ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজালালে কার্গো ব্যবস্থাপনায় শতভাগ সাফল্য

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২ আগস্ট ২০১৮

শাহজালালে কার্গো ব্যবস্থাপনায় শতভাগ সাফল্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর, কেমন চলছে কার্গো ব্যবস্থাপনা-অব এসেসমেন্টে আবারও শতভাগ সাফল্য এসেছে। ঢাকায় গত দু’দিন ধরে যুক্তরাজ্যের ডিএফটি ও সিভিল এভিয়েশন যৌথভাবে এ মূল্যায়ন (এসেসমেন্ট) করে। মূলত আন্তর্জাতিক মানদ-ে বাংলাদেশের কার্গো ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে এগোচ্ছে কিনা সেটাই দেখা হয় এ দু’দিনের পর্যবেক্ষণে। এতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হাউসের অটোমেশন সিস্টেমে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে বলে স্বীকৃতি দিয়েছে ডিএফটি। যুক্তরাজ্য আশা করে বাংলাদেশের কার্গো ব্যবস্থাপনা ভবিষ্যতে আরও নির্ভরযোগ্য হবে। এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের সদস্য এয়ার কমোডর মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিগত ২০১৬ সাল থেকে বেবিচক- দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এভিয়েশন সিকিউরিটি মানোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে অনেক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি যথা ডুয়েল ভিউ এক্সরে মেশিন, এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য এভিয়েশন সিকিউরিটি ক্ষেত্রে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন করে। এ চুক্তির আওতায় গত নবেম্বর একটি যৌথ এসেসমেন্ট পরিচালনা করা হয়। এই এসেসমেন্ট সন্তোষজনক হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্যগামী কার্গো নিষেধাজ্ঞা গত ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাহার করা হয়। এতে আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পায় এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভবান হয়। ইতোমধ্যে গত এপ্রিলে আরেকটি যৌথ এসেসমেন্ট পরিচালনা করা হয়। এতেও বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় শর্তাদি মানার ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ও বুধবার শুধু এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লায়েন্সের ওপর আরেকটি যৌথ এসেসমেন্ট পরিচালনা করা হয়। এতে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন এয়ার কমোডর মোস্তাফিজুর রহমান ও ডিএফটি দলের এভিয়েশন সিকিউরিটির লিয়াজোঁ অফিসার নকিব আকবর। প্রথম দিনে সব ধরনের ট্রেনিং রেকর্ড, নথিপত্র ও সংশ্লিষ্ট সকলের পারদর্শিতা ও যোগ্যতা সরজমিনে পরিদর্শন করা হয়। শেষ দিন অর্থাৎ বুধবার বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সংযোজিত ইডিডির মাধ্যমে কার্গো স্ক্যানিং কার্যক্রম প্রত্যক্ষ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। দুই দিনের এসেসমেন্ট শেষে সফরকারী এসেসমেন্ট টিম এক্সপোর্ট কার্গো ম্যানেজমেন্টের কার্যক্রম সন্তোষজনক বলে মতামত ব্যক্ত করে এবং বাংলাদেশের দলনেতার সঙ্গে যৌথ এসেসমেন্ট রিপোর্টে স্বাক্ষর করেন। উল্লেখ্য, এসেসমেন্টের সব ক্ষেত্রে সিভিল এভিয়েশন, সিকিউরিটি (এভসেক) এবং বাংলাদেশ বিমান শতভাগ সাফল্য অর্জন করে। অর্থাৎ ক্যাটাগরি-১ অর্জন করে- যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং সর্বোচ্চ মানদ- প্রতিফলন করে। যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি আলোচনাকালে জানান যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের মতো অনেক দেশেই যুক্তরাজ্যগামী কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেটি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় স্বল্প সময়ে কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এই সাফল্য সিভিল এভিয়েশন, বাংলাদেশ বিমান এবং এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) এবং অন্য সব সদস্যের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা ও নিরলস পরিশ্রমেই সম্ভব হয়েছে, যা শুধু বাংলাদেশে নয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ভূয়সী প্রশংসার দাবিদার।
×