ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৩ আগস্ট ২০১৮

উবাচ

আমি তো সব সময় হাসি! স্টাফ রিপোর্টার ॥ মন্ত্রী সাহেব সব কিছুতেই নাকি হাসেন। তাই বলে কি কেউ মারা গেলেও হাসতে হাসতে বলবেন, এ রকম তো হতেই পারে। এই যে ইন্ডিয়ায় মারা গেল, এই যে সৌদি আরবে দুর্ঘটনা ঘটল আপনারা তো কিছু বললেন না! ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোথায় হাসতে হবে ওই মন্ত্রী নাকি তা জানেন না। সারাদেশের গণপরিবহনের শ্রমিক নেতা তিনি। এই মন্ত্রীর জন্যই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে সব কিছু। এভাবে চলতে চলতে আমরা রাজিবকে হারিয়েছি। আব্দুল করিম আর দিয়াকেও হারালাম; এভাবে আর কত রাজিব, কত আব্দুল করিম আর দিয়াকে বলি দিতে হবে, কে জানে। রাজিব নিহত হওয়ার পর এই মন্ত্রী একটি টেলিভিশন টকশোতে এসে প্রশ্ন করেছিলেন, আচ্ছা রাজিবের হাতটা কোথায় ছিল, সঞ্চালক উত্তর দিলেন বাইরে ছিল। তিনি তখন বলে উঠলেন কেন বাইরে থাকবে। তার হাত বাইরে ছিল সেই বিষয়ে তো আপনারা কিছু বলছেন না। নিশ্চই সকলে দেখেছেন কিভাবে রাজিবের হাতটা কাটা পড়েছিল। কোথায় ছিল রাজিবের হাত। ঢাকা শহরে প্রতিদিন লাখ লাখ রাজিবকে এভাবে বাসে ঝুলতে হয়। হাতটা বাইরে ইচ্ছা না করলেও রাখতে হয়। তাই বলে কি শরীর থেকে হাতটাকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে! দেশের সাধারণ মানুষ তো সৌভাগ্যবান নয়। তাই আমাদের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, আমরা মরে যাই, আর মন্ত্রী সাহেব হাসেন। যখন প্রশ্ন করা হয় কেন হাসলেন তখন নাকি তার দুঃখবোধ হয়। বলেন আমি তো সব সময় হাসি। দেশের মানুষ এমন হাসি আর দেখতে চায় না। একটা হাসি দিয়ে শিশুরা রাস্তায় নেমে গেছে। শিশুরা উচ্চারণ করেছে ‘যদি তুমি ভয় পাও তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তুমি বাংলাদেশ।’ এই শিশুরা এতটা সাহসী কেউ হয়ত ভাবেনি। এক ভোটে আর কী হবে! স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিজের ভোটটিও দেননি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তার একটা ভোট দিয়ে আর কি হবে। সারাদিন বুলবুল বসেছিল ঘাসের ওপর। বৃষ্টি পড়ছে। পাশে বসে থাকা কেন্দ্রীয় দুই নেতা উঠে গেছেন। কে ভিজে বৃষ্টিতে বুলবুলের সঙ্গে। এই বুলবুল বলেছিলেন অনিয়ম হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বাচন কমিশনের ইট-বালু খুলে নেবে। কিন্তু বৃষ্টিতে যখন নিসঙ্গ বুলবুল একা মাঠের মধ্যে। তখন তার মাথায় ছাতাটি ধরবেন এমন কোন কর্মীও ছিল না। তাহলে কেন ফাঁকা আওয়াজ দিলেন বুলবুল। রাজশাহীতে কি এখন আর কেউ বিএনপি করতে চায় না। একটি দলের নির্মমতা দেখে আর কিছু না হোক রাজশাহীর মানুষ বুঝতে পেরেছেন বিএনপি করলে খবরই আছে। কোন সময় দরকার পড়লে নিজের কর্মীকেও পেট্রোলবোমা মেরে মেরে ফেলতে পারে। বুলবুল যদি পরিবেশের কথা বলেন, নির্যাতনের কথা বলেন সেটা কি খুব গ্রহণযোগ্য! সিলেটে যদি নির্বাচন করা যায়। বিজয়ী হওয়া যায়। তবে রাজশাহীতে কেন ভোট না দিয়ে মাঠের মধ্যে বসে থাকতে হবে। দেখানোর জন্য না পরাজিত হবেন জেনেই, এই বসে পড়া। কিছুদিন আগে রাজশাহী গিয়েছিলাম। সারা শহর মোটরসাইকেলে ঘুরলাম। অনেক রাস্তা ভাঙ্গাচোরা। সাধারণ মানুষ জানালেন, সাবেক মেয়র যা করে গেছেন। এখনকার মেয়র কোন কাজই করেননি। যারা জনগণের জন্য কোন কাজ করে না তাদের কেন জনগণ ভোট দেবে। বুলবুল সেই প্রত্যাশাই বা করেন কেন? প্রত্যাখ্যানের কী হবে? স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফলাফল যাই হোক আমি প্রত্যাখ্যান করলাম। সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফল আগাম প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এখন তিনি কি করবেন? এখন তো তিনি জয়ের খুব কাছাকাছি। হয়ত জিতেও যাবেন। কিন্তু কথা হচ্ছে তিনি তো শুরুতেই মিথ্যে দিয়ে শুরু করছেন দ্বিতীয় মেয়াদ? আরিফুল হক চৌধুরী কথা রাখবেন! নির্বাচনের আগে থেকে পর পর্যন্ত বিএনপি নানা কথা বলছে। যার ব্যতিক্রম ঘটেনি সিলেট সিটি নির্বাচনে। সবখানে ভোট ডাকাতির কথা বলা হচ্ছিল। তাহলে আরিফুল হক চৌধুরী বেশি ভোট পান কি করে? তাহলে তিনি কি ভোট ডাকাতি করেছেন? সারাদেশে সাংগঠনিক কোন কার্যক্রম নেই। দলের চেয়ারপার্সন কারাগারে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন বিদেশে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি সিলেটে বিজয় পেয়েছে তাই তো ঢের বেশি। যে দল চলে ফোনে ফোনে সেই দল আর কতদূর অগ্রসর হবে বা হতে পারে তা অন্ধরাও বলে দিতে পারে। কোন জরিপের দরকার নেই। তবে আরিফুলের এর মধ্যে জয় পাওয়াটা অনেকটা বাই প্রডাক্টের মতোই। সে জন্যই বুঝি উনি প্রত্যাখ্যানের কথা বলেছিলেন। আর বিএনপি তো বলেই আসছে জয় নয় বিতর্ক দরকার।
×