ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘হেলমেট কই লাইসেন্স কই সিটবেল্ট লাগানো হয়নি কেন’

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৫ আগস্ট ২০১৮

‘হেলমেট কই লাইসেন্স কই সিটবেল্ট লাগানো হয়নি কেন’

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আরও একদিন পার হলো। যাত্রী ও পথচারীরা ভোগান্তির মধ্য দিয়ে পার করল আরও একটি দিন। চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে হাজারো শিক্ষার্থী নিরাপদ সড়কের নামে রাস্তায় শৃঙ্খলা আনার ব্যর্থ চেষ্টা করে শনিবারও। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলেও আন্দোলনে ছিল শিক্ষার্থীরা। নগরীর অর্ধশতাধিক পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করে সকল গণপরিবহনসহ প্রাইভেট পরিবহনের চালকের আসনে থাকাদের। তবে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও তাদের নীরব ভূমিকাই বলছে এর সমাধান কোথায়। উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ঢাকায় দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ ও আন্দোলনরত। অভিযোগ রয়েছে, শনিবার সকালেও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক পুলিশের চেয়েও কঠোর ভূমিকায় ছিল। মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চায় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্সের কোথাও হেলমেট পরিধান করতে হবে এমন কোন নির্দেশনা নেই ড্রাইভিং লাইসেন্সে। গাড়িতে চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্ট লাগাতে হবে এমন কোন নির্দেশনা নেই ড্রইভিং লাইসেন্সে। তবে গাড়ির ডকুমেন্ট বা চালকদের লাইসেন্স দেখার কোন আইন নেই। ফলে বেআইনীভাবে হস্তক্ষেপ করছে শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন পরিবহন চালকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় চলাচলের সময় কানে মোবাইলের হেডফোন লাগিয়ে রাস্তা পারাপার হয়। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। প্রত্যক্ষভাবে নগরীর বিভিন্ন সড়কের প্রায় অর্ধশত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলো ছিল শিক্ষার্থীদের দখলে। ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল রাস্তার এককোণে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক সিস্টেমে সড়কে পরিবর্তন এলেও ভোগান্তিতে পড়েছিল সড়ক ব্যবহারকারীরা। ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএর নৈরাজ্যের কারণে এমন ভোগান্তি দাবি পথচারী ও যাত্রীদের। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নগরীর সিডিএ এ্যাভিনিউ সড়কের ব্যস্ততম মোড় ষোলশহর, জিইসি, ওয়াসা ও টাইগারপাস সড়কে শিক্ষার্থীদের চাপে পরিবহন চলাচলে হিমশিম খেয়েছে। শিক্ষার্থীরা রাস্তাকে তিনটিভাগে ভাগ করেছে। একটি ভাগে রিক্সা ও সাইকেল, আরেকটিতে মোটরযান। আর অন্যটি ইমারজেন্সি সড়ক হিসেবে খালি রাখা হয়েছে। ফলে যানজটের মাত্র ছিল অস্বাভাবিক। বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষার্থী ও চালকদের সঙ্গে বাগ্বিত-ার ঘটনা ঘটেছে। ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা নেমে চট্টগ্রামে কেউ দেখেছে একলেনে রিক্সার সারিবদ্ধ চলাচল। রাস্তার মাঝখানের লেনটিতে দু’চাকার মোটরসাইকেল পরিচালনাকারীর হেলমেট রয়েছে কিনা। শিক্ষার্থীদের দাবি হেলমেট পরতে হবে চালক যাত্রী উভয়কেই। প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন গাড়ির চালকদের সিটবেল্ট লাগাতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির ফিটনেস থাকতে হবে। গণ পরিবহন বা চার চাকার মোটরযান মালিকদের গাড়ির ডকুমেন্টসহ চালকের লাইসেন্স রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেই গাড়ি রাস্তায় নামাতে হবে।
×