ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি নির্মাণ করতে স্থানীয় বসতি উচ্ছেদের চেষ্টা, উত্তেজনা

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ৩ আগস্ট ২০১৮

রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি নির্মাণ করতে স্থানীয় বসতি উচ্ছেদের চেষ্টা, উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি নির্মাণ করতে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর বসতঘর উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ফুঁসে উঠেছে জনগণ। অতি উৎসাহী কিছু এনজিও নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গা সেবার নামে এ অনৈতিক কাজে নেমে পড়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালে রোহিঙ্গা শ্রমিক নিয়ে নুরুল আলম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির ঘর ভাঙ্গা শুরু করলে ওই ঘরের বাসিন্দা বিধবা হালিমার কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানায়। অভিযোগ পেয়ে এমপি আবদুর রহমান বদি উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য বলেন। ইউএনও নিকারুজ্জামান তৎক্ষণাৎ ঘর ভাঙ্গা বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করলে শান্ত হয়ে ফিরে যায় এলাকাবাসী। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে বালুখালী পশ্চিমপাড়ায় বসবাস করে আসছে মরহুম আকবর আলীর পরিবারের সদস্যরা। সেখানে একটি মাটির দেয়ালে নির্মিত ঘরে বাস করেন গৃহকর্তা কক্সবাজার সরকারী কলেজের দারোয়ান নুরুল আলম ও তার বিধবা বোন হালিমা। উখিয়ার কুতুপালং, মধুরছড়া, লম্বাশিয়া, টিভিকেন্দ্র, তাজনিরমারখোলা, শফিউল্লাহকাটা, বাঘঘোনা, হাকিমপাড়া, বালুখালী ও তেলীপাড়া এলাকায় বহু পরিবারের ভিটা ও চাষযোগ্য জমি দখল করে বানানো হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। অন্য এলাকা থেকে রোহিঙ্গা সরিয়ে এনে বালুখালী পশ্চিমপাড়ায় ঝুপড়ি তৈরি ও ডিআরসি নামে একটি এনজিওর স্থাপনা নির্মাণকল্পে স্থানীয় ব্যক্তির ঘরভাঙ্গা শুরু করলে ক্ষেপে উঠে প্রতিবেশী বাসিন্দারা। সূত্রে জানা যায়, নুরুল আলমের ঘরটি ভাঙ্গার সময় বিধবা হালিমা কারণ জিজ্ঞাসা করলে এনজিও কর্মীরা জানায়, এটি সরকারের জায়গা, তাই রোহিঙ্গাদের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। হালিমা বেগম প্রতি উত্তরে বলেন, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে যে জায়টিতে বসবাস করছি, আমরা সরকারের (বাংলাদেশ) বাসিন্দা। মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের দেশ এটি নয়। অন্যায়ভাবে আমাদের উচ্ছেদ ও বাড়িঘরের ক্ষতিসাধন করে রোহিঙ্গাদের জায়গা দেয়া যাবে না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এনজিও কর্মীরা রোহিঙ্গা শ্রমিক দ্বারা মাটির দেয়াল ভাঙ্গা ও ঘরের টিন খোলা শুরু করে।
×