ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

‘পাভেল রহমানের ক্যামেরায় বঙ্গবন্ধু’ জয়নুল গ্যালারিতে

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৪ আগস্ট ২০১৮

 ‘পাভেল রহমানের ক্যামেরায় বঙ্গবন্ধু’ জয়নুল গ্যালারিতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঘটনার সময়কাল ১৯৭৫ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি। শেষবারের মতো বঙ্গবন্ধু গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন ভাষা শহীদদের। সেই ঘটনার সাক্ষী দিচ্ছে সাদা-কালো ছবিটি। এমনভাবে দেখা মিলছে জাতির জনকের জীবনের নানা মুহূর্তের ছবি। সেসব আলোকচিত্রে উঠে এসেছে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন থেকে পারিবারিক জীবন। সাদা-কালোয় ফ্রেমবন্দী হয়েছে বঙ্গবন্ধুর বর্ণিল জীবন। সময়কাল ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫। স্বাধীনতার মহান স্থপতির জীবদ্দশায় ছবিগুলো তুলেছিলেন তাঁর স্নেহাধন্য প্রখ্যাত আলোকচিত্রী পাভেল রহমান। সেসব ছবি এখন ঝুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে। অনেকগুলো ছবিতে আবার ধরা দিয়েছে ট্যোবাকো পাইপসহ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত নানা বস্তু স্থান। প্রদর্শনীটির শিরোনাম ‘পাভেল রহমানের ক্যামেরায় বঙ্গবন্ধু’। শুক্রবার সকালে চার দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর সূচনা হয়। প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ.আ. ম. স. আরেফিন সিদ্দিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক আশরাফুল আলম পপলু ও পাভেল রহমান। প্রদর্শনালয়ের প্রবেশপথ চোখে পড়ে সেই চিরচেনা ছবি। লুঙ্গি আর স্যান্ডো গেঞ্জি পরিহিত বঙ্গবন্ধু পাইপ টানছেন। রাজনৈতিক জীবনের মতোই পারিবারিক জীবনের এক আদর্শ মানুষ ছিলেন জাতির জনক। সে কথার সাক্ষ্য দেয়া সোফায় বসে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে পুত্রবধূর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আলাপচারিতার ছবিটি। রয়েছে ১৯৭৪ সালে গণভবনে মহান নেতার জন্মদিনে ছেলে শেখ কামালের গলায় মালা পরিয়ে দেয়ার সুন্দরতম দৃশ্য। আবাহনী দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা পরিবেষ্টিত আলোকচিত্রও রয়েছে প্রদর্শনীতে। আছে কচি-কাঁচার আসরের শিশুদের পরিয়ে দেয়া ক্যাপটি নিজেই ঠিকমতো মাথায় বসিয়ে নেয়ার সরল অভিব্যক্তির ছবি। দেয়ালের ফ্রেমগুলো দেখতে দেখতে একপর্যায়ে একরাশ বেদনা এসে ভর করে মনের গভীরে। যে সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল কিছু বিশ্বাসঘাতক সেনাসদস্য, সেই সিঁড়িতেই লাল গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে পিতার প্রতি ভালবাসা জানাচ্ছেন মেয়ে শেখ হাসিনা। আর সিড়ির ল্যান্ডিং পয়েন্টে উঁকি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের ওপর চিত্রিত আরেকটি চিত্র। আছে ১৯৮২ সালে পিতার কবরে প্রথমবারের মতো হাসিনার পুষ্পস্তবক দেয়ার ছবি। কিছু রঙিন আলোকচিত্রে উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত নানা বস্তু ও স্থান। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তানী পাসপোর্টের আলোকচিত্র। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত পাইপ, লাইব্রেরি, ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের পানের বাটা, টেলিফোন সেটসহ নিত্য ব্যবহার্য নানা দ্রবাদি। রয়েছে টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শেখ হাসিনার কোরআন পাঠের আলোকচিত্রও। রেখাচিত্রে নানারূপে সংসদ ভবন ॥ জাতীয় সংসদ ভবনটি দেখলে স্থপতি মাত্রই শিহরণ বোধ করেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাংবিধানিক ভবন হিসেবে খ্যাত এ ভবনটি দেখে এমনই শিহরণ বোধ করেন স্থপতি সাজিদ-বিন-দোজা। তাই তো নানা রূপে, নানাভাবে স্কেচ করে চলেছেন জাতীয় সংসদ ভবনকে। যা নিয়ে তিনি সাজিয়েছেন নিজের ৮ম একক স্কেচ প্রদর্শনী ‘জনারন্যে নিরবতা’। শুক্রবার সন্ধ্যায় আঁলিয়াস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সম্মানিত অতিথি ছিলেন স্থপতি-কবি রবিউল হুসেইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) সভাপতি স্থপতি কাজী গোলাম নাসির এবং এলিট পেইন্টের পরিচালক সাজির আহমেদ। প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখা যায়, প্রদর্শনীটি একটি ভিন্নধর্মী সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস। তুলি ও কালির ছোঁয়ায় বিশাল আকারের স্থাপত্যটি বিভিন্ন রূপ, বিভিন্ন সময়ের এবং বিভিন্ন বস্তুর সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে তার ক্যানভাসে। ট্রায়াল অব সূর্যসেন নাটকের মঞ্চায়ন ॥ শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় ঢাকা পদাতিকের নতুন প্রযোজনা ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী মাস্টার দ্য সূর্যসেনের প্রহসনের বিচার ও অন্যায় হত্যাকা-ের বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। প্রযোজনাটি রচনার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন মাসুম আজিজ।
×