ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের জেতা ছাড়া বিকল্প নেই ?

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ৪ আগস্ট ২০১৮

 বাংলাদেশের জেতা ছাড়া বিকল্প নেই ?

মিথুন আশরাফ ॥ নতুন ভেন্যুতে ‘ভাগ্য’ ফিরবে বাংলাদেশের? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টায় যে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ শুরু হবে, ম্যাচটিতে জিতবে বাংলাদেশ? যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার লওডারহিলের সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়ামে জিতলেই তো সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরবে সাকিববাহিনী। হারলেই তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হার হয়ে যাবে। প্রথম টি২০তে বৃষ্টি আইনে ৭ উইকেটে হেরে সিরিজে যে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজে সমতা আনতে হলে দ্বিতীয় টি২০তে জেতা ছাড়া কোন বিকল্প পথ খোলা নেই। পথ খোলা আছে। যদি বৃষ্টি হয়। খেলা না হয়। তাহলে সোমবার ভোরে যে তৃতীয় ও শেষ টি২০ ম্যাচ হবে, সেটি জিতলে সিরিজে আসবে সমতা। আর যদি দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ, তাহলে তৃতীয় টি২০ ম্যাচ জিতলে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। তৃতীয় টি২০ ম্যাচটি তখন সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পরিণত হবে। শেষ টি২০ ম্যাচের হিসাব এ মুহূর্তে বাদ। ফ্লোরিডার আবহাওয়া যা, তাতে দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তার মানে, খেলা হবে। খেলা হলে সিরিজে সমতা আনতে হলে বাংলাদেশকে জিততেই হবে। প্রথম টি২০তে ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসী দেখায়নি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রে অভিষেক হবে। নতুন ভেন্যুতে কী ঝলক দেখাতে পারবে বাংলাদেশ? বাংলাদেশ টি২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে আত্মবিশ্বাসী দেখাল। দর্শকদের সমর্থনে দল উজ্জীবিত হয়েই খেলবে। সেই বিশ্বাস আছে সাকিবের। রোমাঞ্চের আভাসও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সবার জন্যই রোমাঞ্চকর হওয়া উচিত। যেহেতু এখানে অনেক বাংলাদেশী দর্শক থাকবে, সবার জন্য মজার সময়ই থাকবে বলে মনে করি এই দুই ম্যাচে।’ সঙ্গে প্রথম টি২০ থেকেও উন্নতি করার কথা বলেন সাকিব, ‘যেহেতু সুযোগ ছিল আরও রান করার (প্রথম টি২০তে), কয়েকটি কারণে করতে পারিনি, ওই জায়গাগুলোয় উন্নতি করতে পারলে আরও রান করা সম্ভব। উইকেট যদি আগের ম্যাচের চেয়ে ভাল আচরণ করে, তাহলে বেশ বড় সংগ্রহই গড়তে হবে আমাদের।’ যে স্টেডিয়ামে খেলা হবে। সেখানে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (সিপিএল) হয়ে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। খেলার অভিজ্ঞতাও কাজে দেবে। তবে যে উইকেটে খেলা হবে, সেই উইকেটে অনুশীলন করার সুযোগ মেলেনি। পাশের উইকেটে অনুশীলন করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। সেই বিষয়টিও সামনে তুলে ধরেছেন সাকিব, ‘শেষবার সিপিএলে এখানে যখন খেলেছি, তার থেকে উইকেট এবার বেশ আলাদা। আমরা যেহেতু পাশের উইকেটেই অনুশীলন করছি, ম্যাচের উইকেট খুব আলাদা হবে না এটি থেকে।’ স্টেডিয়ামের উইকেট সবসময়ই মন্থর। যত ম্যাচ হয়েছে, দুই একটি ম্যাচ বাদে তাই বোঝা গেছে। তাতে বাংলাদেশের সুবিধাই হওয়ার কথা। সেই সুবিধার কথা সাকিব বলেছেনও, ‘সিপিএলে আমি অনেক ম্যাচ খেলেছি। অভিজ্ঞতা বলে, মন্থর উইকেট হতে পারে, যেটি আমাদের অনুকূলে কাজ করতে পারে। ১৫০-১৬০ রানের বেশি হয় না সাধারণত। তবে অনেক দিন পর খেলা, নতুন উইকেট থাকবে। ১৮০-১৯০ রানও হতে পারে। যেমন ভারতের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছে (২০১৬ সালের আগস্টে ভারতের ২৪৪ টপকে গিয়েছিল)। এমনিতে খুব একটা উইকেট হাই স্কোরিং ম্যাচ হয় না। আশা করব, সিপিএলের উইকেটের মতো যেন থাকে।’ সিপিএলের মতো উইকেট থাকলে তো ১৫০ রান হওয়াই কঠিন। সিপিএলে গত আসরে একটি ম্যাচেই শুধু ১৫০ রান অতিক্রম করেছে। সেই ম্যাচে সাকিবই ছিলেন। নিজেও অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। ম্যাচ থেকে রেজাল্ট বের করে আনায় সাকিব তাই আশাবাদী। পুরোদমে অনুশীলনও হয়েছে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং দিয়ে গা গরম করেছেন দলের ক্রিকেটাররা। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করেছেন। এখন মাঠে প্রভাব বিস্তার করতে পারলেই হয়। এই স্টেডিয়ামে এর আগে ৪টি দল খেলেছে। নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলেছে। প্রতিটি ম্যাচই ছিল টি২০। নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ চারটি করে ম্যাচ খেলেছে। শ্রীলঙ্কা ও ভারত ২টি করে ম্যাচ খেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ একটি ম্যাচেও এখন পর্যন্ত হারেনি। ২০১৬ সালের পর অবশ্য এ স্টেডিয়ামে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। ২০১৭ সালে সিপিএলের কয়েকটি ম্যাচ হয়েছে। স্টেডিয়ামে যেমন আছে ২৪৫ রান করার রেকর্ড। তেমনি ৮১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ডও আছে। স্পিনাররা এ স্টেডিয়ামে বিশেষ সুবিধা পান। এখন বাংলাদেশ স্পিনাররা সুবিধা পেলেই হয়ে যায়। ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা থাকবে। আর ম্যাচ জিতলেই সিরিজে আসবে সমতা। সিরিজে সমতা আনবে বাংলাদেশ?
×