ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৫ আগস্ট ২০১৮

পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশ

(গতকালের চতুরঙ্গ পাতার পর) এ আইনে বর্তমানে সনাতন প্রযুক্তির ১২০ফুট চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটাসমূহে ইট উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে সনাতন পদ্ধতির ইটভাটাসমূহকে হাইব্রিড হফম্যান কিলন (Hybrid Hoffman Kiln), জিগজ্যাগ কিলন (Zigzag Kiln), ভার্টিক্যাল স্যাফট ব্রিক কিলন (Vertical Shaft Brick Kiln), টানেল কিলন (Tunnel Kiln)বা পরীক্ষিত অন্য কোন উন্নত পরিবেশসম্মত এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তিতে রূপান্তর করে ইট পোড়ানো কার্যক্রম পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। উক্ত আইনে ইট পোড়ানোর কাজে যে কোন উদ্ভিদজাত জ্বালানির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইট পোড়ানোর কাজে নির্ধারিত মানমাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ, মারকারী বা অনুরূপ উপাদান সংবলিত কয়লা জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের সীমার ১ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে কোন ইটভাটা স্থাপন করা যাইবে না। ইতোমধ্যে দেশে ৪৭০০টি ইটভাটা আধুনিক প্রযুক্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। এ যাবৎ ৪৯.৮৪% ইটভাটা পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইসকল ইটভাটাকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে রূপান্তরের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। যানবাহন হতে সৃষ্ট বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ যানবাহন , যানজট আর পরিবেশ দূষণের বিরূপ প্রভাব মানুষের চরম ক্ষতি করছে। প্রকৃতপক্ষে শহরে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ শুধুমাত্র শিল্প কারখানাজনিত কারণে সৃষ্ট নয়- এ দূষণ জীবাশ্ম জ্বালানি-দহন সৃষ্ট যানবাহন নির্গত বিষাক্ত গ্যাসজনিত। যানবাহন শহরের বাতাসে কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড জাতীয় ক্ষতিকারক গ্যাসের পুঞ্জীকরণ ছাড়াও ধুলোবালির মিশ্রণ ঘটিয়ে শহর ও তার পারিপার্শ্বিক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বায়ুম-লকে দূষিত করে তোলে। বৈশ্বিক বায়ূ পরিস্থিতি ২০১৭ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে জানানো হয়। আর বায়ু দূষণের কারণে শিশু মৃত্যু হারের দিক থেকে পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। ঢাকা চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে বর্তমানে ধুলা দূষণ প্রকট আকার ধারণ করেছে। স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ধুলাজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ। রাস্তার পাশে দোকানের খাবার ধুলায় বিষাক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগজীবাণু মিশ্রিত ধুলা ফুসফুসে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও যক্ষাসহ নানা জটিল রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ, যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে বায়ুদূষণের কারণে প্রতিদিন ১০৩ জন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বিশেষত দেশের নগর এলাকাগুলো মৃত্যুকূপে পরিণত হচ্ছে বায়ুদূষণের কারণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে সারা বিশ্বে প্রতি ৮ মৃত্যুর একটির কারণ এই বায়ুদূষণ। ডব্লিউএইচও তাদের প্রতিবেদনে জানায়; গত এক দশকে বায়ুদূষণে মৃত্যূর হার চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে গড়ে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৮০ লাখ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে, বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তীয় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে প্রাণহানির হার সবচেয়ে বেশি। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয় ৮০ লাখের মধ্যে ৩৭ লাখ মানুষ মারা যায় ঘরের বাইরের বায়ু দূষণের কারণে। আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি) তথ্যমতে বাইরের বায়ুদূষণ মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টির একটি কারণ। বিশেষ করে ফুসফুস ও মূত্রাশয়ের ক্যানসাররের অন্যতম কারণ বায়ু দূষণ। এই অনাকাংখিত প্রাণহানি ঠেকাতে ৬৮তম সভায় বিশ্বের সকল দেশকে বায়ু দূষণ রোধে সোচ্ছার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। দূষণ রোধে করণীয় সম্পর্কেও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। জ্বালানির ব্যবহার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও আলোর প্রযুক্তিতে দূষণকারী পদার্থে নির্গমন যথাসম্ভব কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে এ বৈঠকে। তাছাড়া অবিরত বিকট উচ্চ ডেসিবেলের শব্দে শহরাঞ্চলে শব্দদূষণের মাত্রাও অস্বস্তিকর ও অসহ্যকর। তাই শহরাঞ্চলে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে যানবাহন চলাচলে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আনা অত্যাবশ্যক। নগরে যানবাহনের সংখ্যা ইদানীংকালে অভাবনীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিরন্তর বেড়েই চলেছে। যানবাহন সৃষ্ট বায়ুদূষণ হ্রাস পেলে বৈশ্বিক উঞ্চায়নের প্রভাব যে অনেকটাই প্রশমিত হবে, তা বিশেষজ্ঞরা সম্যক উপলব্ধি করতে পেরেছেন। গোটা বিশ্বে যানবাহন সৃষ্ট মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে গ্রিনহাউস গ্যাসের সংকটজনক বৃদ্ধি, শিশুদের ক্রমবর্ধমান স্থূলতা প্রশমনে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবি। সরকার যানবাহন হতে সৃষ্ট বায়ুদূষণ, ধুলা প্রতিরোধে পরিবেশ আইন অনুসারে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধুলাদূষণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করা, ধুলা দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদফতরের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বিষয়ক কার্যক্রমকে জোরদার করা হয়েছে। ডিজেলচালিত