। বাগ্বিত-ার এক পর্যায়ে বাচ্চু মেম্বার ও তার দুই সহযোগী মিলে সুজনের হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং বাচ্চু মেম্বার সুজনের ঘাড় মটকে দেয়। এরপর জারকা সুজনের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
×