ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবরোধ, বাস পোড়ানো

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১ আগস্ট ২০১৮

অবরোধ, বাস পোড়ানো

গাফফার খান চৌধুরী/ নিয়াজ আহমেদ লাবু ॥ ঢাকায় বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় টানা তৃতীয় দিনেও রাজধানী ছিল উত্তাল। শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকালে যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। আতঙ্কের কারণে ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন কম চলাচল করায় মানুষের ভোগান্তি ছিল চরমে। শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় খুবই দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শিক্ষার্থীদের পরিবারের খোঁজখবর নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ঘটনা ও ব্যক্তিগত মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দুই শিক্ষার্থীকে বাসচাপায় হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসচাপায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়ার পরিবারকে সান্ত¦না জানাতে মহাখালীর দক্ষিণ পাড়ার বাসায় যান। বাসে চাপা দিয়ে শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত চারজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উচ্চ আদালত আগামী তিন মাসের মধ্যে অবৈধ চালক ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের তালিকা চেয়েছে। সেই তালিকা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা ॥ গত ২৯ জুলাই রবিবার দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী। এমন ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। তারা রাস্তা অবরোধ করে পরিবহন কোম্পানিটির কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে। ঘটনাটি আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এবারই প্রথম যানবাহন চাপায় শিক্ষার্র্থী মৃত্যুর ঘটনায় পুরো ঢাকা অশান্ত হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটল। সোমবারও ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষুব্ধরা যানবাহনও ভাংচুর করেছে। মঙ্গলবারও উত্তাল ছিল ঢাকা ॥ টানা তৃতীয় দিনের মতো মঙ্গলবারও উত্তাল ছিল ঢাকা। রাজধানীতে পরিবহন ছিল না বললেই চলে। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকে। সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে সিটি কলেজের অন্তত পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী হিমাচল পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন দেয়ার আগে বাস থেকে সবাইকে নামিয়ে দেয়া হয়। অন্যদিকে উত্তরা হাউস বিল্ডিং মোড়ে বাসে আগুন দেয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে এনা পরিবহনের দুটি বাস ও বুশরা পরিবহনসহ বিভিন্ন কোম্পানির অর্ধশত বাস ভাংচুর করা হয়। মিরপুর-১ এর সনি সিনেমা হলের মোড়েও বিক্ষোভ করেছে মিরপুর কমার্স কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে করে মিরপুর ১ থেকে ১০ নম্বরসহ আশপাশের সব এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তেজগাঁও কলেজ ও তেজগাঁও সরকারী বিজ্ঞান কলেজসহ আশপাশের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফার্মগেটের বাবুল টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেয়। এতে করে প্রায় দুই ঘণ্টা ফার্মগেট-শাহবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এমন পরিস্থিতির কারণে মতিঝিল, ফার্মগেট, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, মিরপুর, গাবতলী, কারওয়ান বাজার ও বিমানবন্দর সড়কে যানবাহন যাতায়াত করতে পারেনি। একই পরিস্থিতি হয়েছে উত্তরার জসিমউদ্দীন রোডে। সেখানে বাস ভাংচুর করে তাতে আগুন দেয়া হয়েছে। এমন অবস্থা চলে পুরো ঢাকা। বিশেষ করে ঢাকার যেসব এলাকায় কলেজ বেশি সেসব এলাকায় বিক্ষোভ তুলনামূলক বেশি হয়েছে। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবি ॥ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের বক্তব্য প্রত্যাহার, মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের ন্যায্য দাবি পূরণ, পেশাদার লাইসেন্স প্রদানে স্বচ্ছতা, সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-, বিগত দিনের সব দোষীকে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায় ওভারব্রিজ, সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা, পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইন প্রণয়ন, ক্ষতিগ্রস্তদের বাস্তবসম্মত ক্ষতিপূরণ, গাড়ির ফিটনেস ও শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর করা। ফেসবুক গ্রুপ খুলে আন্দোলনে নামার আহ্বান ॥ ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এ্যালায়েন্স’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক অবরোধের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই পেইজ থেকে বলা হয়, সবাই যার যার প্রতিষ্ঠানের সামনের সকল রাস্তা বন্ধ করে দিন। এ্যাম্বুলেন্স ও হজযাত্রী ছাড়া কোনো পিঁপড়ার বাহনও যেন না চলে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটির সদস্যদের পদত্যাগও দাবি করা হয়েছে ওই ফেসবুক পেইজ থেকে। রাজধানীজুড়ে শুরু হওয়া ওই আন্দোলনকে সকল রাজনৈতিক মতাদর্শমুক্ত আপামর ছাত্রসমাজের অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়েছে ফেসবুক পেইজ থেকে। চালক আর ভাংচুরের কারণে রাস্তা থেকে গণপরিবহন তুলে নিয়েছে মালিকরা ॥ বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় টানা তিন দিন ধরে ঢাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে। বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। বিক্ষুব্ধরা যানবাহন ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকার রাস্তা থেকে সব পাবলিক বাস তুলে নিয়েছে মালিকরা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ খান ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের জানান, ভাংচুর অগ্নিসংযোগের কারণে মালিকরা রাস্তা থেকে বাস তুলে নিয়েছেন। অন্যদিকে চালকদের কারণেও রাস্তায় বাস চলাচল কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে অধিকাংশ বাসের চালক বাস বন্ধ রেখে মোবাইল ফোন বন্ধ করে চলে গেছেন। আবার অনেক চালক ভয়ে রাস্তায় নামতে চাচ্ছেন না। ফলে নগরে গণপরিবহনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মর্মাহত ॥ বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় খুবই মর্মাহত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি এমন ঘটনার জন্য রীতিমতো হতবাকও। এ ব্যাপারে নিহত ও আহতদের সবার খোঁজখবর নেয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি খুবই কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ত্বরিতগতিতে এ দুর্ঘটনার বিচার নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। ছাত্রদের বিক্ষোভ ছেড়ে বাসায় গিয়ে লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এসব কথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাসের রুট পারমিট ও চালকের লাইসেন্স বৈধ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মন্ত্রীর কাছে এমইএস বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ, বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া এবং গ্রেফতারকৃতদের ফাঁসি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানায় শিক্ষার্থীরা। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে তাকে নিহত ও আহতদের পরিবারের খোঁজখবর নিতে বলেছেন এবং পাঠিয়েছেন। শিক্ষাথী হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী খুবই কষ্ট পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক তিনি মহাখালীতে বাসচাপায় নিহত দিয়া খানম মীমের বাসায় গিয়েছিলেন। মীমের পরিবারের সদস্যদের সান্ত¡না দিয়েছেন। অদক্ষ চালক আর ত্রুটিপূর্ণ গাড়ির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। মীমের পিতা জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেন ও পবিরারকে সান্ত¡না দেন। নৌমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ ॥ সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজশিক্ষার্থী নিহত হওয়ার বিষয়ে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। মঙ্গলবার রাজধানীর বিসিআইসি অডিটরিয়ামে এক প্রতিনিধি সভায় মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আহতদের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। এদিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রী শাজাহান খান সেদিনের আচরণের সমালোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছেন। শাজাহান খান সেদিনের অনিচ্ছাকৃত ভুলকে ক্ষমা সুন্দরভাবে দেখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। দুর্ঘটনার জন্য দোষীদের শাস্তি পাওয়ার বিষয়টি পুনরায় ব্যক্ত করে বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবেÑ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ॥ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত দিয়া খানম মিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান বিচারিক প্রক্রিয়ায় কোন প্রভাব খাটাতে পারবেন না। এ দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘাতক বাসে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহত মীমের পিতার বক্তব্য ॥ মীমের পিতা মামলাটি দায়ের করেন। তার দাবি, তিনি ২৭ বছর গাড়ি চালিয়েছেন অথচ তার গাড়িতে একজনও আহত হয়নি। খুবই সাবধানে গাড়ি চালানে কোন সময়ই দুর্ঘটনা ঘটার কথা নয়। এখনকার অল্প বয়সী অবৈধ চালকরা গাড়ি চালানো না শিখেই গাড়ি চালায়। এছাড়া অধিকাংশ চালক নেশা করে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এজন্য চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স সঠিকভাবে দেয়ার ব্যবস্থার দাবি জানান। ঘাতকবাসের দুই চালক ও তাদের সহযোগী কারাগারে ॥ বাসচাপায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ঘাতক জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের চালক সোহাগ আলী ও জুবায়ের এবং হেলপার এনায়েত হোসেন ও রিপনকে। মঙ্গলবার তাদের ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই রিয়াদ আহমেদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ঢাকার মহানগর হাকিম এইচএম তোয়াহা প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকার কারণে শুনানি শেষে আসামিদের রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সেইসঙ্গে আসামিদের রিমান্ডের আবেদন শুনানির পরবর্তী তারিখ আগামী ৬ আগস্ট নির্ধারণ করেন। দায়েরকৃত মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না। বিক্ষোভকারীদের শান্ত হওয়ার কথা বলেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ॥ বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রাজপথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এটি সড়কের বিষয় নয়। তবে সরকার চুপ করে বসে নেই। ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। সরকারের যা করণীয় সরকার তাই করেছে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের মানববন্ধনের ডাক ॥ চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আগামী শুক্রবার সংগঠন থেকে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন তিনি। ওইদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হবে।
×