বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সম্পর্কের প্রতি ইঙ্গিত করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছেন যে, যদি তার অভিভাবককেও তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে বলা হয় তাহলে তারা তা নাও পারতে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শুধু সীমান্ত সংযোগই নেই বরং দুই পাশের মধ্যে ভাষা ও সংস্কৃতিরও মিল আছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এনডিটিভি।
সম্প্রতি অসমের নাগরিক তালিকা থেকে বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়ে স্থায়ী হওয়া প্রায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাতিল করেছে সেখানকার রাজ্য সরকার। এরই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। বিজেপি শাসিত অসম রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশভাগের পর পাকিস্তান থেকে অনেক মানুষ এসেছে। নেপালও আমাদের প্রতিবেশী। আমাদের বুঝতে হবে যে, সীমান্ত শুধু রাজ্য সরকারের সঙ্গে না। বরং তা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে’। বর্তমানে ভারতের বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনদিনের সফরে দিল্লীতে আছেন মমতা। অসমের এই বিষয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং তার মা ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গেও আলাপ করেছেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা। বুধবার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিজেপি তাদেরকেই নাগরিক তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে যারা তাদেরকে ভোট দেবে না বলে তারা জানে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে স্থায়ী হওয়া মুসলিমরা’। এ সময় বিজেপি প্রধান অমিত শাহের অসমের ওই নাগরিকদের ক্রমাগত ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ বলারও সমালোচনা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘সকল বাংলাদেশীকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলা ভুল। বাংলাদেশ কোন অবৈধ দেশ নয়’। আর বিজেপি যদি তাদের এই নীতি থেকে সরে না আসে তাহলে এর ফলাফল ভাল হবে না বলেও সতর্ক করে দেন তিনি। মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘যদি এমনটা চলতে থাকে তাহলে রক্তগঙ্গা বইবে। দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে’। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অসম সরকার তাদের নাগরিকদের তালিকা থেকে প্রায় ৪০ লাখ মানুষদের নাম বাতিল করে। বাতিল হওয়া মানুষেরা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে অসমে গিয়ে স্থায়ী হয়।
