ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যৌক্তিক, একটু ধৈর্য ধরুন ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২ আগস্ট ২০১৮

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যৌক্তিক, একটু ধৈর্য ধরুন ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনকারীরা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তা যৌক্তিক। তাদের আবেগের পেছনে বাস্তব কারণ আছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন। সড়ক পরিবহন আইন পাস হলে লাগাম টেনে ধরার জন্য আরও কঠিন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে। বুধবার সেতু ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছে। তাদের প্রচ- ইমোশন কাজ করছিল, তার বাস্তব কারণও ছিল। সম্ভাবনাময় দুই ছাত্র রাস্তায় মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছে। সেটার প্রতিবাদে এমন বিক্ষোভ অনৈতিক বলে আমি মনে করি না। কারণ এ ধরনের বিক্ষোভ হতেই পারে। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ করার যৌক্তিকতা আছে। এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা আছে। দুই সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে-এর জন্য সবার খারাপ লেগেছে। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীও মর্মাহত, আমরা সবাই তাদের জন্য কষ্ট পেয়েছি। তারপরও আমি শিক্ষার্থীদের বলব, একটু ধৈর্য ধর, সময় দাও। আন্দোলন না করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী নিজেও তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা আইন পাস হলেই কাজ শুরু হবে। দুর্ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটু সময় দিন। যারা দোষী, যারা তাদের ন্যূনতম ছাড় দেয়া হবে না। দুর্ঘটনার পর নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের বক্তব্যের বিষয়ে তাকে কিছু বলেছেন কিনা একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দুর্ঘটনার পর নৌমন্ত্রীকে ডেকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য দিয়েছেন। তাকে অনেক কিছু বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কোন বক্তব্য দেয়ার পর এই ব্যাপারে আমাদের আর কথা বলা ঠিক না। নগরীতে গণপরিবহন কম থাকা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিক্ষোভে গাড়ি পুড়িয়ে ফেলবে বা ভাংচুর করবে- এই ভীতি থেকে গাড়ির মালিকরা গাড়ি বের করেনি। মঙ্গলবারও গাড়ি ভাংচুর হয়েছে। গাড়ির মালিকদের এই ভীতিটা থাকতেই পারে। আমার মনে হয় এই ভীতিটা কেটে যাবে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সড়কে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এক সময় বাস টার্মিনালগুলোতে মারামারি খুনোখুনি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। আমাদের সরকারের সময় কিন্তু নৈরাজ্য হয়নি। যেভাবে ধর্মঘটের কথা ছিল- হয়নি, শুধু চট্টগ্রামে একটা ধর্মঘট হয়েছিল, যেটা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর ছিল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, এখন নৈরাজ্য হয়নি, তবে বিশৃঙ্খলা টার্মিনালে আছে, সড়কেও আছে। এটা তো আমি অস্বীকার করি না। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি আইন খুব জরুরী ছিল। সে আইনটা আশা করি পাস হয়ে যাবে। তারপর এখানে আমরা লাগাম টেনে ধরার জন্য কিছু বাস্তব ও কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারব। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে প্রস্তাবিত সড়ক নিরাপত্তা আইন অনুমোদনে মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে আইনটি সংসদে পাস হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
×