ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বেশিরভাগ পার্ক ও খেলার মাঠ

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ৪ আগস্ট ২০১৮

  অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বেশিরভাগ  পার্ক ও খেলার মাঠ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরিবেশ ও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বেশিরভাগ পার্ক ও খেলার মাঠ। নিরাপত্তাকর্মী না থাকায় অবকাঠামো ধ্বংস, অসামাজিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও। যদিও আধুনিকায়নে ‘জল সবুজে ঢাকা’ নামক মহাপ্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ। তবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পার্কগুলোর প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। রাজধানীর পান্থকুঞ্জ পার্কের কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, ‘এই পার্কের খুবই বাজে অবস্থা। আমরা অসুস্থ মানুষ এখানে হাঁটতে আসি, কর্তৃপক্ষ যেন পার্কটি পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেন।’ নিরাপত্তা বেষ্টনী নষ্ট, ভেতরের ভাঙ্গা অবকাঠামো, অপরিচ্ছন্ন বসার জায়গা, বিভিন্ন সময়ে বন্যপশুর প্রবেশ, সুযোগ সন্ধানীদের বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ চলে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে দেখভালের কেউ না থাকায় এমন অবস্থা রাজধানীর পান্থকুঞ্জ পার্কের। ভাল নেই নগরীর ফার্মগেট পার্কও। মানুষের একটু স্বস্তির বা শরীরচর্চার স্থান হিসেবে নির্ধারিত এসব জায়গায় চলে ব্যাট-বলের উন্মাদনা। সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন সময়ে ছিনতাই হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। দর্শনার্থীরা বলেন, ‘এখানে অবাধে নারী-পুরুষ আড্ডা দিচ্ছেন। অনেক সময় ছিনতাইয়েরও ঘটনা ঘটে।’ এজন্য কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু নজরদারির অভাবকে দুষছেন পরিবেশবিদরা। তবে ঢাকা দক্ষিণের ৩১টি পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়নে দুই শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘জল সবুজে ঢাকা’ নামক মহাপ্রকল্পের কথা জানান সিটি নির্বাহী প্রধান। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবহান বলেন, ‘সব জায়গাতে আন্তরিকতার অভাব। এখানে একটা স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থ জড়িত। এর উর্ধে যেতে না পারলে পার্কগুলো দখল হতে থাকবে।’ ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল বলেন, ‘যেহেতু পুরোটাই উন্নয়ন হবে তাই এই মুহূর্তে তেমন কোন কাজ করা হচ্ছে না। আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে এটা নতুনভাবে সজ্জিত হবে।’ দক্ষিণ সিটি কর্তৃপক্ষ এক শ্রেণীর পরিবেশবাদীদের পরামর্শে এমন উদ্যোগ নিলেও ভিন্নমত জানান আবদুস সোবহান। তিনি বলেন, ‘পাঠাগার নির্মাণ করতে হলে অন্য জায়গাতে করেন। এটা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।’ পরিসর বিস্তৃত রাখতে পার্ক বা খেলার মাঠের মধ্যে পাঠাগারসহ বড় অবকাঠামো গড়ে না তোলারও পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
×