ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মগবাজারে ফের বাসচাপায় প্রাণ গেল একজনের ॥ চালককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ, বাসে আগুন

ঢাকার কিছু এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অপ্রীতিকর ঘটনা নেই

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ৪ আগস্ট ২০১৮

 ঢাকার কিছু এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অপ্রীতিকর ঘটনা নেই

গাফফার খান চৌধুরী ॥ বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় চলমান তুমুল আন্দোলনের মধ্যেই রাজধানীর মগবাজারে আবারও বাসের চাপায়ই হাসপাতালের এক ব্রাদারের মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ঘাতক বাসটি ব্রাদার সাইফুল ইসলাম রানাকে চাপা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। এ সময় জনতা চালককে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এদিকে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় টানা ষষ্ঠ দিনেও ঢাকা কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা যানবাহনের লাইসেন্স পরীক্ষা করেছে। যদিও ঢাকার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। টানা বিক্ষোভের কারণে শুক্রবারও রাজধানীতে পাবলিক যানবাহনের চলাচল ছিল একেবারেই কম। দুই একটি কোম্পানির বাস ছাড়াও প্রাইভেটকার, লেগুনা, সিএনজি, রিক্সা চলাচল করেছে। রাস্তায় যানবাহন কম থাকায় মানুষের ভোগান্তির সীমা ছিল না। তবে এ্যাম্বুলেন্স বা রোগীবাহী যানবাহনসহ জরুরী সেবা প্রদানকারী যানবাহন এসবের আওতামুক্ত ছিল। মগবাজারে বাস চাপায় ব্রাদার নিহত ॥ শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে সাতক্ষীরাগামী ঢাকা মেট্রো- ঋ -১৪-০২১৪ নম্বরের এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল মালিবাগের দিকে। বাসটি ফ্লাইওভার দিয়ে ঢালে নেমে মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকায় একই দিকে যাওয়া সাইফুল ইসলাম রানা নামের ওই মোটরসাইকেল আরোহীকে পেছন থেকে চাপা দেয়। চাপা দেয়ার পর পরই বাসটিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চালক। এ সময় জনতা ধাওয়া করে চালক ইমরান সরদারকে (২৫) ধরে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। রানাকে প্রথমে পাশের ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুপুর আড়াইটার দিকে রানাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। লাশ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রানার পিতা শাহজাহান এবং দুই বোন সাথী ও যুথী। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, নিহত রানা মগবাজারে অবস্থিত ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের ব্রাদার ছিলেন। নিহতের খালা রোকসানা হক লাশ শনাক্ত করেছেন। রানার বাড়ি বরিশাল জেলার বানারিপাড়ার তেতলা গ্রামে। তার পিতার নাম শাহজাহান মিয়া। রানা পিতা-মাতার একমাত্র পুত্র ছিল। তারা ঢাকার খিলগাঁওয়ের উত্তর গোড়ানের হাড়ভাঙ্গা মোড়ে বসবাস করত। ডিসি মারুফ হোসেন সরদার বলছেন, বাসটিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আগুন দিয়েছে বলে নানাভাবে প্রচার করা হচ্ছে। সে বিষয়টি তদন্ত শেষে বলা যাবে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারা বাসে আগুন দিয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা বাসে আগুন দেয়নি। বহিরাগতরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট বাসটির আগুন নেভায়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ষষ্ঠ দিনেও অচল ছিল ঢাকা ॥ গত ২৯ জুলাই রবিবার দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিনের মতো বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল শিক্ষার্থীসহ অন্যরা। এ সময় পাল্লাপাল্লি করে বেশি যাত্রীর আশায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আবদুল করিম রাজিবের মৃত্যু হয়। আহত হয় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে এবং ঘাতক বাস চালকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজধানীজুড়ে বিক্ষোভ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবারও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা হাউস বিল্ডিংয়ের সামনে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। তারা সরকারকে লিখিত দিয়ে নয় দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানায়। তারা প্রজ্ঞাপন জারির দাবি করেছে। এদিকে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র যাচাই করেছে পুলিশ। পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে মানবন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। এদিকে সকাল থেকেই রাজধানীর গাবতলী ব্রিজের ঢালে চেকপোস্ট বসায় পুলিশ বসিয়েছে। সেখানে সব ধরনের যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেই সঙ্গে গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করেছে। যার গাড়ির বা চালকের কাগজপত্র নেই তাদের গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। বিকেল নাগাদ ১৭টি গাড়ি জব্দ করার খবর মিলেছে। আর ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ২৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন সুপারিশ আমলে নেয়া হয়নি বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। শুধু গাবতলী নয় মহাখালী, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, শনিরআখড়া, শ্যামপুর, আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী ব্রিজের ঢালসহ ঢাকায় প্রবেশের প্রতিটি রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে শ্যামলী সিনেমা হলের সামনে (বর্তমানে শ্যামলী স্কোয়ার) ওভার ব্রিজের নিচে একদল শিক্ষার্থীকে যানবাহন থামিয়ে চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করতে