পুরনো মোটরযান বস্তুকণা নিঃসরণের আরেকটি প্রধান উৎস। যানবাহন সৃষ্ট বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মিতভাবে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে গাড়ীর ধোঁয়া পরিবীক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করছে এবং অধিক দূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। দেশের বিভিন্ন লোকেশনে পেট্রোল ও ডিজেল চালিত মোটরবাইক, কার, মাইক্রোবাস, মিনিবাস, বাস, ট্রাক, মিনিট্রাক এবং অটোরিক্সার নিঃসৃত ধোঁয়া পরিবীক্ষণ, ফলাফল বিশ্লেষণ ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দূষণ সৃষ্টিকারী মোটরযান ডাম্পিং করার পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। সরকার ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহরের বায়ুদূষণ রোধের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ৪৮৬.৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘নির্মল বায়ু ও টেকসই’ পরিবেশ প্রকল্পটি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি জুলাই ২০০৯ হতে শুরু হয়েছে। প্রকল্পের অধীন বায়ুদূষণ মনিটরিং, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ, গবেষণা এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়ের অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় বায়ুদূষণ মাত্রা পরিমাপ করার নিমিত্ত ঢাকায় ০৩টি, চট্টগ্রামে ০২টি, রাজশাহী ও খুলনা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট ও বরিশাল শহরে ১টি করে সারাদেশে মোট ১১টি সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ স্টেশন চালু করা হয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্য ও ইলেকট্রনিক দূষণ সমগ্র বিশ্বে প্ল্যাস্টিক ও ইলেকট্রনিক দূষণ ভয়াবহ মাত্রা ধারণ করেছে। ফেলে দেয়া বা ব্যবহার করা ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক্স পদার্থ থেকে বেশ ভালমাত্রায় দূষণ ছড়ায়। উন্নত বিশ্বে ব্যবহার হওয়ার পর কম্পিউটার, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশের মতো পুরনো ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক পণ্য আনা হচ্ছে দেশে। এসব পণ্য থেকে দূষণ ছড়িয়ে মানবদেহে দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগব্যাধি। ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ সাধারণত মাটির সঙ্গে মেশে না। এসব যন্ত্রাংশ পচেও না। এসব যন্ত্রাংশে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ক্যান্সার, কিডনির জটিলতা, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা ধরনের ব্যাধির অন্যতম কারণ এসব যন্ত্রাংশ। পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর তিন কোটি মোবাইল ফোনসেট নষ্ট হচ্ছে। পাঁচ লাখ কম্পিউটার ও ল্যাপটপ নষ্ট হচ্ছে। সারা বিশ্বে প্রতিবছর চার কোটি টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ১৩ কোটির ওপরে মোবাইল ফোনসেট রয়েছে। দেশের প্রায় প্রতিটি বাসাবাড়িতে নষ্ট মোবাইল ফোনসেট পাওয়া যাবে। এসব ই-বর্জ্য পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এরই মধ্যে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে জৈব পচনশীল পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সরকার। একই সঙ্গে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার কিভাবে পুরোপুরি বন্ধ করা যায়, সেই উপায় খুঁজছে সরকার। পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, বাজারজাত ও ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের নাকের ডগায়ই সব কিছু চলছে প্রকাশ্যে। পরিবেশ অধিদফতরের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশে প্রতিদিন প্রায় ২৪ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হয়, যার মধ্যে সাড়ে আট শতাংশ প্ল্যাস্টিক বর্জ্য। সে হিসাবে প্রতিদিন দুই হাজার টন আর মাসে ৬০ হাজার টন প্ল্যাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, যা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি। পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর দুই হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক কাঁচামাল আমদানি করা হয়। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচী (ইউএনইপি) তথ্য মতে, সারা বিশ্বে প্রতিবছর ৫০হাজার কোটি প্ল্যাস্টিক ব্যাগ তৈরি করা হয়। প্রতিবছর সারা বিশ্বে ৮০ লাখ টন প্ল্যাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য কখনও পচে না, যার কারণে এই প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করছে। প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা মাছ পশুপাখির মাধ্যমে খাদ্যচক্রে ঢুকে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে জমির উর্বরতা নষ্ট করছে। পানি নিষ্কাশনের পথও রুদ্ধ করছে এই প্লাস্টিক বর্জ্য। এদিকে পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের বেআইনি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। জার্মানিভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ২০০২ সালে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন করা হলেও কার্যকর প্রয়োগের অভাবে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব পণ্য আমদানীর বিষয়ে কঠোর হচ্ছে সরকার। ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক পণ্য হইতে সৃষ্ট বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা ২০১৮ বিধিমালায় পুরনো বা ব্যবহৃত ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছে পরিবেশ অধিদফতর। বিধিমালার ১৭ নম্বর ধারায় বলা আছে, ‘দাতব্য, অনুদান বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোন পুরনো বা ব্যবহৃত ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক পণ্যের আমদানি অনুমোদন করা হইবে না। বিধিমালার ওপর সব অংশীজনের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত করা হয়েছে। চলবে... লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক [email protected]
×