ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিষয়টি বিরাট কিছু নয় ॥ প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২ আগস্ট ২০১৮

বিষয়টি বিরাট কিছু নয় ॥ প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টের স্বর্ণ বদল হয়েছে-এমন দাবি করা হলেও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখে জানিয়েছেন ‘বিষয়টি একটা বিরাট কিছু নয়।’ সূত্রমতে, গত ২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী বরাবর ঠিঠি পাঠান অর্থমন্ত্রী। চিঠিতে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের নিরাপত্তা সম্বন্ধে আমি ইতোমধ্যে অবহিত হওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে যে, বিষয়টি নিয়ে বড় কোন হৈ-চৈয়ের কারণ নেই। নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি মোটামুটি বেশ ভাল আছে। ৩৮টি সিসিটিভি নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে। সব সময় ছয় স্তরভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু আছে। ৭০ জন পুলিশ ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তবে নিরাপত্তা সচেতনতা জাতিগতভাবে একটু কম বলে আমার মনে হয়। চিঠিতে আরও বলা হয়, সমস্যা হলো কালো প্রলেপযুক্ত দুই টুকরো তথাকথিত সোনার গোলাকার চাকতি এবং রিং নিয়ে। শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জব্দকৃত সব সোনা ছয়জন পরীক্ষা করেন। ছয়জনের মধ্যে স্বর্ণকারই আমাদের সচরাচর এক্সাপার্ট এবং তার কষ্টিপাথরই জব্দ করা সব সোনা বিচারে যথেষ্ট। এতে আরও বলা হয়, বেশি সংগ্রহ হলো স্বর্ণের বারের। এগুলো বার হিসেবেই চোরাচালান বা আমদানি হয়। অন্যান্য স্বর্ণালঙ্কার বা অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত স্বর্ণ যা জব্দ হয় তা সময়ে সময়ে নিলাম করা হয়। তবে জানা গেছে যে, গত দশ বছরে কোন নিলাম হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ৯৬৩ কেজি ওজনের সোনা আমাদের ভল্টে মজুদ আছে। এর মধ্যে প্রশ্নবোধক মান হলো মাত্র তিন কেজি চাকতি ও রিং নিয়ে। তাই বিষয়টি তেমন একটা বিরাট কিছু নয়। এদিকে, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টের স্বর্ণ বদল হয়েছে- এমন দাবি করা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভল্টে স্বর্ণ বদলানোর কোন সুযোগ নেই। তবে শুরু হওয়া বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করতে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২৪ জুলাই ওই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সবকিছু যাচাই-বাছাই করে যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবিরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ এন এম আবুল কাসেমকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
×