ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অদ্ভুত সব গাড়ি

প্রকাশিত: ০৭:৪৯, ৩ আগস্ট ২০১৮

অদ্ভুত সব গাড়ি

শব্দের গতিকে হার মানানো থেকে শুরু করে বিড়ালের ডিজাইনের গাড়ি। এ ধরনের অদ্ভুত ও আকর্ষণীয় কিছু গাড়ি নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। লিখেছেন- মাহমুদুল হাসান আসিফ কোনিগসেগ আগেরা আরএস- সুইডেনের তৈরি অসাধারণ সুন্দর এই গাড়িটি বিশ্বের সর্বাপেক্ষা দ্রুতগামী গাড়ি, যার মূল্য ২.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গাড়িটি ঘণ্টায় ২৮৪ মাইল বেগে ছুটতে পারে, যা আপনাকে হতবাক করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সামর্থ্য থাকলে গাড়িটি আপনি কিনতেই পারেন কিন্তু গাড়িটির গতির ব্যাপারেও সচেতন থাকুন। এক্টো-১ ‘ঘোস্টবাস্টার্স’ নামক জনপ্রিয় সিনেমায় প্রেতাত্মা অনুসন্ধানের কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি দেখানো হয়। বাস্তবের এক্টো-১ নামক গাড়িটি বলা যায় সেটিরই একটি প্রতিরূপ। ১৯৫৯ সালে তৈরি ‘ক্যাডিল্যাক মিলার মেটেওর’ নামক এ্যাম্বুলেন্সের সংস্করণের মাধ্যমে এক্টো-১ গাড়িগুলো তৈরি করা হয়েছিল। অদ্ভুত ধরনের প্রযুক্তিসংবলিত এক্টো-১ হুবহু ঘোস্টবাস্টার্স চলচ্চিত্রের গাড়িটির মতোই দেখতে এবং সে সময় মাত্র ৪০০টি এক্টো-১ তৈরি করা হয়েছিল। পিল পি ৫০ তিন চাকাবিশিষ্ট ‘পিল পি৫০’ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম গাড়ি, যা ১৯৬০ সালের দিকে বেশ জনপ্রিয় ছিল। সামনে থেকে পেছনে মাত্র ৫৪ ইঞ্চি লম্বা গাড়িটি খুবই অল্প জায়গার মধ্যে আপনি পার্ক করে ফেলতে পারবেন। হাস্যকর হলেও সত্য যে, পার্ক করার পর গাড়িটি খুঁজে পেতে আপনাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। ম্যাকলারেন ৬৫০এস স্পাইডার বিশ্বের নজরকাড়া কনভার্টেবল গাড়িগুলোর প্রথম কাতারে রয়েছে ‘ম্যাকলারেন ৬৫০এস স্পাইডার’ গাড়িটি। চলন্ত অবস্থায় মাত্র ১৭ সেকেন্ডে গাড়িটির ছাদ ওঠানো এবং নামানো যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে একটু নিয়মনীতি আপনাকে মেনে চলতে হবে। গাড়ির গতি ঘণ্টায় ১৯ মাইলের মধ্যে থাকলে চলন্ত অবস্থায় ছাদ ওঠা-নামা করানো সম্ভব। একবার ছাদ ওঠানো বা নামানো হয়ে গেলে মাত্র ৩ সেকেন্ডে গাড়িটির গতি ঘণ্টায় ০-১০০ মাইল পর্যন্ত ওঠানো যায়। অসাধারণ সুন্দর এই গাড়িটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৪ মাইল বেগে ছুটতে পারে। ব্যাটমোবাইল আপনি জেনে অবাক হবেন যে ‘দ্য ডার্ক নাইট’ সিনেমায় প্রদর্শিত ব্যাটম্যানের গাড়িটি পৃথিবীতে সত্যিই রয়েছে। ভয়ানক দেখতে ‘ব্যাটমোবাইল’ নামক গাড়িটির মূল্য ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বিলাসী মানুষজনের অন্যতম চাহিদার বস্তু। ৪৪ ইঞ্চি চাকাবিশিষ্ট ব্যাট মোবাইলে রয়েছে দানবীয় এক ইঞ্জিন, যা বিশ্বের অন্যান্য যে কোন গাড়ির তুলনায় ব্যাপক শক্তিশালী। তাছাড়া গাড়িটিতে লাগানো হয়েছে ৫টি ক্যামেরা এবং পরিবর্তনযোগ্য জানালা। প্রযুক্তির এক অসাধারণ মেলবন্ধনে তৈরি গাড়িটি মানুষকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। থ্রাস্ট এসএসসি বিমানে ব্যবহৃত টারবাইন প্রযুক্তিতে তৈরি জেটইঞ্জিন চালিত অদ্ভুত এক গাড়ি হচ্ছে ‘থ্রাস্ট এসএসসি’। ১৯৯৭ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর সময় গাড়িটির গতি ছিল ঘণ্টায় ৭৬৩.০৩৫ মাইল, যা শব্দের গতির চেয়েও বেশি। ‘থ্রাস্ট এসএসসি’ বিশ্বের প্রথম গাড়ি, যা শব্দের গতির চেয়েও দ্রুত ছুটতে পারে। ফলে এটি কোনভাবেই রাস্তায় চালানোর উপযোগী গাড়ি নয়। সুপার ফেরারি বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এবং বিলাসী গাড়িগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘ম্যানসরি স্ট্যালন’ নামক ফেরারি মডেলের গাড়িটি। অসাধারণ সৌন্দর্য এবং ভয়ানক গতিবিশিষ্ট গাড়িটি উন্মোচন করা হয় জেনেভা মোটর প্রদর্শনীর ৮৮তম বর্ষপূর্তিতে। প্রদর্শনীটিতে সবার নজর ছিল তখন ম্যানসরি স্ট্যালনের দিকে। ফেরারি মডেলের গাড়িগুলোর মধ্যে ‘ম্যানসরি স্ট্যালন’ হচ্ছে সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন এবং বিলাসী এক গাড়ি। ম্যাককুইন ‘কারস থ্রি’ সিনেমার প্রচারের জন্য পিক্সার স্টুডিও থেকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত ম্যাককুইন নামক একটি গাড়ি বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের জন্য পাঠানো হয়। প্রদর্শনীর জন্য আমেরিকার ডেট্রয়েট থেকে মালেশিয়া পর্যন্ত গাড়িটি যাত্রা করে। চলচ্চিত্র নির্মাতারা বলেন, বিভিন্ন গাড়ির যন্ত্রাংশের সংমিশ্রণে তৈরি ‘ম্যাককুইন’ অসাধারণ শক্তিশালী এক গাড়ি। মিলার ড্র্যাগস্টার কার রেসিংয়ের জন্য তৈরি মিলার ড্র্যাগস্টারের গতি এত বেশি যে, এটি থামাতে আপনাকে আলাদা করে ৪২০ ডলারে প্যারাসুট কিনতে হবে। এমনও হতে পারে নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে আপনি একটির বদলে দুটো প্যারাসুট কিনতে চাইবেন। তবে এর অনুপম সৌন্দর্য চোখের দেখাতে জুড়িয়ে দেবে প্রাণ। ভক্সওয়াগন বেটলে বাবলটপ ডেট্রয়েট অটোরামায় প্রদর্শিত ১৯৬০ ভক্সওয়াগন বেটলে বাবলটপ গাড়িটি দৃষ্টি কেড়ে নেয় কাস্টম মেড গাড়ি ভক্তদের। চালানোর মজাই আলাদা। তবে সমস্যায় পড়বেন বৃষ্টি নামলে। বাইরের দৃশ্য দেখতে হলে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে অন্তত দশটি ওয়াইপার। যত অসুবিধাই থাকুক ছবি দেখে যে আপনি একটি গাড়ির মালিক হতে চাইবেন এতে কোন সন্দেহ নেই।
×