ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রহিম বাদশা

মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের আশ্বাস জি-৭ এর

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১ আগস্ট ২০১৮

মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের আশ্বাস জি-৭ এর

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সম্প্রতি কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে যোগদান করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এক মিলিয়নেরও অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তাদের নিজ আবাসভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে জি-৭ সদস্যদের সহযোগিতা চেয়েছেন। সম্মেলনের প্রতিটি ইভেন্টে শেখ হাসিনা ছিলেন মধ্যমণি। তিনি অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ যে উন্নয়নের ক্ষেত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জন্য রোল মডেল তা প্রমাণ করতে সক্ষম হন। দেশটির কুইবেকে গত জুনের ৮ থেকে ১০ অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্ব পরিম-লে বাংলাদেশকে মর্যাদার আরেক ধাপ আসনে উপনীত করতে সক্ষম হন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমানের ওপর চাপ প্রয়োগেরও আশ্বাস দেন জি-৭ নেতৃবৃন্দ। জি-৭ প্রতিষ্ঠার চুয়াল্লিশ বছরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান তিনবার আমন্ত্রণ পেয়েছেন এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। উন্নত বিশ্বের নেতাদের এই সম্মেলনে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাই বার বার আমন্ত্রণ পাচ্ছেন ও যোগদান করেছেন। ২০০১ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে যোগদানের প্রথম আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ আবার জাপানের ইসে সীমায় (২৬-২৮ মে) অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনেও যোগদানের আমন্ত্রণ পান তিনি। সর্বশেষ এবার (২০১৮) কানাডার কুইবেকে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো আমন্ত্রণ পান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের প্রভাবশালী সরকারপ্রধানদের তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান যে উচ্চতার শিখরে এটি তার প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রতিবারই সম্ভাবনার নবদিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। জাতিসংঘ স্বীকৃত বিশ্বের সাত শিল্পোন্নত ও ক্ষমতাধর দেশের জোট ‘জি-৭’ (গ্রুপ অব সেভেন) প্রতিবছর কোন একটি সদস্য দেশে বার্ষিক সম্মেলনে মিলিত হয়। জোটভুক্ত সরকারপ্রধানদের পাশাপাশি সেসব দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের নিয়েও স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, জ্বালানি, পরিবেশ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিচার ব্যবস্থা, সন্ত্রাস, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রভৃতি বিষয়ে বেশ কিছু সম্মেলন/বৈঠক হয়ে থাকে। এর বাইরে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ রাষ্ট্রসমূহের বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ, উন্নয়নশীল ও জোটের বার্ষিক প্রতিপাদ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছু দেশের সরকারপ্রধানকে একটি বিশেষ সেশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনার জন্য জোটের বাইরে থেকে আমন্ত্রিত রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের নাম আউটরিচ সম্মেলন (বিশেষ বর্ধিত সেশন)। এর উদ্দেশ্য হলো, ধনী দেশের নেতারা বিশ্ব সমস্যা সমাধানে কী ভাবছেন এবং কী করতে চাইছেন, সেসব প্রশ্নে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা। এখানে জি-৭ জোটভুক্ত সরকারপ্রধানদের সঙ্গে আমন্ত্রিত কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধানদের বিশেষ সম্মেলন, আলোচনা, সুপারিশ, প্রস্তাব, শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় হয়। এর সঙ্গে থাকে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। জি-৭ এর এবারের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কানাডার কুইবেক সিটিতে। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান স্বাগতিক কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত ওই অধিবেশনে বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান আউটরিচ অধিবেশনে যোগ দেয়। দেশগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- আর্জেন্টিনা, হাইতি, জ্যামাইকা, কেনিয়া, মারশাল আইল্যান্ড, নরওয়ে, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সেশ্যাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভিয়েতনাম। সংস্থার প্রধানদের মধ্যে ছিলেন- জাতিসংঘের মহাসচিব, বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মহাসচিব। সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সম্মেলনের শুরু থেকে সৌজন্য সাক্ষাৎ পর্যন্ত বেশ কিছু ইভেন্টে কানাডার প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ঊষ্ণ অভ্যর্থনা, আতিথেয়তা, ফটোসেশন প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরম আন্তরিকতা ও বিশেষ মর্যাদা প্রদানের বিষয়টি ছিল লক্ষণীয়। আউটরিচ সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল : সমুদ্রকে দূষণ থেকে রক্ষা করা এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিকূলতা মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধি। সম্মেলনের এই বিষয়টি বাংলাদেশের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। এ বিষয়ে বাংলাদেশ তার অবস্থান তুলে ধরারও সুযোগ পেল এবারের সম্মেলনে। মেধাবী দূরদর্শী ও বিচক্ষণ সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন পুরোদস্তুর। তিনি তাঁর বক্তব্যে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কৃষি, স্বাস্থ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কারিগরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। ব্লু ইকোনোমির (সমুদ্র অর্থনীতি) মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে জনজীবনে পরিবর্তন আনতে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর কাছে নেতৃত্বশীল ভূমিকাও প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের সম্মেলনে যোগ দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে জি-৭ রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতা চেয়েছেন এবং ভুক্তভোগী রোহিঙ্গাদের দুর্দশা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনসহ চার দফা প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রস্তাবগুলো হলো- জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে রাজি করাতে হবে, মিয়ানমারকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে রাখাইন পরামর্শক কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে, রাখাইনে নিপীড়নের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব গ্রহণের জন্য কাজ করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো অমানবিক নিপীড়ন বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি ও বিচার নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য জি-৭ দেশমসমূহের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। প্রভাবশালী এসব রাষ্ট্র বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে ঐতিহাসিক মানবতা দেখানোয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশের মানুষের উচ্চসিত প্রশংসা করেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারকে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করার। এছাড়া বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন এসব শিল্পোন্নত দেশ। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের পর সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে গেছেন। বিশ্বের শিল্পোন্নত ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত জি-৭। ১৯৭৩ সালে জ্বালানি তেল সঙ্কটের পর থেকে বিশ্বের শিল্পায়িত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর একটি অর্থনৈতিক জোট বা বলয় গঠনের ধারণা আসে। এর প্রেক্ষিতে ফ্রান্সের উদ্যোগে ১৯৭৫ সালে ৬টি দেশ যথা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি মিলে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বলয় ‘জি-৬’ গঠন করে। একবছর পর ১৯৭৬ সালে এই বলয়ে কানাডার যোগদানের মধ্য দিয়ে এটি জি-৭ হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই সাতটি দেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল স্বীকৃতি বিশ্বের মূল সাতটি উন্নত অর্থনীতির দেশ। এরা বৈশ্বিক সম্পদের শতকরা প্রায় ৬২ ভাগের প্রতিনিধি। ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই জোটে প্রতিনিধিত্ব করে, তবে জোটের সদস্য নয়। ১৯৯৭ সালে বিশ্বের আরেক শিল্পোন্নত দেশ রাশিয়া এই জোটে অন্তর্ভুক্ত হয়ে জোটের নামের পরিবর্তন ঘটায়। জি-৭ হয়ে যায় জি-৮। ক্রিমিয়া সঙ্কটে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার কারণে ২০১৪ সালে অন্য দেশগুলো একাট্টা হয়ে রাশিয়াকে জোট থেকে বের করে দিলে পুরনো নাম ফিরে পায় জি-৭। এক সময় এই জোটে ‘আউটরিচ ফাইভ’ বা ‘প্লাস ফাইভ’ নামে ৫টি উন্নয়নশীল দেশ যথাক্রমে ব্রাজিল, গণচীন, ভারত, মেক্সিকো ও দক্ষিণ আফ্রিকা অংশ্রগহণ করত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সম্মেলনের আয়োজক রাষ্ট্র আউটরিচ সম্মেলনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। জি-৭ আউটরিচ সম্মেলনে বাংলাদেশকে দফায় দফায় আমন্ত্রণ ও সরকারপ্রধানের যোগদান প্রমাণ করে বাংলাদেশ আজ উন্নতবিশ্বের কাছে বিশেষ গুরুত্ববহ এক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী অনেক প্রাপ্তি ও অর্জনের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বারবার আমন্ত্রণ জানানো, যা আমাদের জন্য অনেক বড় মর্যাদা, গৌরব ও অহংকারের বিষয়। বিশ্বমোড়ল হিসেবে বিবেচ্য এসব দেশের কাছে ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ যে অনেক গুরুত্ব বহন করে, এ আমন্ত্রণ তারই ইঙ্গিত বহন করে। অন্যদিকে কেবলমাত্র শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বার বার বাংলাদেশ তথা তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁর তেজস্বী নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবেই গণ্য। তিনি যে ধীরে ধীরে বিশ্বনেতায় রূপ নিচ্ছেন, তাও প্রতিফলিত হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে। এই আমন্ত্রণকে বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবেও দেখছেন কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পর্যন্ত জি-৭ এর যে তিনটি আউটরিচ সম্মেলনে যোগদান করেছেন, সৌভাগ্যক্রমে শেষের দুটিতে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আমার যোগদানের সুযোগ হয়েছে। তাই অকুস্থলে এ দুটি সম্মেলন প্রত্যক্ষ করেছি। জাপানে অনুষ্ঠিত আউটরিচ সম্মেলনে তো অনুষ্ঠানের মধ্যমণিই মনে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাকে। সেবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মারকেলসহ জোটভুক্ত সরকারপ্রধান ও জাতিসংঘের মহাসচিব পর্যন্ত আগবাড়িয়ে এসে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন। আর বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র স্বাগতিক জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো অ্যাবে তো আমন্ত্রণ জানানো থেকে বিদায় দেয়া পর্যন্ত বিশেষ মেহমান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উচ্চতর সম্মান ও মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন। একান্ত বৈঠকের পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তিও হয়েছে সে সময়ে। বিশেষ করে বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, দেশের প্রধান বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ, নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপন এবং অপার সম্ভাবনার ব্লু ইকোনমিতে (সামুদ্রিক অর্থনীতি) জাপান সহযোগিতার জন্য দু’হাত প্রসারিত করেছে। ভবিষ্যতে আমরা এসব চুক্তির সুফল প্রত্যক্ষ করব। তবে ব্লু ইকোনমির সুফল পেতে শুরু করলে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
×