ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানি সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করতে ব্যস্ত খামারিরা

প্রকাশিত: ০৭:০২, ৪ আগস্ট ২০১৮

     কোরবানি সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করতে  ব্যস্ত খামারিরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ, ৩ আগস্ট ॥ আসন্ন কোরবানি ঈদ সামনে রেখে গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গরু মোটাতাজা করণে শতাধিক খামারিরা ব্যস্ত সময় পার করছে। বেশি লাভজনক হওয়ায় এলাকায় গরু মোটাতাজা করণে গোখামারিদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোরবানি ঈদে দেশী গরুর চাহিদা বেশি থাকায় খামারিদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশি মুনাফা লাভের আশায় উপজেলার অর্ধ শতাধিক খামারি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাংলাদেশে নিষিদ্ধ তোলা, ডেক্রামেথাসন, ডেক্রাভেট, ও সিপরোহেপ্টাডিন নামক ট্যাবলেট, ইনজেকশন প্রয়োগ করে গরু মোটাতাজাকরণ শুরু করেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার প্রায় ছোট বড় ৯৫টি গরুর খামার রয়েছে। খামারগুলোতে গরুর সংখ্যা প্রায় ২ লাখের মতো হবে অপর দিকে ছাগল রয়েছে প্রায় দেড় লাখের মতো। অর্ধ শতাধিক খামারি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ডেকাসন, ডেক্রামেথাসন, ডেক্রাভেট, ও সিপরোহেপ্টাডিন ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ব্যবহার করায় মানবদেহে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খামারি বলেন, অধিক লাভের আশায় ইনজেকশন ট্যাবলেট দিয়ে যারা গরু মোটাতাজা করছে, তাদের দাপটে আমরা যারা বৈজ্ঞানিক ও প্রাকৃতিকভাবে গরু মোটাতাজাকরণ করছি, তাদর টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। খামারি পলাশ মিয়া বলেন, নিষিদ্ধ ট্যাবলেট, ইনজেকশন ও তোলার বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। এ বিষয়ে গফরগাঁও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ভ্যাটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, আমি একা ডাক্তার কিভাবে এত বড় উপজেলার সবাইকে সেবা দিব। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসার স্বার্থে আমরা এসব ট্যাবলেট, ইনজেকশন ব্যবহার করে থাকি, তবে তুলা, নিষিদ্ধ ট্যাবলেট, ইনজেকশন ব্যবহার করার জন্য খামারিদের কখনও পরামর্শ দেই না। যদি কোন খামারি দানাদার কটনসিডমিল (তুলা) খাওয়ায় তবে তাতে সমস্যা নেই।
×