ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিষয় ॥ কৃষি বিজ্ঞান;###;মোঃ মনোয়ারুল হক

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ১ আগস্ট ২০১৮

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

বি.এস.এস,বি-এড (১ম শ্রেণি) সিনিয়র শিক্ষক, কানকিরহাট বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, সেনবাগ, নোয়াখালী। Email: [email protected] সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। প্রথম অধ্যায় : কৃষি প্রযুক্তি উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। কৃষিবিদ হামীম সাহেব বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। এ গবেষণায় তিনি লক্ষ্য করেন, কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মাটিতে ধানের ফলন ভালো হয়। গবেষণাপত্রের উপসংহারে তিনি লিখলেন, মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করেই ফসল নির্বাচন করা উচিত। ক. কৃষি প্রযুক্তি কি? খ. ডাল ফসল চাষের জন্য নিষ্কাশনযোগ্য মাটি বেশি প্রয়োজন কেন? গ. গবেষণা ক্ষেত্রে হামীম সাহেবের লক্ষ্য করা বৈশিষ্ট্যগুলো ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন কর। ঘ. হামীম সাহেবের গবেষণাপত্রের উপসংহারটি বিশ্লেষণ কর। ক. যে প্রক্রিয়ায় আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প জমি থেকে স্বল্প সময়ে বেশি ফলন উৎপাদন করা হয় তাকে কৃষি প্রযুক্তি বলে। খ. ডাল শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ার উপযোগী ফসল। কোনো অবস্থাতেই ডাল ফসল অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারেনা। তাই ডাল চাষের জন্য নিষ্কাশনযোগ্য মাটি বেশি প্রয়োজন। ঘ. গবেষণার ক্ষেত্রে হামীম সাহেব লক্ষ্য করেন, কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মাটিতে ধানের ফলন ভাল হয়। নিচে ধান চাষ উপযোগী মাটির বৈশিষ্ট্যগুলি উপস্থাপন করা হলোঃ ** কংকর ও বেলেমাটি ছাড়া সব মাটিই ধান চাষের জন্য উপযোগী। এটেল ও এটেল দোআঁশ মাটি ধান চাষের জন্য খুব ভালো নদ-নদীর অববাহিকা ও হাওর-বাওড় এলাকা যেখানে পলি জমে সেখানেও ধান ভাল হয়। ** প্রকারভেদে উঁচু, মাঝারি, নিচু সব ধরনের জমিতেই ধানের চাষ করা যায়। যেমন নিচু জমিতে বোরো ও জলি আমন ধান চাষ করা হয়। ** মাটির অম্লাত্তক থেকে নিরপেক্ষ অবস্থা ধান চাষের অনুকূল। ** মাটিতে জৈব পদার্থ কম হলে কমপোস্ট ব্যবহার করে এর মাত্রা বাড়ানো যায়। ** মাটির নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ, জিংক, সালফার ইত্যাদির মাত্রা নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সার ব্যাবহার ধান চাষ উপযোগী মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা যায়। ঘ. হামীম সাহেবের গবেষণাপত্রটির উদাহরণ ছিল, ‘মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করেই ফসল নির্বাচন করা উচিত’। নিচে এটি বিশ্লেষণ করা হলো- মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে একেক ধরনের মাটিতে একেক ধরনের ফসল ভাল জন্মায়। যেমন আলু ও টমেটো দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে ভাল জন্মায়। আলু চাষের জন্য বায়ু চলাচল করতে পারে এরুপ নরম ও ঢিলেঢালা মাটি দরকার। পাট চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী নদী বাহিত গভীর পলি মাটি। দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে পাট ও গম চাষ করা হয়। ধান চাষের জন্য উপযোগী মাটি এঁটেল ও এঁটেল দোআঁশ মাটি। নদ-নদীর অববাহিকা ও হাওর-বাওড় এলাকা যেখানে পলি জমে সেখানেও ধান ভালো হয়। আবার যে কোনো প্রকার মাটিতেই টমেটো ভালো চাষ করা যায়। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে সব মাটিতে সব ফসল ভাল হয় না। তাই কাঙ্খিত ফলন পেতে মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করেই ফসল নির্বাচন করা উচিত।
×