ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১ আগস্ট ২০১৮

সাতক্ষীরায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম জাহিদুল ইসলাম শুভ (৩৫)। সে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কাপড়পোড়া গ্রামের আওরঙ্গজেবের ছেলে। এই ঘটনায় কলেজছাত্রীটি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার গোছমারা গ্রামের প্রবাসী শহীদুল ইসলামের মেয়ে খোদেজা ইসলাম শিল্পী (২৮) একই উপজেলার তুলসীডাঙ্গা গ্রামে তার মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। শিল্পী ঢাকা ইডেন মহাবিদ্যালয়ে ইতিহাসে সম্মান ডিগ্রী প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করাকালীন মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় জাহিদুল ইসলাম ওরফে শুভর সঙ্গে। জাহিদুল শিল্পীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বাবা বিদেশে থাকার কারণে মা ও মামার বাড়ির লোকজন রাজি হয়নি। একপর্যায়ে ২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি জাহিদুলসহ তার কয়েক বন্ধু মামার বাড়িতে এসে শিল্পীকে বেড়ানোর নাম করে কুষ্টিয়ায় নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় । সেখানে জাহিদের স্ত্রী ও দু’সন্তান দেখতে পেয়ে বিয়েতে রাজি হয়নি শিল্পী । পরে শিল্পীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যেয়ে নগ্ন ছবি তুলে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে ওই বছরের ২১ জানুয়ারি বিয়ে করতে বাধ্য করে জাহিদুল। ৩১ জানুয়ারি মা আনোয়ারা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে মামা রবিউল ইসলামসহ কয়েকজন জাহিদুলকে তালাক দিয়ে শিল্পীকে বাড়িতে নিয়ে আসে। কয়েক দিন পর শিল্পী ঢাকার ইডেন কলেজে পড়তে চলে গেলে ওই বছরের ২৫ মার্চ ইডেন কলেজের সামনে থেকে শিল্পীকে অপহরণ করে কুষ্টিয়ার বাড়িতে নিয়ে আটক রাখে জাহিদুলসহ কয়েকজন। ২২ এপ্রিল শিল্পী পালিয়ে মামার বাড়িতে চলে আসে । ২৪ এপ্রিল অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণের নগ্ন চিত্র ধারণের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করার পথ বেছে নিয়েছে মর্মে একটি চিরকুট লিখে রাখে। রাতে সে মামার বাড়ির একটি বসতঘরে আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করে।
×