ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘পোগবা-এমবাপেদের পারফর্মেন্স আমাকে বিস্মিত করেনি’

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১ আগস্ট ২০১৮

‘পোগবা-এমবাপেদের পারফর্মেন্স আমাকে বিস্মিত করেনি’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ বছর পর আরেকবার বিশ্বজয়ের মুকুট পরেছে ফ্রান্স। গেল মাসে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। দারুণ সব প্রতিভাধর যুবারা ফরাসীদের হয়ে আলো ছড়ান। বিশ্বজয়ী তারকাদের আগেও অনেক প্রশংসা করেছেন দলটির কোচ দিদিয়ের দেশম। মঙ্গলবার এক সাক্ষাতকারে তিনি আবারও শিষ্যদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে পল পোগবা ও কিলিয়ান এমবাপেকে তিনি অন্য গ্রহের ফুটবলার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বিশ্বকাপ শুরুর আগে পোগবাকে কম সমালোনা হয়নি। মাঠ ও মাঠের বাইরে প্রায়ই বিতর্কের জন্ম দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার। কিন্তু ফরাসী দলকে ড্রেসিং রুমে উজ্জীবিত করতে পোগবাই মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন বলে বিশ^কাপের পর জানা গেছে। ১৯৭০ সালে ব্রাজিলের কিংবদন্তি দলটির পর দ্বিতীয় কম বয়সী দল হিসেবে এবার রাশিয়ায় অংশ নিয়েছিল ফ্রান্স। সেই দলের শিরোপা জয়ের মধ্যমণি হিসেবে কাজ করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার। এ প্রসঙ্গে ফরাসী কোচ দেশম বলেন, সে মোটেই আমাকে বিস্মিত করেনি। পল এমন একজন খেলোয়াড় যে কথা শুনে। যে সবার আগে দলের কথা চিন্তা করে। আমি তার সঙ্গে অনেক কথা বলেছি। আমাদের দলে ২৫ বছর বয়সী পোগবা একজন মধ্যবয়সী খেলোয়াড়। তরুণদের জন্য সে একজন রোল মডেলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। সে ২০১৪ বিশ^কাপ ও ইউরো ২০১৬তে খেলেছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে আগে আমাদের দল নিয়ে সমালোচনা ছিল, এই দলে যোগ্য নেতার অভাব আছে। কিন্তু টুর্নামেন্টের পর সবকিছু পাল্টে গেছে। পোগবার নেতৃত্বের গুণাবলী নিয়ে দলের মধ্যে প্রশংসা হলেও এমবাপেকে নিয়ে পুরো বিশ্বব্যাপী আলোচনা হয়েছে। পিএসজির এই টিনএজ স্ট্রাইকার এতটাই মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন যে টুর্নামেন্ট চলাকালীন তাকে ব্রাজিলিয়ান লিজেন্ড পেলের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছে। পেলের পর দ্বিতীয় কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ^কাপের ফাইনালে গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন এমবাপে। তরুণ এই ফরোয়ার্ডের প্রশংসা করে দেশম বলেন, দেড় বছর আগে কেউ জানত না সে কে। অথচ এখন সে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। অন্যরা যা পারেনি এমবাপে তাই করে দেখিয়েছে। তারপরও সে তার পা মাটিতেই রেখেছে। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই সে অনেক বেশি পরিণত। দলের বড়দের প্রতি সে সবসময়ই সম্মান দেখিয়েছে। তাকে দলে পেয়ে আমি দারুণ খুশি। এমবাপের পাশপাশি চেলসি মিডফিল্ডার এন’গোলো কান্টের খেলাও দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে প্রতিপক্ষের স১্গে সমান তালে লড়াই করে তিনি ফ্রান্সকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। চেলসির এই ফুটবলার প্রসঙ্গে দেশম বলেন, কান্টে বেশ শান্ত প্রকৃতির খেলোয়াড়। কিন্তু বিশ্বকাপে সে দলের প্রাণ ছিল। তাকে দলে পেয়ে আমি মধ্যমাঠ নিয়ে স্বস্তিতে ছিলাম। দুর্দান্ত খেলার পুরস্কারও পাচ্ছেন কান্টে। চলতি গ্রীষ্মের দলবদলে জোর গুঞ্জন ছিল, চেলসি ছেড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনে (পিএসজি) যোগ দিচ্ছেন তিনি। এমনিতেই তাকে এখন সময়ের সেরা মিডফিল্ডার মনে করা হয়। এর মধ্যে আবার বিশ্বকাপের একটি মেডেলও যোগ হয়েছে ফরাসী মিডফিল্ডারের গলায়। এমন একজনকে মোটেই ছাড়তে রাজি নয় চেলসি। শোনা যাচ্ছে, প্রয়োজনে পোগবার সমান পারিশ্রমিক দিয়ে তাকে রাখতে চায় ব্লুজরা। প্রিমিয়ার লীগে সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ্যালেক্সিস সানচেজ। ওল্ডট্র্যাফোর্ডে চিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রতি সপ্তাহের আয় ৫ লাখ পাউন্ড। দ্বিতীয় স্থানে আছেন আর্সেনালের মেসুত ওজিল। সপ্তাহ প্রতি তার আয় সাড়ে ৩ লাখ পাউন্ড। এই তালিকায় তিন নম্বরে ম্যানইউ’র পোগবা। ফরাসী এই তারকা প্রতি সপ্তাহে ২ লাখ ৯০ হাজার পাউন্ড আয় করেন। এখন কান্টেকে পোগবার সমান মূল্য দিয়ে হলেও ধরে রাখতে চায় চেলসি। তারা নাকি ফরাসী মিডফিল্ডারকে সপ্তাহ প্রতি ২ লাখ ৯০ হাজার পাউন্ডের অফারও দিয়েছে। বিষয়টা সত্যি হলে ক্লাবের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় হবেন এই মিডফিল্ডার।
×