দেখা গেছে। তাদের অধিকাংশই একেক এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। তারা কিভাবে একত্রিত হয়েছে তা জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা জানায়, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মোবাইলে ফোন করে তারা কোথায় অবস্থান নেবে সে জায়গা ঠিক করেছে। এরপর তারা নির্দিষ্ট জায়গায় একত্রিত হয়েছে। তবে তাদের কেউ এ কাজে ইন্ধন বা উস্কানি দিচ্ছে না বলে দাবি করেছে। তারা নিজেরাই নিজের বিবেকের তাড়নায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। মূলত দেশ ও জাতিকে আরও সচেতন করার জন্য। ধানমন্ডি সাইন্সল্যাবরেটরি মোড়েও দেখা গেছে একই চিত্র। সেখানে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা দুপুরের পর সাইন্সল্যাবরেটরি মোড়ে অবস্থান নেয়। আগের মতই তারা চালকদের লেন মেনে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে। আর সেই সঙ্গে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করে। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পাশেই পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর নজর রাখলেও তাদের কাজে কোন হস্তক্ষেপ করেনি। বিকেল ৩টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় মহাখালী তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারী মহিলা কলেজ, বিয়াম স্কুল, বিজিবির রাইফেলস কলেজের ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী। তারা হাতে বিভিন্ন ধরনের লেখা সংবলিত পোস্টার নিয়ে শাহবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মাঝে মধ্যেই তারা সেøাগান দিচ্ছিল। আর চার রাস্তার মধ্যে গাড়ির যানবাহনের চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করছিল কতিপয় শিক্ষার্থী। সেখানে পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন কুমিল্লার একটি সরকারী কলেজের বিবিএর দ্বিতীয় সেমিস্টারের এক ছাত্র। কেন এসেছেন এবং কতক্ষণ এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবেন জানতে চাইলে তিনি বলছিলেন, যতক্ষণ সরকার সুনিশ্চিত করে কোন কিছু স্পষ্ট না করবে, ততক্ষণ তারা রাস্তায় থাকবেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক শিক্ষার্থীর হাতে থাকা পোস্টারে লেখা, দেশ বদলিয়ে তবেই ঘরে ফিরব। তিনি বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্রী। তাদের উপরে বিয়াম স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পেছনে কয়েকজন সিনিয়র ছাত্র পোস্টারগুলো দ্রুত লিখে ছাত্রদের হাতে সরবরাহ করছিল। অদূরে বিপুল সংখ্যক পূলিশ অবস্থান নিয়েছিল। তবে তারা কোন কিছুতেই হস্তক্ষেপ করেনি। পুলিশ বলছিল, মূলত অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা শিক্ষার্থীদের উপর নজর রাখছেন। যাতে কেউ ভেতরে প্রবেশ করে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটাতে পারে। শাহবাগ ছাড়াও ঢাকার মিরপুর সনি সিনেমা হলের সামনে ছাত্ররা বিক্ষোভ করেছে। টানা বিক্ষোভের কারণে রাজধানী মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে কোন দূরপাল্লার বাস বিকেল পর্যন্ত ছেড়ে যায়নি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন যৌক্তিক-পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ॥ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন যৌক্তিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের সবকটি দাবি মেনে নিয়েছেন এবং খুব দ্রুত সময়ে এটি কার্যকর করা হবে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেছেন, সততা, নীতি-নৈতিকতার দায়িত্ব থেকেই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামতে সক্ষম হয়েছে। অসাধারণ দক্ষতা, মেধা মননের স্বাক্ষর রেখেছে রোড ম্যানেজম্যান্টের ক্ষেত্রে। দেশের জন্য আর কী কী করতে হবে তা তারা আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বাংলাদেশ কিশোর-কিশোরী সম্মেলন-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠনে তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরীর ৪০টি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এথিক্স ক্লাব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম। উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, এ অনুষ্ঠানটি মেধা ও মনন বিকাশের অনুষ্ঠান। বর্তমানে যাদের নেতৃত্বগুণ, সুন্দর মানসিকতা আছে, তারাই জাতির ভবিষ্যত বিনির্মাণ করবে। সৎ, দক্ষ, নৈতিকতা সমৃদ্ধ শিক্ষার্থীরাই আগামীর সমাজ পরিবর্তন করবে। পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবদুল কাইয়ুম বলেন, কিশোর-কিশোরী সম্মেলনের মাধ্যমে নানা প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সারাদেশ থেকে ৭০০ শিক্ষার্থী নির্বাচিত করা হবে। তারা সৎ থেকে মেধা মননের মাধ্যমে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন ধাপে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে রচনা লিখন, কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতা। রচনার বিষয় ছিল: বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ, ফেসবুক ব্যবহারের সুফল কুফল। পরীক্ষায় ১৬৪ শিক্ষার্থী দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণ করা হয়। তাদের সবাইকে সার্টিফেকট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। নিরাপদ সড়ক চাই-এর মানববন্ধন ॥ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন নামের সংগঠনটি। কর্মসূচী থেকে সরকারকে শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত তা কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছে। আগামী রবিবার থেকে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কর্মসূচীতে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, সেভ দ্য রোড, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন অংশ নেয়।
×