ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ষা মানে কি দুর্ভোগ?;###;আজহার মাহমুদ

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ বর্ষায় দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২ আগস্ট ২০১৮

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ বর্ষায় দুর্ভোগ

বর্ষা মৌসুমে দাবদাহের মাঝে বৃষ্টি স্বস্তির পরশ আনলেও অস্বস্তি থেকে রেহাই মেলেনি। বর্ষা এলে প্রধান দুই নগরীর দুর্ভোগ যেন বৃদ্ধি পায়। টানা বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকা এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। যা সত্যি একটি মারাত্মক দুর্ভোগ। কর্মজীবী মানুষের কতটা দুর্ভোগ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ চিত্র নতুনও নয়। বৃষ্টি হলেই আমরা সবসময় এমন চিত্রের দেখা পাই। পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট। রাস্তায় প্রাইভেটকার, বাস, মোটরসাইকেলে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে যায়। আগ্রাবাদ, বড়পুল, হালিশহরের অবস্থা একেবারে বাজে। এ ছাড়াও কদমতলি, চকবাজার, মুরাদপুর, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বৃহত্তর বাকলিয়া, বহদ্দারহাট, ২ নম্বর গেট, শুলকবহরসহ আরও বিভিন্ন পয়েন্টে রাস্তাগুলো কোমর পর্যন্ত পানিতে ডুবে আছে। এ ছাড়াও ভাঙ্গাসড়ক এবং কাদা এই জলাবদ্ধতার সঙ্গে মিলে রাস্তার অবস্থা আরও বেহাল করে তুলেছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর এমন চিত্র সত্যি বড়ই বেমানান আমাদের জন্য। এছাড়াও রাজধানী ঢাকার অবস্থাও একই, কোথাও কোমর পানি আর কোথাও হাঁটু পানি। বড় দুই নগরীর এমন নাজুক অবস্থা সত্যি দেশের মানুষকে ভাবায়। সামান্য বৃষ্টিতেই চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায় পানিতে। সামান্য বৃষ্টিতে পরিণত হয় বিশাল জলাশয়ে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিটা মেয়র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জলাবদ্ধতা সমস্য দূর করে দেবে। তবে কোথায় গেল আজ সেই প্রতিশ্রুতি? জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তায় চলাচল করা এখন বড় একটি সমস্যা। যেখানে যেতে ২০ মিনিট লাগার কথা সেখানে এখন এক ঘণ্টায়ও পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না এই জলাবদ্ধতার কারণে। প্রকৃতির নিয়মে বর্ষা আসবেই, বৃষ্টি হবেই। আমরা চাইলেও বৃষ্টি আটকাতে পারব না। প্রাকৃতিক নিয়ম মানতে হবে আমদের সকলের। তাই বলে মনুষ্য সৃষ্টি-সঙ্কটে ভোগান্তি তো মেনে নেয়া যায় না। আর এ কারণেই বৃষ্টি হলেই জলজট-যানজটের খবর শিরোনাম হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, দীর্ঘদীনেও এর সমাধান হচ্ছে না। বরং এর মাত্রা বেড়েই চলছে। আমার মতে এর জন্য অনেক অংশে মানুষই দায়ী। আমরাই সচেতন না বলেই আজ এই অবস্থা। যথাযথ নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায়, অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে আজকে আমাদের কাছে স্বস্তির বৃষ্টিটাও অস্বস্তির মনে হয়। এ কথাও মানতে হবে আমাদের, নগরীতে জলাবদ্ধতা, যানজট প্রভৃতি সমস্যার জন্য কতিপয় নাগরিকের অসচেতনতা ও নেতিবাচক কর্মকা-ও কম দায়ী নয়। খাল-জলাশয় দখলসহ পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী ড্রেন, জলাশয় যত্রতত্র ফেলে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করা হয়। এর জন্য নাগরিক অসচেতনতাই দায়ী বলে আমি মনে করি। তাই এই ক্ষেত্রে নাগরিক সচেতনতাও বড় একটি ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। ওমর গনি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চট্টগ্রাম থেকে
×