স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নামকরণ করা হয়েছে। এর মূল নাম ছিল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এই হাসপাতালের নামকরণের পর এর অবকাঠামো এবং চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচতলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভবনে সংযুক্ত করা হয়েছে রোগীর ট্রেসার বহণ ক্ষমতা সম্পন্ন দুইটি (বেড) লিফট। পুরাতন ভবন সংস্কার করে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নির্মিত ভবনের সঙ্গে পুরাতন ভবন সংযুক্ত করে চিকিৎসা সেবার উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এর নামকরণের প্রস্তাব করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার পরিবেশ উন্নয়নে সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহের জন্য গভীর নলকূপ বিদ্যুত সরবরাহের জন্য সাব স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও পুরাতন ভবনের দরজা জানালা, মোজাইক ভেঙ্গে টাইলস, থাই গ্লাস সংযোজন করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক ফিটিংসসহ দৃস্টিনন্দন রঙ করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী গণপূর্ত বিভাগ নতুন ভবন ছাড়াও প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় করে পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ করেছে। হাসপাতালের ভেতরে ফুলের বাগানসহ অভ্যন্তরীণ রাস্তাও পাকা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন- ‘তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার’ প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য জেলা শহরে আধুনিক হাসপাতালগুলো ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালের নামফলক খুব শীঘ্রই উন্মোচন করা হবে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেছেন এই হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য ইতোমধ্যেই সিটিস্ক্যান মেশিন, ডায়ালাইসিস ইউনিট, ডেন্টাল ইউনিট, সিসিইউ ও আইসিইউ ইউনিটসহ নতুন এক্স-রে, ইসিজি, ইকোগ্রাম মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। অপারেশন থিয়েটারও সাজানো হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে।
সপ্তাহের পাঁচদিনই অপারেশন হয় এই হাসপাতালে। তবে এই হাসপাতালে চিকিৎসকসহ জনবল সঙ্কট রয়েছে। এ কথা স্বীকার করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রমেশ চন্দ্র সাহা বলেছেন, খুব শীঘ্রই এ সঙ্কট দূরীভূত হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: