ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটে স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোট ১১ আগস্ট

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২ আগস্ট ২০১৮

সিলেটে স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোট ১১ আগস্ট

স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস ॥ সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও গোলযোগের অভিযোগে স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোট হবে ১১ আগস্ট। এ দুই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকার কারণে সিসিক নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ আটকে রয়েছে। বুধবার সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের উপসচিব ফরহাদ হোসেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে আমরা তারিখ নির্ধারণ করে সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা পাঠিয়ে দিয়েছি। এটাই গণতন্ত্রের জয় ॥ এ দিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের হারের মধ্যেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। কামরানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকা এই নেতা বলেছেন, দলের প্রার্থীকে জেতাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তারা। সাধারণ মানুষের মতামতের প্রতিই শ্রদ্ধা রেখেই আওয়ামী লীগও তেমনি মেনেই নিয়েছে নির্বাচনের ফলাফল। ভোটের ফলাফলের পর হারের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন এটাই গণতন্ত্রের জয়, ‘সিলেটে আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে কিন্তু পারেনি। এটাই তো গণতন্ত্র। দল একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রার্থীকে মনোনয়ন দিবে, প্রার্থী মাঠে নামবে এবং কাজ করবে। সফল হতেও পারে, নাও হতে পারে। সফল যে হতেই হবে এমন তো কোন নিশ্চয়তা নেই। ভোট হচ্ছে জনগণের।’ কামরানের নির্বাচন পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল মিসবাহ সিরাজের কাঁধে। তবে হারে নিজেদের বড় কোন দায় খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি বরং মানুষের মতামত মেনে নেয়ার পক্ষেই মত তার, ‘নির্বাচন পরিচালনা করতে ত্রুটি থাকতেই পারে। তবে মানুষের মতামত আমাদের মেনে নিতেই হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে এবং কাজ করছে। আমরা চেষ্টা করেছি জেতার কিন্তু পারিনি।’ সিলেটে ভোটের মাঠে গুঞ্জন ছিল ব্যক্তি ইমেজের কারণেই আরিফের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন কামরান। কামরানের হার দলের হার নয় বলে ইঙ্গিত মিসবাহ সিরাজের কণ্ঠেও, তার মতে ‘এখন আমি যদি পার্লামেন্ট ইলেকশনে দাঁড়াই। আর জনগণ যদি আমাকে ভোট না দেয় তাহলে এটা দলের দোষ না। জনগণ আমাকে পছন্দ করেনি, তাই ভোট দেয়নি। কিন্তু দল আমাকে পছন্দ করেছে, তাই আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে।’
×