ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগে প্রধানমন্ত্রীর ক্লিন ইমেজের নতুন নেতৃত্ব উপহার

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৩ আগস্ট ২০১৮

ছাত্রলীগে প্রধানমন্ত্রীর ক্লিন ইমেজের নতুন নেতৃত্ব উপহার

বিভাষ বাড়ৈ ॥ সিন্ডিকেটের দাপট, ছাত্রদল-শিবিরের অনুপ্রবেশসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে সাংগঠনিক নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হাত ধরে এলো ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব। নানা অভিযোগে দীর্ঘ সময় ধরে সমালোচনা নিয়েই চলতে হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনকে। তবে এবার নতুন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই প্রত্যেকের জীবনবৃত্তান্ত, পারিবারিক ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ দফায় দফায় যাচাই-বাছাই শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতি দুই বছরের জন্য কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকার শীর্ষ দুই পদের অনুমোদন দিয়েছেন। তবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দাবি কেবল সভাপতি-সেক্রেটারি নয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি যেন আরও বৃহৎ কমিটির অনুমোদন দেন। অন্যথায় আবার বঞ্চিত হবে সৎ ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকার উত্তর-দক্ষিণের শীর্ষ দুই পদে ৮ জনের অনুমোদন দিয়েছেন মঙ্গলবার রাতে। কেবল কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে ১১১ ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ২১২ প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহই বলে দেয় নেতৃত্বের জন্য ছিল ব্যাপক প্রতিযোগিতা। কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ দুই পদের জন্য চারজনের মনোনয়নে অসংখ্য নেতাকর্মী কিছুটা আশাভঙ্গ হলেও প্রত্যেকেই ভরসা করছেন তাদের প্রিয় নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। অনেকেই বলছেন, আমাদের নেত্রী যে পদ আমাদের দেবেন তাতেই আমরা খুশি। নেত্রী নিশ্চয়ই জানেন তার হাত দিয়ে বৃহৎ কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা না হলে আবার বিশেষ বিশেষ গ্রুপের কারণে বঞ্চিত হবেন ত্যাগী, সৎ ও যোগ্য নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা দীর্ঘ সময় পর এভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, সিন্ডিকেটকে ঝেড়ে ফেলে কমিটি হয়েছে। নেত্রী সব দেখে শুনে কমিটি দিচ্ছেন। যে কমিটি নতুন করে গড়ে তুলবেন ছাত্রলীগকে। নতুন নেতারাও বলছেন, সকলকে নিয়ে ছাত্রলীগের গৌরব ফিরিয়ে আনতে চাই। ছাত্রসমাজের কাছে প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগকে আরও জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। দেশের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে পাশে থাকারও অঙ্গীকার করেছেন নেতারা। কথিত ভোট নয়, নেত্রীর মনোনয়ন বছরের পর বছর ধরে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে বিশেষ সিন্ডিকেটের প্রভাব কাজ করেছে বলে অভিযোগ আছে। সিন্ডিকেটের প্রভাবেই ত্যাগী নেতাকর্মীরা যেমন বঞ্চিত হয় তেমনি অনুপ্রবেশ ঘটছে ছাত্রদল এমনকি ছাত্রশিবির ঘরানারও। এবারও সাবেক নেতাদের একটি সিন্ডিকেট চেয়েছিল নেতৃত্ব নির্বাচন হবে ভোটে। ভোট হলে তাদের কাউন্সিলররাই প্রভাবিত করবে সব-এমন আশা থেকে তারা ভোটের পক্ষে ছিলেন। যোগ্যতা ও অন্য কোন বিষয় তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে এবার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি পারিবারিক ইতিহাস যাচাই করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবিচল আস্থা, মেধা ও সৎ ব্যক্তিদের নেতৃত্বে আনার লক্ষ্যে নিজের কাঁধে নিলেন সকল দায়িত্ব। দক্ষ, যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্ব আনার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে ছাত্রলীগে ভোট প্রক্রিয়া চালু হয়। গত তিনটি সম্মেলনে এভাবেই ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন হয়। সারাদেশ থেকে আসা কাউন্সিলররা এই ভোটে অংশ নেন। তবে যে লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল গত তিনটি কমিটিতে তা পূরণ হয়নি বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। দলীয় সভাপতিও তেমনটাই মনে করেন বলে ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনে আবার সিলেকশন পদ্ধতির দিকেই ফিরে যাওয়া হলো। নতুন নেতৃত্বে কারা এলেন? সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা আগামী দুই