মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়িয়ে দেবে বলে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
এক বিবৃতিতে ইন্টার-আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটসের ডেভিব কাই ও এডিসন লানজা এই আক্রমণকে গুরুতর বলে অভিহিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের বিষয়ে ক্ষতিসাধন করবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা তার বাবার আক্রমণাত্মক অবস্থান থেকে নিজেকে দূরে রেখে দেয়া মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর ওই বিবৃতিটি দেয়া হলো। ট্রাম্প প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমের কঠোর সমালোচনা করে আসছেন। নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পরও তা অব্যাহত থাকে। তিনি ঘোষণা করেছেন, সাংবাদিকরা জনগণের শত্রু; যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় ওঠে। বৃহস্পতিবার সকালে ইভাঙ্কা তার বাবার করা মন্তব্য থেকে নিজেকে দূরে রাখেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা জনগণের শত্রু নয়। এর পরই ট্রাম্প একের পর এক টুইট করেন। যাতে তিনি ভুয়া খবরকে প্রকৃত হুমকি বলে সমালোচনা করেন।
যৌথ বিবৃতিতে কাই ও লানজা বলেন, প্রেসিডেন্টের হুমকি প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা বাড়িয়ে দেবে। এটা তাদের প্রতিবেদনের ওপর আস্থা হ্রাস করার নীলনক্সা। তারা প্রেসিডেন্টের হুমকির বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তার প্রশাসন ও তার সমর্থকরা গত কয়েক সপ্তাহে এ ধরনে কাজ করেছেন। মঙ্গলবার এক প্রেসিডেন্ট র্যালিতে সিএনএন ধারণ করে ট্রাম্পের সমর্থকরা সাংবাদিকদের অপমান করে এবং কুরুচিকর অভিব্যক্তি দেখিয়েছেন। সিএনএনর উপস্থাপক জিম এ্যাকস্টা সেই ভিডিও ক্লিপটি টুইট করেন।
যাতে কঠোর ভাষায় অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে। রবিবার নিউইয়র্ক টাইমস প্রকাশক প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানায় জনগণের শত্রু প্রবাদটির ব্যবহার বন্ধ করার। এর আগেই ট্রাম্প টুইটারে মিডিয়ার বিরুদ্ধে এই কথাটি বলেন। এরপর থেকেই ট্রাম্প তার কাছের লোক, এমনকি তার দলেরও সমালোচনার সম্মুখীন হন। সাবেক হোয়াইট হাউস যোগাযোগ পরিচালক এ্যান্থনি স্কারামুচি ফ্লোরিডা র্যালিতে ট্রাম্পের সমর্থকদের কর্মকান্ডের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এই আচরণ আমাদের নয়। আরিজোনার রিপাবলিকানা সিনেটর জেফ ফ্লেক ট্রাম্পের আচরণকে সাবেক সৌভিয়েত ইউনিয়নের একনায়ক জোসেফ স্ট্যালিনের সঙ্গে তুলনা করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: