ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২

কাতার না করলে ইংল্যান্ডের আয়োজন করা উচিত!

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ১ আগস্ট ২০১৮

কাতার না করলে ইংল্যান্ডের আয়োজন করা উচিত!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাত্র ১৬ দিন আগে শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ। এখন সবার দৃষ্টি ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী বিশ্বকাপের দিকে। কাতারও সেভাবে প্রস্তুত হচ্ছে। তবে আয়োজক হিসেবে বিজয়ী কাতারকে নিয়ে বিতর্ক থামেনি। কাতারের আয়োজক হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু কূট-কৌশল এবং দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ অনেক আগে থেকেই। শেষ পর্যন্ত যদি ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে কাতারকে বাতিল করাই হয়, সেক্ষেত্রে আয়োজক হবে কে? সাবেক এফএ চেয়ারম্যান ও শ্রমিক নেতা লর্ড ট্রিসম্যান দাবি করলেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়া উচিত ইংল্যান্ডের। ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সানডে টাইমস অভিযোগ তুলেছে বাকি দুটি দেশকে পরাজিত করতে কাতার বিডিং পদ্ধতির নিয়মনীতি ভেঙ্গেছে এবং দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। ফিফার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এটা করা হয়েছে। নিয়ম অনুসারে আয়োজক হওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমর্থন প্রয়োজন হয়। কিন্তু সানডে টাইমস দাবি করেছে পিআর ফার্মগুলো এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক এজেন্টরা ধারাবাহিকভাবে কিছু মিথ্যা গল্প ছড়িয়েছেন যেন বিডিং প্রসেসে তাদের দেশ অসমর্থিত হয়। কাতারকে আয়োজক ঘোষণার পর থেকেই বিশ্বব্যাপী নানা বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। এখন তাদের আয়োজক হিসেবে থাকার অধিকারই হরণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু দেশ স্বল্প সময়ের ঘোষণায় ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে পারে। এর মধ্যে ইংল্যান্ড অন্যতম। ১৯৬৬ সালে একবারই বিশ্বকাপ আয়োজন করেছেন ফুটবলের জন্মদাতা ইংল্যান্ড। এরপর আর কোনবারই ফুটবলের এ মহাযজ্ঞ হয়নি সেখানে। অথচ ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার বিডিংয়ে প্রচুর অর্থলগ্নি করেছিল ইংল্যান্ড। এ কারণেই ট্রিসম্যান মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন ইংল্যান্ডের আয়োজক হওয়ার বিষয়টি অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে। তিনি বলেন, ‘ফিফার এখন সার্বিক তথ্য, উপাত্ত আগাগোড়া ঘেঁটে দেখা দরকার। কঠিন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলেও সেটার সাহস দেখান উচিত। যদি বেরিয়ে আসে যে কাতার ফিফার নীতি ভঙ্গ করেছে সেক্ষেত্রে অবশ্যই তারা বিশ্বকাপ আয়োজকের অধিকার ধরে রাখতে পারে না। আমার মনে হয় না ফিফা যদি ইংল্যান্ডকে পুনর্বিবেচনা করে সেটা ভুল হবে। আমাদের সেই সামর্থ্য আছে।’ তবে ঘটনাক্রম যেমনই হোক ফিফা অবশ্য দৃঢ় অবস্থানেই আছে কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের ক্ষেত্রে। তারা মনে করছে এটা এখন অনেকদূর গড়িয়েছে এবং বাস্তবিকভাবে নির্দিষ্ট কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিশ্বকাপ সরিয়ে নেয়ারÑ এমনটাই দাবি ফিফার।
×