বছরের জন্য কমিটির ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে রেজানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেছেন। একই সঙ্গে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন যথাক্রমে সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসাইন। এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয় এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ও ঢাবি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের চার জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। এমন ঘটনা এর আগে কখনোই ঘটেনি। নতুন সভাপতি রেজানুল হক শোভন আগের কমিটিতে সদস্য ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে থাকতেন। কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর ছেলে শোভনের পরিবারের অন্যরাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত। তার দাদা শামসুল হক চৌধুরী গণপরিষদ সদস্য ও এমপি ছিলেন। কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল হক বাকশালের সময় গবর্নর ছিলেন। শোভনের বাবা নুরুন্নবী চৌধুরী ভুরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। নতুন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী আগের কমিটিতে শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। মাদারীপুরের ছেলে রাব্বানী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে থাকতেন। গোলাম রাব্বানীর বাড়ি রাজৈর উপজেলার বদরপাশা গ্রামে। গোলাম রাব্বানীর বাবা আবদুর রশিদ মিয়া ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংস্পর্শ পাওয়া একজন সরকারী কর্মকর্তা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে গোলাম রাব্বানীকে অনুপ্রাণিত করেন তার নানা মরহুম শামসুদ্দিন আহম্মেদ। তিনি ছিলেন রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি (১৯৬৪-৭৪) এবং চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। রাব্বানীর মা একসময় ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত থাকায় পারিবারিকভাবেও পেয়েছেন উৎসাহ-উদ্দীপনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন সভাপতি সঞ্জিত দাসের বাড়ি ময়মনসিংহে। থাকেন জগন্নাথ হলে। তিনি জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হুসাইনের বাড়ি পঞ্চগড়ে। থাকেন স্যার এ এফ রহমান হলে। এর আগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তিনি উপ-আইন সম্পাদক ছিলেন। দফায় দফায় বাছাই ॥ ছাত্রলীগের ২৯তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল চলতি বছরের ১১ ও ১২ মে। সম্মেলনে সভাপতি পদে ১১১ ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ২১২ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তবে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনেই আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা জানান, জাতীয় নির্বাচনের বছরে তিনি ছাত্রলীগের কমিটি ভোটের মাধ্যমে করার পক্ষপাতী নন। তিনি পদপ্রত্যাশী নেতাদের সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন। ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় বিদায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ সংগঠনের সাংগঠনিক নেতা শেখ হাসিনাকে কমিটি গঠনের দায়িত্ব অর্পণ করেন। সেসময় বলা হয়েছিল, কয়েকদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করবেন। সেই অনুযায়ী পদপ্রত্যাশী প্রায় সাড়ে তিনশ নেতার মধ্য থেকে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেয় ছাত্রলীগের বিদায়ী নেতারা। পদপ্রত্যাশী নেতাদের গণভবনে একাধিকবার ডেকে নিয়ে কথাও বলেন শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত সম্মেলনের প্রায় আড়াই মাস পর তিনি কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আর দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম অনুমোদন দিলেন। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় নির্বাচনের বছর হওয়ায় নজিরবিহীন সতর্কতার সঙ্গে ছাত্রলীগের নতুন নেতা নির্বাচন করা হচ্ছে। পদপ্রত্যাশীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা আসার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের বিষয়ে দফায় দফায় খোঁজখবর নিয়ে নেতৃত্ব বাছাই করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার তালিকায় ছিল ৮ জন। তাদের মধ্য থেকে দুজনকে বেছে নিয়েছেন শেখ হাসিনা। প্রধান দুপদের জন্য শোভন ও রাব্বানীকে বেছে নেয়ার পরও কমিটি ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তাদের বিষয়ে তদন্ত করে এবং দলীয়ভাবেও তথ্য অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করা হয়। সার্বিক দিক বিচার বিশ্লেষণ করে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গৌরব ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়ে নতুন নেতৃত্ব ॥ সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণার পর অনুভূতি জানাতে চাইলে রেজানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, নেত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, আমি এর মর্যাদা দিতে চাই। সব ধরনের বিতর্কমুক্ত রেখে ছাত্রলীগকে একটি আদর্শভিত্তিক মেধাবীদের সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটিকে ঐক্যবদ্ধ রেখে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করে তোলার প্রতিই আমি সবার আগে গুরুত্ব দিতে চাই। সবসময় সর্বস্তরের নেতাকর্মীর পাশে থাকতে চাই। সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেছেন, একটা ক্রান্তিকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বটা আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছ থেকে পাওয়া আমানত হিসেবে মনে করছি। নিজের জীবনকে অনেক আগেই আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে উৎসর্গ করেছি। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি, সেজন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা চাই। গোলাম রাব্বানী বলেছেন, ছাত্রলীগে কোনো ‘গ্রুপিং’ থাকবে না, কোন ‘ভাইলীগ’ থাকবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে পাশে থাকবে ছাত্রলীগ। তাদের জন্য ছাত্রলীগ সব ধরনের ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত আছে। শিক্ষাঙ্গনে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হুসাইনের লক্ষ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে এমনভাবে গড়ে তোলা হবে যেন একজন মা-বাবা গর্ব করে বলতে পারে আমার সন্তান ছাত্রলীগ করেন। আমার সন্তান দেশের জন্য কাজ করছেন। তারা বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্বিঘœ, শিক্ষা সুন্দর পরিবেশ রক্ষায় সব ধরনের কাজ করে যাব। যে কোন অপরাধ ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে কাজ করে যাব সকলকে সঙ্গে নিয়ে। আমরা কোন ধরনের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না। এ বিশ্ববিদ্যালয় হবে শান্তিপূর্ণ। কমিটি ঘোষণায় সন্তোষ, নেত্রীর দিকে তাকিয়ে সকলেই ॥ নতুন কমিটির প্রতি সমর্থন জানিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব ও অতীতের গৌরব ফিরিয়ে আসবে প্রত্যাশা করেছেন ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীও। অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জাব্বার রাজ বলেন, নতুন কমিটি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তেই হয়েছে। এ কমিটিতে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আশা করি নতুন কমিটির হাত ধরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নয়ন হালদার বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পছন্দ মতোই ছাত্রলীগের কমিটি দিয়েছেন। আশা করি এ কমিটি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করবে। নতুন উদ্যমে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কাজ করবে। এদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দাবি কেবল সভাপতি-সেক্রেটারি নয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি যেন আরও বৃহৎ কমিটির অনুমোদন দেন। অন্যথায় আবার বঞ্চিত হবে সৎ ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা। পদপ্রত্যাশী হয়েও সকলের আস্থার কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কমিটি ঘোষণার পর বুধবার ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র চারজনের মনোনয়নে অসংখ্য নেতাকর্মী কিছুটা আশা ভঙ্গ হয়েছেন। তবে প্রত্যেকেই ভরসা করছেন তাদের প্রিয় নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। তারা বলছেন, আমাদের নেত্রী যে পদ আমাদের দেবেন তাতেই আমরা খুশি। নেত্রী নিশ্চয়ই জানেন তার হাত দিয়ে বৃহৎ কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা না হলে আবার বিশেষ বিশেষ গ্রুপের কারণে বঞ্চিত হবেন ত্যাগী, সৎ ও যোগ্য নেতাকর্মীরা। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন কমিটি ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলছিলেন, নেত্রী সিন্ডিকেট ভেঙ্গেচুরে যোগ্য নেতৃত্বের মনোনয়ন দিয়েছেন। একটি সুন্দর, ভাল নেতৃত্ব নির্বাচন করেছেন।
×